অনু
অনুবা
অনুবাদ
অনুবাদক -
অনুবাদক - রা
অনুবাদক - রাশে
অনুবাদক - রাশেদু
অনুবাদক - রাশেদুজ্জা
অনুবাদক - রাশেদুজ্জামা
অনুবাদক - রাশেদুজ্জামান
অনুবাদক - রাশেদুজ্জামান রাশে
অনুবাদক - রাশেদুজ্জামান রাশেদ
এটা ভুলে যাও, এটা অনেক বিপজ্জনক, আমি বাজে কিছু করছি ।
তুমি সবসময় এটাই বলো, একই কথা প্রত্যেক বার ।
আমাকে দিয়ে, আর কখনো হবে না, অনেক বিপদজ্জনক ।
আমি জানি, আমি সবসময় কি বলি । আমি সবসময় সঠিক কথাই বলি ।
- এটা তুমি একদিনে অথবা দুই দিনের মধ্যেই ভুলে যাও ।
- ভুলে যাবার দিন আমার কাছে শেষ হয়েছে ।
মনে রাখার দিন আমার কাছে শুরু হয়েছে ।
তুমি জান, তুমি কখন এসব কথা বলো,
তুমি আসলে নিজেকে কি মনেকর ?
- নিজেকে একজন বিচক্ষণ অযোগ্য মানুষ মনে হয় ।
- তোমাকে দেখে মনে হয় একটা পাতিহাঁস ।
- প্যাঁক , প্যাঁক , প্যাঁক (পাতিহাঁসের ডাক) ।
- মন দিয়ে শোন, কারন তুমি আর কখনো এটা শুনতে পাবে না ।
যেহেতু, আমি এটা আবার করতে যাচ্ছি না, তাই তুমি কখনো আমার প্যাঁক-প্যাঁক ডাক শুনতে পাবে না ।
- আজ রাতে ?
- ঠিক বলেছ, আমি আজ সারারাত প্যাঁক-প্যাঁক করে যাবো ।
- আমি আরও কফি নিয়ে আসতে পারি ?
- হ্যাঁ, নিশ্চয়ই !
- থ্যাংক ইউ ।
- ওয়েলকাম ।
আমি বলতে চাচ্ছি, এখন এটাই সেই কাজ
তুমি একই ঝুঁকি নিতে পারো, যখন তুমি ব্যাংক ডাকাতি করেছিলে ।
তোমাকে আরও বেশি ঝুঁকি নিতে হবে ।
ব্যাংকে ডাকাতির কাজ সহজ ।
ফেডারেল ব্যাংকগুলো ডাকাতির সময় কোনভাবেই তোমাকে থামাতে পারেনি ।
ব্যাংকগুলো বীমা করা । তারা কেন ডাকাতির সুযোগ দেবে ? আমার এখন ফেডারেল ব্যাংকে ডাকাতি করতে বন্দুকের প্রয়োজন হয় না ।
তুমি একজন গ্যাংস্টারের কথা শুনে থাকতে পারো, সে একটা পোট্যাবল ফোন নিয়ে ব্যাংকের মধ্যে হেঁটে বেড়ায় ।
তখন সে ফোনটা নির্দেশদাতার কাছে দেয় আর গ্যাং ব্যাংকের অন্য পাশে থেকে বলে -
“আমাদের লোকজন বাচ্চা মেয়েটিকে ধরেছে, তোমরা যদি তাকে তোমাদের সব টাকা না দাও আমারা মেয়েটিকে মেরে ফেলবো”
- এভাবে কি কাজ হয় ?
- হ্যাঁ, এভাবেই কাজগুলো হয়ে থাকে, আর আমি তোমাকে যেভাবে বলছি ।
কুলসন টেলিফোন নিয়ে ব্যাংকের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করে । কোন পিস্তল নয়, কোন শর্ট-গান নয় সামান্য একটি ফোন নিয়ে ।
- কাজগুলো করতে তারা এই সামান্য আঙুলগুলোও ব্যবহার করে না ।
- তারা বাচ্চা মেয়েটির কোন ক্ষতি করেছিল ?
আমি জানি না, তারা সম্ভবত বাচ্চা মেয়েটির কোন ক্ষতি করেনি, এই গল্পের মূল জায়গাটা বাচ্চা মেয়েটি নয় ।
এই গল্পের মূল জায়গাটা হচ্ছে, তারা ব্যাংক ডাকাতি করে সামান্য একটি টেলিফোনের মাধ্যমে ।
- তুমি ব্যাংক ডাকাতি করতে চাও ?
- আমি বলছি না, আমি ব্যাংক ডাকাতি করতে চাচ্ছি ।
আমি শুধু উদাহরণ দিচ্ছি, আমরা যদি এটা করতাম, এটা আমাদের জন্য সহজ হতো আমার এখন যেভাবে কাজ করছি ।
- আর কোন নেশা জাতীয় বস্তু লাগবে না ?
- আমরা এতক্ষণ কি কথা বলছিলাম ? হ্যাঁ কোন নেশা জাতীয় বস্তু লাগবে না ।
তাছাড়া, এটা কোন মুখ চেপে ধরে হাসার বিষয় নয় সেখানে অনেক বেশি বিদেশি আছে, যারা নিজেদের জন্য নেশা জাতীয় বস্তু সংরক্ষণ করে রাখে ।
ভিয়েতনামের মানুষ রয়েছে, কোরিয়ার মানুষ রয়েছে যারা এখনো পর্যন্ত সামান্য ইংলিশেই কথা বলতে পারে না ।
তুমি যদি তাদের বলো তোমাদের সবকিছু দিয়ে দাও, তারা বুঝবে না তুমি তাদের কি বলছো ।
তারা এটা অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে করে ।
- আমরা এভাবে এটা করতে পারি, যেভাবে অশ্বেতাঙ্গ বিদেশী ডাকাতরা আমাদের দিয়ে তাকে খুন করায় ।
- আমি কাউকে খুন করতে যাচ্ছি না ।
আমিও কাউকে খুন করতে চাই না, কিন্তু তারা আমাদের সম্ভবত এই পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়, যেখানে নিজেদের খুন হতে হয় অথবা তাদের খুন করতে হয় ।
আর এটা যদি অশ্বেতাঙ্গ বিদেশী না হয় -
এই সকল পুরানো ইহুদীরা, যারা পনের জেনারেশন ধরে নেশা জাতীয় বস্তু সংরক্ষণ করে আসছে ।
তোমার দাদুর কথাই ধরো যে কাউন্তটারের পেছনে মদের বোতল হাতে বসে আছে ।
ঐ জায়গাগুলোতে হাঁটার চেষ্টা করো কিছুই লাগবে না, শুধু একটি ফোন ।
দেখ, তোমার থেকে এটা কত দুর । এটা ভুলে যাও ।
- আমরা এখন এসব চিন্তা-ভাবনার বাইরে ।
- ভাল, তারপর কি, এগুলোকে কাজ হিসাবে নিতে হবে ?
- এই জীবনে নয় ।
- তারপর কি ?
গারসন, কফি নিয়ে এসো !
এই জায়গাতে ।
গারসন ছেলেদের নাম । (বুঝেছো ছোকরা)
এই জায়গাতে ?
কফির দোকানে ।
এখানে ভুলের কি হলো ?
কেউ এখন পর্যন্ত রেস্টুরেন্ট ডাকাতি করেনি, তাহলে কেন নয় ?
বার, নেশা জাতীয় বস্তু
গ্যাস পাবে, যদি তুমি তাদের মাঝে মাথা তুলে কথা বলতে পারো ।
রেস্টুরেন্টের ক্ষেত্রে যেটা হয়, তুমি যদি তাদের পোশাক খুলে ফেলতে পারো -
তারা আশা করতে পারবে না, তাদের ডাকাতি হয়েছে । কেউই এটা আশা করতে পারবে না যেকোনো ভাবেই ।
- আমি বাজি ধরে বলতে পারি, তুমি এই জায়গাতে সহজেই হিরোর ভূমিকায় অভিনয় দেখাতে পারবে ।
- ঠিকই বলেছ ।
ব্যাংকের মতো এই জায়গাটিও বীমা করা ।
ম্যানেজার, সে আমাদের সুযোগ দেবে না ।
তারা শুধু তোমাকে বের কারার চেষ্টা করবে কাস্টমারদের উপর গুলি করার আগেই ।
অপেক্ষা করা, এমন চিন্তা-ভাবনা ভুলে যাও । কোন উপায় নেই তারা গুলি খাবেই টাকা না দেবার কারনে ।
বাসের ছেলেদের দেখ, যাদের প্রতি ঘণ্টায় দশ টাকা দিতে হয়...
এটা সত্যিই কষ্ট হয়ে যায় তুমি যদি এই ধরনের মালিকের অধীনে চুরি করো ।
কাস্টমারা যারা এখানে তাদের মুখের সামনে খাবার নিয়ে বসে থাকে, তারা জানে না আসলে এখানে কি হচ্ছে ।
প্রথম মিনিটে, তারা বসে ডিমের পিঠা খাবে, পরের মিনিটে কেউ তাদের মাথায় পিস্তল ধরবে ।
দেখ, আমি এই ধারনাটি পেয়েছি শেষবার যখন আমরা নেশা জাতীয় বস্তু স্টক করেছিলাম, মনে পড়ে ?
- সব কাস্টমার আমাদের কাছে এসেছিল ।
- ইয়াহ ।
তোমার ধারনা যদি এটা হয় তুমি তাদের মানিব্যাগ নেবে, সেটা একটা দারুন ধারনা ছিল ।
- ধন্যবাদ ।
- আমরা রেজিস্টার থেকে যে টাকাগুলো পেয়েছিলাম তার চেয়েও বেশি পেয়েছিলাম মানিব্যাগগুলো থেকে ।
- হ্যাঁ, আমরা এটা করেছিলাম ।
- অনেক মানুষ রেস্টুরেন্টে আসবে ।
- সাথে অনেক মানিব্যাগ থাকবে ।
- দারুন ধারনা, কি ?
দারুন ধারনা ।
আমি তৈরি, চলো এটা করি । এই মুহুর্তে, ঠিক এখানে ।
- এসো ।
- ঠিক আছে । শেষবার যেভাবে ডাকাতি করেছিলাম, মনে আছে ?
তুমি লোকজনদের নিয়ন্ত্রণ করবে ।
আমি কর্মচারীদের নিয়ন্ত্রণ করবো ।
- আমি তোমাকে ভালোবাসি, পাম্পকিন (কুমড়ো)
- আমি তোমাকে ভালোবাসি, হানিবানি (খরগোশ)
সবাই শান্ত থাকবে ! এটা ডাকাতি !
কেউ এক ইঞ্চিও নড়বে না আর আমি তোমাদের প্রত্যেককে সতর্ক করছি !
আর আমি তোমাদের শেষবারের মত বলছি প্রত্যেকই গুলি করা হবে ।
আর আমি তোমাদের শেষবারের মত বলছি প্রত্যেকই গুলি করা হবে ।
♪ [ “মিউজিক” ] ♪
♪ [ রেডিও বাজবে ] ♪
♪ [ “জঙ্গল বুগি” ] ♪
- ♪ জঙ্গল বুগি ♪
- ♪ বুগিতে ফিরে যাও ♪
- ♪ জঙ্গল বুগি ♪
- ♪ বুগিতে যাও ♪
- ♪ জঙ্গল বুগি ♪
- ♪ বুগিতে ফিরে যাও ♪
- ♪ জঙ্গল বুগি ♪
- ♪ বুগিতে যাও ♪
- ♪ জঙ্গল বুগি ♪
- ♪ বুগিতে উঠো ♪
- ♪ জঙ্গল বুগি ♪
- ♪ উপরে উঠার সাথে নিচে নামো ♪
- ♪ জঙ্গল বুগি ♪
- ♪ বুগিতে নামো ♪
- ♪ জঙ্গল বুগি ♪
- ♪ চারিদিকে যেতে থাকো ♪
- ঠিক আছে, আমাকে হ্যাশ বার (সিগারেট বিশেষ) সম্পর্কে আবার বলো ।
- ঠিক আছে, তুমি কি জানতে চাও ?
- (ভিনসেন্ট, এখানে তার ইউরোপের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছে)
- হ্যাশের এখানে বৈধতা রয়েছে, ঠিক ?
- এটা বৈধ, কিন্তু হ্যান্ডডেট পারসেন্ট বৈধতা নেই ।
তুমি রেস্টুরেন্টের মধ্যে হেঁটে বেড়াতে পারবে না, তারা একজোট হয়ে ধোঁয়া ওড়াবে ।
আমি বলতে চাচ্ছি, তারা চাই তুমি ধূমপান করবে তোমার বাড়িতে অথবা পরিচিত জায়গাগুলোতে ।
- তুমি, হ্যাশ বার সম্পর্কে জান ?
- হ্যাঁ, এটার ক্ষেত্রে কিছুটা নিষেধাজ্ঞা আছে ।
এটা কেনার বৈধতা আছে, এটা রাখার বৈধতা আছে
তুমি যদি হ্যাশ বারের প্রস্তুতকারক হও, তুমি এটা বিক্রি করার বৈধতা পাবে ।
এটা বহনের বৈধতা আছে, কিন্তু এটা কোন বিষয় নয়, কারন তোমাকে অধিক পরিমানে সংগ্রহ করতে হবে ।
আমস্টারডামের পুলিশ যদি তোমাকে বাঁধা দেয়, তাহলে তাদের কাছে তোমাকে সার্চ করাটা অবৈধ ।
- আমি বলতে চাচ্ছি, আমস্টারডামের পুলিশের এই ধরনের অধিকার নেই ।
- ওহ ছেলে ! আমি যাচ্ছি...
এগুলো সব এখানে আছে । আমি যাচ্ছি...
আমি জানি, ছেলে । তুমি এটা খুব পছন্দ করতে ।
- কিন্তু তুমি কি জান, ইউরোপের কোন বিষয়টা আমার কাছে হাস্যকর মনে হয় ?
- কোনটা ?
এটা একটু ভিন্ন । আমি বলতে চাচ্ছি, তারা একই বাজে জিনিস সেখানে পায় যেটা তারা এখানে পায় ।
- কিন্তু শুধু এখানে, এটা একটু ভিন্ন ।
- উদাহরন দাও ।
তুমি অ্যামস্টারডামের সিনেমা হলের মধ্য দিয়ে হেঁটে বিয়ার কিনে আনতে পারো ।
আর আমি শুধু পেপার কাপকেই বোঝাচ্ছি না, আমি এক গ্লাস বিয়ারের কথাও বলছি ।
আর প্যারিসে তুমি অল্প ডলারে বিয়ার কিনতে পারবে, তুমি জান তারা কি বলে...
a Quarter Pounder with Cheese প্যারিসে ?
তারা এটা বলে না a Quarter Pounder with Cheese ?
তাদের সেখানে ছন্দোময় সব সিস্টেম রয়েছে । তারা জানে না a Quarter Pounder with Cheese কি ।
- তারা এটাকে কি বলে ?
- তারা এটাকে বলে a Royale with Cheese.
- a Royale with Cheese.
- ঠিকই বলেছ ।
তারা a Big Mac কে কি বলে ?
Big Mac এর অর্থ a Big Mac কিন্তু তারা এটাকে Le Big Mac বলে ।
[ ফরাসি উচ্চারণভঙ্গি অনুসারে “লে বিগ ম্যাক” (উচ্চহাসি) ]
- তারা Whopper কে কি বলে ?
- আমি জানি না, আমি Burger খাইনি ।
- তুমি জান, তারা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের পরিবর্তে হল্যান্ডে কেচাপ (আচার) খায় ।
- কি ?
- Mayonnaise [ মৃদুহাসি ]
- বাজে !
- আমি দেখেছি, তারা এটা করে । তারা এটা খেয়ে তাদের দুঃখ ভুলতে চায় ।
- Yuck ।
এই ধরনের কাজে আমাদের বন্দুক সাথে নিতে হবে ।
- সেখানে কতজন আছে ?
- তিনজন অথবা চারজন ।
- আমাদের লোকজন ওদের সংখ্যা গুনেনি ?
- নিশ্চিত নই ।
- তাহলে বলতে চাচ্ছ, সেখানে পাঁচজনের বেশি আছে ?
- এটা হতে পারে ।
আমাদের শুধু সামান্য বন্দুকই রয়েছে ।
- তার নাম কি ?
- মিয়া ।
- মিয়া । তাহলে মারসেলাসের সাথে তার কিভাবে পরিচয় হলো ?
- আমি জানি না ।
সেটা যাইহোক, যেভাবে মানুষের সাথে মানুষের পরিচয় হয় । সে একজন অভিনেত্রী হতে চেয়েছিল ।
ওহ, সত্যি ? সে এমন কিছু করেছে যা আমি দেখেছি ?
- আমার মনে হয়, তার সবচেয়ে বড় সাফল্য সে পাইলটে অভিনয় করেছে ।
- পাইলট, পাইলট বলতে তুমি কি বোঝাতে চাচ্ছ ?
- তুমি টেলিভিশনের শো-গুলো সম্পর্কে জান ?
- আমি টেলিভিশন দেখি না ।
হ্যাঁ, কিন্তু তুমি এই বিষয়ে জান, এখানে একটি জিনিস আবিষ্কার হয়েছে যেটাকে টেলিভিশন বলা হয়
- আর এই আবিষ্কারের কারনেই তারা শো-গুলো করে, ঠিক আছে ?
- ইয়াহ ।
যখন তারা টেলিভিশন শো-গুলো করে থাকে, ঐ শো-গুলোকে বলা হয় পাইলট ।
তারপর তারা সেখান থেকে দর্শকের সামনে একটা শো উপস্থাপন করে, যারা শো-গুলো পছন্দ করে...
আর এভাবে এক-একটা শো-এর জনপ্রিয়তার উপর ভিক্তি করে তারা সিদ্ধান্ত গ্রহন করে থাকে তারা আরও শো করবে ।
কিছু শো জনপ্রিয়তা পায় সেগুলো টেলিভিশনের প্রোগ্রাম হিসাবে পরিচিতি পায় । আর কিছু শো জনপ্রিয়তা পায় না সেগুলোর কিছু হয় না ।
সে এগুলোর মধ্যে একটিতে অভিনয় করেছে, যেটা জনপ্রিয়তা পায়নি ।
তোমার এনটআন রাকামোরার কথা মনে আছে ?
অর্ধেক-কালো অর্ধেক-সাদা । আমরা তাকে “টনি রকি হরর” বলে ডাকতাম ।
- হ্যাঁ, সম্ভবত মনে আছে । মোটা ধরনের, তাই না ?
- আমার খুব বেশি মনে পড়ছে না, যতদূর মনে পড়ে আমি তাকে মোটা ভাই বলে ডাকতাম ।
আমি বলতে চাচ্ছি, তার ওজন নিয়ে একটু সমস্যা ছিল । তাহলে নিগ্রোদের কি করতে হবে ? সে শ্বেতাঙ্গ ।
- আমার মনে হয়, আমি জানি তুমি কার কথা বলছো । তার কি হয়েছিল ?
- মারসেলাস তাকে ভালভাবেই শাস্তি দিয়েছিল ।
মারসেলাস ওয়ালেসের স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিয়ে গুজব ছড়িয়েছিল ।
[ লিফটের বেল বাজবে ]
- ঠিক আছে, সে কি করেছিল ? *** ?
- না, না, না, না, না । খারাপ কিছু হয়নি ।
- ঠিক আছে, তারপর কি হয়েছিল ?
- সে, তাকে ফুট ম্যাসেজ (সামান্য আদর) দিয়েছিল ।
ফুট ম্যাসেজ !
- এটাই কি “সেটা” ?
- হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছো ।
তারপর মারসেলাস তার কি করেছিল ?
কিছু বিড়াল ছানা (পালিত গুন্ডা) তার বাড়িতে পাঠিয়েছিল । তারা তাকে তার বারান্দায় বের করে নিয়ে আসলো ।
বারান্দায় উপর তাকে প্যাকরাও করলো । নিগ্রোদের গল্প যেমন হিংস্র হয়ে থাকে ।
তার বাড়ির চারিদিকে কাঁচে ঘেরা একটা ছোট বাগান ছিল, বলতে পারো অনেকটা গ্রীন হাউজসের মতো ।
নিগ্রোদের গল্প যেমন হিংস্র হয়ে থাকে ।
তারপর থেকে, তার কথা বলার কিছুটা উন্নতি হয়েছে ।
- তাহলে এটা খুবই লজ্জার বিষয় ।
- হ্যাঁ, সেটাই ।
- কিন্তু তুমি এখনো তার সাথে ম্যাচ খেলে বেড়াচ্ছ, তোমার কিন্তু ক্ষতি হতে পারে ।
- তুমি কি বলতে চাচ্ছ ?
তুমি অবশ্য মারসেলাস ওয়ালেসের সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে ফুট ম্যাসেজ দিতে যাচ্ছ না ।
তুমি এটা ভাবলে না, সে আমার উপর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাবে ?
এনটআন মারসেলাসের কাছে থেকে এমন কিছু প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা করেনি যেটা সে করেছে, কিন্তু সে একটা প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা করেছিল ।
এটা ছিল একটা ফুট ম্যাসেজ । আসলে ফুট ম্যাসেজ বিষয়টা কিছুই না । আমি আমার মাকে ফুট ম্যাসেজ দিই !!
বলতে চাচ্ছ, এটা এক ধরনের হাত চালানো, যেমনটা পরিচিত উপায়ে মারসেলাসের সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর সাথে হয়ে থাকে ।
আমি বলছিলাম, এটা এতোটা খারাপ না, যেটা মারসেলাসের স্ত্রীর *** না, কিন্তু এটা অনেকটা বলপার্কের মতো ।
ও-ও-ও এখানেই থামো, অনেক বুঝে গিয়েছ, পতিতার স্বাদ গ্রহন করা...
আর একজন পতিতাকে ফুট ম্যাসেজ দেওয়া বাস্তবিক অর্থে এক জিনিস নয় ।
- আসলে সেটা না । এটা অনেকটা বলপার্কের মতো ।
- আমরা এসব বলপার্কের কথা বন্ধ করতে পারি না ?
ঠিক আছে এখন শোন, সম্ভবত তোমার ফুট ম্যাসেজ আর আমার ফুট ম্যাসেজের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে ।
কিন্তু, মারসেলাসের স্ত্রীর পায়ের আঙ্গুল স্পর্শ করা আর তোমার ঠোঁটের স্পন্ধন মহাপবিত্র থেকেও বেশি কিছু...
এটা বলপার্কের মতো না, এটা একই জিনিস নয়, আবার এটা একই জায়গাও নয় ।
- ফুট ম্যাসেজ এমন কোন কঠিন কাজ নয় ।
- তুমি কি কোন মেয়েকে ফুট ম্যাসেজ দিয়েছ ?
[ উপহাস ]
আমাকে ফুট ম্যাসেজ সম্পর্কে বলতে, বলো না ।
- আমি একজন ফুট ম্যাসেজ বিশেষজ্ঞ !
- তুমি তাদের অনেক কিছু দাও ?
কি বলো !
আমি ছোট বেলা থেকেই এসব টেকনিক আইত্ত করেছি, আর আমি ভয়ও পাচ্ছি না, এমনকি পিছুও হটবো না ।
তুমি কোন ছেলেকে ফুট ম্যাসেজ দিয়েছ ?
- ***
- [ মৃদুহাসি ]
- তুমি তাদের অনেক কিছু দিয়েছ ?
- ***
- তুমি জান, আমি অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়েছি নইলে আমিও ফুট ম্যাসেজ দিতে পারি ।
- হ্যাঁ, হ্যাঁ সেটাই ।
পেছন থেকে তুমিই সেরা । আমি এখানে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত ।
- এটা দরজা ।
- হ্যাঁ ।
তোমার ঘড়িতে ক’টা বাজে ?
৭.২২
এখনো সঠিক সময় আসেনি । এদিকে এসো তোমাকে ফুট ম্যাসেজ সম্পর্কে আরও একটু জ্ঞান দিচ্ছি ।
দেখ, আমি কাউকে ফুট ম্যাসেজ দেয়নি, আর এটাও সঠিক নয়...
মারসেলাস, এনটআনকে কাঁচের তৈরি বিল্ডিং বাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে
নিগ্রোরা যে মিথ্যা কথা বলে, সেটাও সঠিক নয় ।
কুত্তারা এটা করে থাকে যেটা আমাকে কষ্ট দেয়, তারা আমাকে পক্ষাঘাত করার জন্য যথেষ্ট, কারন আমি এসব কুত্তাদের খুন করি ।
আমি বলছি না এটা সঠিক, কিন্তু তুমি ফুট ম্যাসেজ সম্পর্কে বলছো এটা কিছুই না । আমি বলছি এটা হয়েছে ।
দেখ, আমি মিলিয়ন মেয়েকে মিলিয়ন ফুট ম্যাসেজ দিয়েছি, আর সবারই কিছু কারন ছিল ।
আমাদের আচারন ছিল এ রকম তারা এটা করেনি, কিন্তু তারা এটা করেছে । তাহলে দেখ, এটা তাদের সম্পর্কে কেমন সুন্দর ধারনা ।
সেখানে ইন্দ্রিয় বিষয় সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছে...
তুমি কোথাও এই বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করবে না, কিন্তু তুমি এটা জান আর সেও এটা সম্পর্কে জানে ।
মারসেলাস এটা সম্পর্কে জানত । আর এনটআন অবশ্যই এই বিষয় সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানত ।
এটাই তার পতিতা স্ত্রী, ছেলে । এমন কেউ নেই যে এই বিষয় সম্পর্কে জানে না ।
তুমি বুঝতে পাচ্ছ, আমি কি বলছি ?
(কথিত, এনটআন, মারসেলাস ওয়ালেসের স্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ায় মারসেলাস ওয়ালেস তাকে শাস্তি স্বরূপ চার তালা বিল্ডিং বাড়ির জানালা থেকে ফেলে দিয়েছিল)
এটা একটা কৌতূহলের জায়গা ।
এসো, “পাল্প ফিকশন” মুভিতে অভিনয় করে আসি ।
- তার নামটা আবার বলো ?
- মিয়া ।
- মিয়া ।
- তুমি এমন গ্যাংস্টারের স্ত্রীর নাম সম্পর্কে কৌতূহলী কেন ?
মারসেলাস ফ্লোরিডা শহরের বাইরে যাচ্ছে, আর সে আমাকে বলেছে, যখন সে শহরের বাইরে যাবে, আমি যেন মিয়া ওয়ালেসের দেখাশোনা করি ।
- তার দেখাশোনা করবে ?
- না, শুধু তার দেখাশোনা করা ।
তাকে কিছুটা সময় দেওয়া । এতটুকো নিশ্চিত করা, যেন সে যেন একাকী অনুভব না করে ।
তুমি বলতে চাচ্ছ, তুমি মিয়া ওয়ালেসকে নিয়ে ডেটিংয়ে যাবে ?
এটা ডেট নয় ।
এটা অনেকটা এ রকম, যদি তুমি তোমার স্ত্রীকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাও অথবা সেটা হতে পারে অন্য কিছু ।
- এটা শুধু ভাল বন্ধু হিসাবে সঙ্গ দেওয়া, এসব কিছুই ।
- [ দীর্ঘশ্বাস ]
- এটা কোন ডেট নয় । সত্যিই এটা কোন ডেট নয় ।
- [ দীর্ঘশ্বাস ]
হেই ছেলেরা, দিনকাল কেমন চলছে ?
হেই ঠিক আছে, শুয়ে থাকো ।
(দারুন)
তোমারা জান, আমরা কে ?
আমরা তোমাদের বিজনেস পার্টনারের লোক, মারসেলাস ওয়ালেস ।
তোমাদের অবশ্যই তোমাদের বিজনেস পার্টনারের কথা মনে আছে, মনে নেই ?
ঠিক আছে, এখন আমাকে অবাস্তব কিছু একটা ভাবতে দাও ।
- তুমি ব্রেট, ঠিক বললাম ?
- হ্যাঁ ।
আমিও সেটাই ভাবছিলাম । তোমার বিজনেস পার্টনারের কথা মনে আছে, মারসেলাস ওয়ালেস
মনে নেই, ব্রেট ?
হ্যাঁ, আমার মনে আছে ।
দারুন । দেখ, ছেলেরা তোমাদের সাথে আমার আর ভিনসেন্টের অনেকটা ব্রেকফাস্টের সময়ই দেখা হয়ে গেল ।
এ জন্য দুঃখিত । এটা দেখতে পারি ?
হ্যামবার্গার ।
হ্যামবার্গার ! যেকোনো পুষ্টিকর ব্রেকফাস্টের জন্য এটা লাগবেই ।
কোন ধরনের হ্যামবার্গার ?
- চী-চীজ বার্গার ।
- না, না, না ।
তুমি এগুলো কোথায় পেলে ? ম্যাক ডনালেড, ওয়েনডে, নাকি জ্যাক বাস্কে ?
- কোথায় ?
- বিগ কাহুনা বার্গার ।
ওহ, কাহুনা বার্গার ! এটা অনেকটা হাওয়ায়েন বার্গারের মতো ।
আমি শুনেছি সেখানে কিছু টেস্টটি বার্গার পাওয়া যায় । আমি অবশ্য নিজের জন্য এমন বার্গার কখনো কিনেনি । তাহলে শুনি বার্গারগুলো কেমন ?
বার্গারগুলো...বার্গারগুলো ভালোই ।
তুমি মাইন্ড করবে, যদি আমি তোমার বার্গারের স্বাদ টেস্ট করি ?
- এটা তোমার বার্গার, ঠিক ?
- হ্যাঁ ।
সুস্বাদু বটে ।
এটা সত্যিই টেস্টটি বার্গার ! ভিনসেন্ট !
তুমি কখনো বিগ কাহুনা বার্গার খেয়েছ ?
এক কামড় নেবে ? এগুলো সত্যিই সুস্বাদু ।
- আমি ক্ষুধার্ত নই ।
- ঠিক আছে, তুমি যদি বার্গারগুলো পছন্দ করো, তাহলে এদের জন্য মাঝেমাঝে বার্গার নিয়ে আসতে পারো ।
যদি আমাকে বলো, আমি এগুলো নিয়ে আসতে পারবো না, কারন আমার গার্লফ্রেন্ড নিরামিষভোজী
আর সেটাই আমাকে অনেক বেশি নিরামিষভোজী করেছে ।
কিন্তু আমি সত্যিই এ ধরনের টেস্টটি বার্গারের স্বাদ নিতে পছন্দ করি, বুঝেছ ?
তুমি বলতে পারবে, ফ্রান্সে তারা a Quarter Pounder with Cheese, এটাকে কি বলে ?
- না ।
- এদের বলো, ভিনসেন্ট ।
- a Royale with Cheese.
- a Royale with Cheese.
তুমি জান, তারা এটা কেন বলে ?
কারন এটা একটা ছন্দময় সিস্টেম ?
দেখ, ব্রেট কত বুদ্ধিমান !
তুমি সত্যিই স্মার্ট কুত্তা । আসলে তুমি ঠিকই বলেছ, এটা একটা ছন্দময় সিস্টেম ।
- এর ভেতরে কি আছে ?
- স্পাইট ।
স্পাইট, দারুন ।
তুমি মাইন্ড করবে, যদি আমি তোমার টেস্টটি স্পাইটের সামান্য স্বাদ নিই ?
ঠিক আছে, নিতে পারো ।
- [ চুমুকের দীর্ঘশ্বাস ]
- [ আহ ]
এটা জায়গায় আঘাত করেছে !
তুমি, খোঁড়া ছেলে ।
তুমি জান, আমারা কেন এখানে এসেছি ?
- তুমি আমার বন্ধু ভিনসেন্টকে কিছু বলছো না কেন, তোমরা আসল জিনিসটা কোথায় লুকিয়ে রেখেছ ?
- সে ওখানে...
আমি মনে করতে পারছি না, আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছি !
তুমি যেন কি বলেছিলে ?
“ওটা” আলমারিতে রয়েছে ।
না,“ওটা” নিচের আলমারিতে ।
[ জিনিসপত্রের শব্দ ]
[ জিনিসপত্রের শব্দ হতে থাকবে ]
আমরা খুশি হতে পারি ?
ভিনসেন্ট ?
- আমরা খুশি হতে পারি ?
- হ্যাঁ, আমরা খুশি হতে পারি ।
[ দীর্ঘশ্বাস ]
দেখ, আমি এটার জন্য দুঃখিত, আমি...আমি তোমার নাম শুনেনি ।
আমি শুধু তোমার নাম জানি ভিনসেন্ট, ঠিক আছে ? কিন্তু আমি সত্যিই তোমার নাম কখনো শুনেনি ।
- আমার নাম পিট, আর তোমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক এটা স্মরন করতে পারছে না ।
- না, না, না ।
আমি শুধু তোমাদের জানাতে চাচ্ছিলাম, কিভাবে...
(বসে কথা বলো)
আমি সত্যিই তোমাদের জানাতে চাচ্ছিলাম, যে আমরা কতটা দুঃখিত এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য...
আমাদের এবং মি. ওয়ালেসের সাথে ।
আমরা এই ঘটনাটিকে গুরুত্বসহকারে নিয়েছি, সত্যিই । কিন্তু আমি কখনো...
ওহ আমি দুঃখিত, আমি তোমার মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটালাম ?
- [ মুমুর্ষু অবস্থা ]
- আমি এটা করতে চাইনি, প্লিজ বোঝার চেষ্টা করো ।
ঠিক আছে বলতে থাকো, তুমি তোমার উদ্দেশের কথা বলছিলে...
তারপর কি হলো ? ওহ, তোমার বলা শেষ হয়ে গেছে !
ঠিক আছে, আমি তোমাকে পুনরায় বলার অনুমতি দিচ্ছি ।
এখন বলো, মারসেলাস ওয়ালেস দেখতে কেমন ?
হোয়াট ?
- তুমি কোন দেশ থেকে এসেছ ?
- হোয়াট ?
- “হোয়াট” শব্দটি আমি পৃথিবীর কোন দেশের মানুষের মুখ থেকে এখনো পর্যন্ত শুনেনি । তারা ইংলিশে কথা বলে আর “হোয়াট” অর্থ জানে না ।
- হো-হোয়াট ?
- ইংলিশ, কুত্তা ! তুমি ইংলিশে কথা বলো ?
- হ্যাঁ ।
- তাহলে তুমি বুঝতে পারছো, আমি কি বলছি ?
- হ্যাঁ ।
আমাকে বলো...মারসেলাস ওয়ালেস দেখতে কেমন !
- হোয়াট ! আমি...
- আর একবার “হোয়াট” বলো ! (তোমার মাথার খুলি উড়িয়ে দেব)
আর একবার “হোয়াট” বলো ! আমি তোমাকে বলতে বলছি ! আমি তোমাকে আবার বলতে বলছি, কুত্তা !
- আর একবার যদি “হোয়াট” বলো !
- সে-সে দেখতে কালো ।
- আরও বলো !
- তার মাথায় চুল নেই ।
- তাহলে সে নেকড়ে কুত্তার মতো দেখতে ?
- হোয়াট ? (আবার হোয়াট)
- [ গুলির শব্দ ]
- [ চিৎকার করবে ]
সে কি...নেকড়ে কুত্তার মতো দেখতে ?
- না ।
- তাহলে তাকে তুমি নেকড়ে কুত্তা বলে অপমান করতে চেয়েছিলে কেন, ব্রেট ?
- আমি তাকে অপমান করেনি ।
- হ্যাঁ, তুমি তাকে অপমান করেছ, তুমি তাকে অপমানই করেছ, ব্রেট !
- তুমি তাকে অপমান করতে চেয়েছিলে ।
- [ মুমুর্ষু অবস্থা ] না, না ।
কিন্তু মারসেলাস ওয়ালেস কারুর কাছ থেকে অপমান পছন্দ করেন না, শুধুমাত্র মিসেস ওয়ালেস ছাড়া ।
- তুমি বাইবেল পড়ো, ব্রেট ?
- হ্যাঁ !
সেখানকার একটি প্যাসেজ আমার মুখস্ত আছে । যেটা এই পরিস্থিতির জন্য উপযোগী ।
ইজিকেল ২৫;১৭
“নিষ্ঠাবান মানুষের পথ...
সবদিক থেকেই অবরুদ্ধ থাকে স্বার্থপরতার বেড়াজাল স্বরূপ...
অসৎ স্বৈরশাসকদের হাতে ।
শান্তি বর্ষিত হোক তার উপর, যে দানশীল আর মঙ্গল কামনাকারী
দুর্বলদের সাহায্য করে অন্ধকারের বিপদ থেকে
সে সত্যিই তার ভাইয়ের সাহায্যকারী...
আর খোঁজকারী যে তার শিশুদের হারিয়েছে ।
আর আমি এখন এর সমুচিত প্রতিশোধ গ্রহন করবো...
অগ্নিমূর্তি রুপে...
যারা বিষপান করানোর চেষ্টা করেছে এবং আমার ভাইয়ের ক্ষতি করেছে !
আর এখন তুমি জানবে আমার নাম লর্ড...
যখন আমি আমার প্রতিশোধ গ্রহনের জন্য তোমার উপর অগ্নিমূর্তি ধারন করি”
[ চিৎকার করবে ]
[ গুলির শব্দ ]
[ “আমাদের সাথেই থাকুন” ]
[ ম্যান ]
আমি মনেকরি তুমি খুঁজতে যাচ্ছ...
যখন সবকিছু শেষ হয়ে গেছে...
আমি মনেকরি তুমি নিজেকে খুঁজতে যাচ্ছ একজন খুশি কুত্তার মাঝে ।
বিষয়টা হচ্ছে এটা বাচস,
ঠিক এই মুহূর্তে...যদি তোমার ক্ষমতা থাকে ।
কিন্তু সম্ভবত দুঃখের কথা হচ্ছে...
ক্ষমতাই...শেষ কথা নয় ।
আর যদি তুমি মনে করো তোমার দিন শেষ হয়ে গেছে...(বুড়ো বলে)
তবে সেটাই হবে তোমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ।
কিন্তু এই বিষয়টা তোমার জীবনের, তোমার ভাগ্যকে হতে হবে বাস্তবতাবাদী ।
তুমি দেখবে, এই ধরনের কাজ অবাস্তবতাবাদী কুত্তাদের সাথে হয়ে থাকে ।
কুত্তারূপি মানুষ যারা মনেকরে তাদের ভাগ্য বয়সের সাথে অনেকটা মদের মতো ।
তুমি যদি মনেকর এটা জীবনের তিক্ততা...তাহলে সেটাই ।
তুমি যদি মনেকর বক্সিং খেলা বয়সের সাথে মানাবে...এটা সেটা নয় ।
তাছাড়া, বাচস
(বুড়ো বয়সে) যে কোন অবস্থায় তুমি ক’টি বক্সিং ম্যাচ খেলতে পারবে ?
হুম ?
দু’টো ?
বক্সারদের সবসময় অতীত যৌবন নিয়ে চিন্তা করলে চলে না ।
তুমি কাছে এসেছিলে, কিন্তু তুমি কখনো বক্সিং ম্যাচ জিততে পারনি ।
আর যদি তুমি বক্সিং ম্যাচ জিততে চাইতে, তাহলে তোমাকে সেটা বক্সিং ম্যাচ শুরুর আগেই করতে হতো ।
♪ [ মিউজিক চলতে থাকবে ] ♪
(আজ রাতের বক্সিং ম্যাচটা ইচ্ছাকৃতভাবে হেরে যাবার জন্য ঘুষ দিচ্ছে...)
তুমি, আমার লোক ?
অবশ্য উপস্থিত দৃষ্টি সেটাই বলে ।
[ মৃদুহাসি ]
আজকের রাতটি ফাইটের, তুমি বক্সিং ম্যাচটাকে হালকাভাবে নেবে ।
আর এই অহংকার তোমার সাথেই রয়েছে ।
অহংকার ঝেরে ফেল !
অহংকার শুধু কষ্টই দেয় ।
এটা কখনো সাহায্য করে না ।
তুমি এই অহংকার নিয়ে বক্সিং ম্যাচ খেল ।
কারন এখন থেকে এক বছর আগে, যখন তুমি ক্যারিবিয়ানে এসব করতে
তুমি নিজেই নিজেকে বলতে, “মারসেলাস ওয়ালেস সঠিক কথাই বলেছিল” ।
[ মৃদুহাসি ]
বক্সিং ম্যাচ হারার বিষয়ে আমার কোন সমস্যা হবে না, মি. ওয়ালেস ।
পঞ্চম রাউন্ডে, “তুমি হেরে যাবে” ।
এটা বলো ।
পঞ্চম রাউন্ডে, “আমি হেরে যাবে” ।
ওহ, ভিনসেন্ট ভিগা । আমাদের বন্ধুরা অ্যামস্টারডামে ।
জুলস ওয়িনফিল্ড, আমাদের বন্ধুরা ভেতরে আছে, তোমরা দু’জন ভেতরে এসো ।
- নিগ্রোদের এসব পোশাকে কি আসে-যায় ।
- তুমি এখনো এসব বিষয়ে কিছু জান না ।
বিগ ম্যান কোথায় ?
বিগ ম্যান ওখানে আছে, এইতো ব্যাবসা নিয়ে কথা বলছে ।
তুমি কিছু সময়ের জন্য পেছনে থাকতে চাচ্ছ না কেন ? দেখ কখন সাদা লোকটা কথা শেষ করে, ওদিকে লক্ষ্য রাখো ।
[ ভিনসেন্ট ]
কেমন চলছে ?
- মোটামটি, না মরে বেঁচে আছি । তোমার কি অবস্থা ?
- একই ।
শুনেছি, তুমি আগামীকাল মিয়া ওয়ালেসকে নিয়ে ডেটিংয়ে যাবে ?
সেটাও মারসেলাসের অনুরোধে ।
- তুমি মিয়ার সাথে দেখা করেছ ?
- এখনো না ।
- [ উচ্চহাসি ]
- এতে আক্কেল দাঁত বের করে হাসির কি হলো ?
- এটা খারাপ কিছু না ।
- আমাকে একটু প্রসব করতে যেতে হবে ।
দেখ, আমি কোন গর্দভ নয়, ঠিক আছে ? সে কিন্তু গাংস্টারের স্ত্রী ।
আমি শুধু তার কাছে যাচ্ছি, আমার খাবার গ্রহন করতে আমার মুখ বন্ধ করে ।
মিষ্টি হাসি, কিছু জোক...আর এটাই সবকিছু ।
হেই, দেখ আমার নাম পল আর আমাকে এসবের মধ্যে জড়িয় না ।
তাহলে, আমাকে এসব বাজে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছো কেন ?
[ আস্তে করে ]
গর্দভ কোথাকার ।
- এক প্যাকেট রেড অ্যাপেল (সিগারেট বিশেষ) হবে ?
- ফিল্টার চাচ্ছ ?
না ।
- তুমি কাউকে খুঁজছো...হুম, তোমার বন্ধু ?
- তুমি আমার বন্ধু নও, টাকওয়লা ।
- কি বললে ?
- আমার মনে হয় তুমি খুব ভালভাবেই আমার নাম শুনেছ, টাকওয়লা ।
ভিনসেন্ট ভিগা তুমি ওখানে আছো ?
আমার লোক, ওখান থেকে সরে এখানে এসো ।
- কেমন চলছে ?
- আমি দূরব্যবহারের জন্য দুঃখিত ।
তোমাকে এই বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে হবে না ।
রেড অ্যাপেলের জন্য দু’ডলার দিতে হবে ।
সাথে একটা ম্যাচ দাও ।
ধন্যবাদ ।
[ মেয়ে কণ্ঠ ] তুমি যদি এগুলো তোমার শরীরলের সব জায়গাতে পরো, বলতে চাচ্ছি *** ওটার ঠিক মাথায় ।
- ওয়াও অসাধারন ! বলো কি ?
- আমি তোমাকে এটা ধার দিবো । শরীল ছিদ্র করার বিষয়ে এটা দারুন বই ।
তুমি জান, তারা কিভাবে গান ব্যাবহার করেছিল যখন তোমার কানে ছিদ্র করেছিল, তারা এটা ব্যাবহার করেনি যখন তারা তোমার নিপলে ছিদ্র করেছিল, সত্যি ?
গানের কথা ভুলে যাও । গান সম্পূর্ণ ছিদ্রের ধারনার বিপক্ষে কাজ করে ।
আমার সব ছিদ্রগুলো দেখ, আমার শরীরলের আঠারোটি জায়গায় রয়েছে, আর এগুলোর প্রত্যেকটিই করা হয়েছে সূচের সাহায্যে ।
দুই কানে রয়েছে পাঁচটা করে, আর একটা রয়েছে আমার বামদিকের ব্রেষ্টের নিপলে ।
দুইটা রয়েছে আমার নাকের ছিদ্রের মধ্যে, একটা রয়েছে আমার বাম চোখের ভ্রুর নিচে ।
একটা রয়েছে আমার নাভিতে, আমার ঠোটে আর একটা রয়েছে আমার *** ।
- আর আমার উত্তেজনার জন্য জিহ্বাতে সবসময় একটা থাকেই ।
- [ ভিনসেন্ট ] আমি তোমাকে কিছু একটা বলতে চাচ্ছি...
আমি তোমার সত্যিই অবাক হচ্ছি...
কিন্তু, আমি বলছিলাম যে...তুমি জিহ্বাতে এটা পরো কেন ?
সেক্সের জন্য, আবার এটা কিসেও সাহায্য করে ।
ভিনসেন্ট ? আমার অফিসে এসো ।
(ল্যান্স, স্থানীয় হিরোইনের ডিলার ) এটা পাণ্ডা, মেক্সিকো থেকে নিয়ে আসা হয়েছে । খুব ভাল উত্তেজনার কাজ করে ।
ওটা ব্রাভা, একটু ভিন্ন কিন্তু ব্যবহার করে মজা পাবে ।
আর এটা চোকো, জার্মানির হাজ পর্বতমালা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ।
এখন শোন, প্রথম দুইটা প্রায় একই রকম, এখানে তিনশো করে গ্রাম রয়েছে । এই দু’টোর দাম সস্তা ।
কিন্তু, এটার দাম একটু চড়া ।
এখানে পাঁচশো গ্রাম রয়েছে ।
কিন্তু যখন তুমি এটা নেবে, তখন তুমি এমনিতেই জানবে হিরোইন কেনার টাকা কোথা থেকে আসে ।
কিন্তু এই দুইটা সম্পর্কে তুমি এমনটা ভাবতে পারবে না । এগুলো আসল, এগুলো সত্যি-সত্যিই ভাল কাজ করে ।
কিন্তু এটা, উত্তেজনা বৃদ্ধির ওস্তাদ ।
দেখ, আমি মাত্র অ্যামস্টারডাম থেকে এসেছি ।
আমি কি নিগ্রো ? আমরা কি বন-জঙ্গলে থাকি ? না ।
তুমি এখন আমার বাড়িতে, সাদা মানুষের মধ্যে যারা জানে...
ভাল জিনিস আর খারাপ জিনিসের মধ্যে পার্থক্য, আর এটাই হচ্ছে সেই বাড়ি যেখানে হিরোইন সেবনকারীরা আসে ।
আর আমার কাজ হচ্ছে, অ্যামস্টারডামের ঐ গর্দফগুলোর সাথে পেপসি চ্যালেঞ্জ খেলা...
- গত সপ্তহার প্রায় দিনগুলোতেই করেছি ।
- একটা দু:সাহসিক বিবৃতি দিলে ।
এটা এখন আর অ্যামস্টারডাম নেই ভিনসেন্ট, বলতে পারো একটা সেলারদের মার্কেট ।
কোকের নাম-গন্ধ প্রায়...মুছেই গেছে ।
হিরোইন এখানকার মার্কেট দখল করে নিয়েছে ।
- ঠিক আছে, ঐ তিনশো গ্রামই আমার মাথা নষ্ট করে ফেলছে ।
- ঠিক আছে ।
আর তুমি এখন যেভাবে এগুলোর প্রশংসা করছো, আমাকে সম্ভবত ফিরে এসে আরও এক হাজার গ্রাম কিনতে হবে ।
আমি আশাকরি এখান থেকে কিছুটা বাঁচিয়ে রাখতে পারবো
কিন্তু, আমি তোমাকে নিজের লুকিয়ে রাখা হিরোইন থেকে কিছুটা দিচ্ছি ।
আর এজন্যই সবাই আমাকে বলে, তুমি দারুন ছেলে ।
- আমি বেলুনগুলো বের করছি । এগুলো ব্যাগি, ঠিক আছে ?
- হ্যাঁ, এটা দারুন ।
ঠিক আছে, আমি এগুলোর একটি নিয়ে আসার ব্যবস্থা করছি ।
সোনামনি, রান্নাঘর থেকে তুমি ব্যাগির প্যাকেট আর সূচটা নিয়ে আসতে পারবে ?
- [ মেয়ে কণ্ঠ ]
- ঠিক আছে ।
হেই ত্রুডি সম্পর্কে তুমি কি ভাবো ? সে এখনো বয়ফ্রেন্ড জোগাড় করতে পারেনি ।
- তুমি, দামি হিরোইনগুলো নিতে চাচ্ছ ?
- কোনটা ত্রুডি ?
- যে মেয়েটার মুখে ওগুলো পরা ?
- না, ওটা যডি ।
সে আমার স্ত্রী ।
- [ মৃদুহাসি ] আমি দুঃখিত, ছেলে ।
- ধন্যবাদ
- না, আমি এখন দামিগুলো কিনতে পারবো না, আমাকে অন্য কোথাও যেতে হবে ।
- ঠিক আছে, কোন সমস্যা নেই ।
- আমি হিরোইন কেনার বিষয়ে ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে দেখবো ।
- [ দরজা খোলার শব্দ ]
- ওহ ।
- ধন্যবাদ, সোনামণি ।
তোমার Malibu (ভিনসেন্টের কার) এখনো আছে ?
ওহ ছেলে, তুমিতো জান কিছু কুত্তারা অন্য দিনে কি করেছে ?
- বুঝতে পারলাম না ?
- চুরি হয়ে গেছে ।
- ওহ ছেলে, তাহলে তো এটা খারাপই হয়েছে ।
- আমাকে এটা সম্পর্কে বলো ?
আমার কাছে এটা (গাড়ি) তিন বছর ছিল ।
এর মধ্যে পাঁচ দিন গাড়ি নিয়ে আমাকে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়েছে ।
তাদেরকে গলা কেটে হত্যা করতে হবে, কোন অনুমতি না নিয়ে সরাসরি প্রাণদণ্ড ।
আমার ইচ্ছা হচ্ছে আমি যদি তাকে ধরতে পারতাম, আমাকে ঐ গর্দভগুলোকে ধরার জন্য সব রকম সহযোগিতা করা হয়েছে ।
- এটা যদি তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হতো সে করতো । সেক্ষেত্রে, আমি শুধু তাকে ধরতাম ।
- কি দুর্ধর্ষ চোর !
তাহলে, এটা মানুষের মোটরগাড়ি ক্ষতি করার চেয়ে বেশি কিছু নয় ?
- আমি বলতে চাচ্ছি, অন্য মানুষের গাড়ির কোনরূপ ক্ষতি না করে ।
- তুমি তো এসব করো না ।
- এটা আসলে কোন নিয়মের মধ্যে পড়ে না ।
- ধন্যবাদ ।
ধন্যবাদ ।
- কিছু মনে করবে, আমি যদি হিরোইন এখানেই নিই ?
- Hey, mi casa es su casa. (স্প্যানিশ) হেই, এটাকে নিজের বাড়ি ভাবতে পারো ।
Muchas gracias. (স্প্যানিশ) তোমাকে ধন্যবাদ ।
[ “হঠাৎ দ্বিতীয় অংশ” ]
[ গাড়ির দরজা বন্ধ করবে ]
[ মিয়ার কণ্ঠ ] হাই ভিনসেন্ট, আমি ড্রেস পরছি । দরজা খোলা রয়েছে ।
ভেতরে এসো আর একটু ড্রিংক করে যাও - মিয়া ।
♪ [ “প্রচারকের ছেলের ভূমিকায়” ] ♪ (মিউজিকের নাম)
হ্যালো ?
♪ বিলি রে, প্রচারকের ছেলে ছিল আর তার ড্যাডি যখন এখানে আসতো সে প্রায়ই এখানে আসতো ♪
ভিনসেন্ট ?
[ রুমের ভেতর থেকে ] ভিনসেন্ট...
আমি ভেতরের রুমে আছি ।
কোথায়...ভেতরের রুমটা কোথায় ?
দেখ, দেয়ালের গায়ে কিছু একটা রয়েছে ।
তোমার ডান দিকে ।
উষ্ণ...
আরও উষ্ণ...
ড্যান্স ।
হ্যালো ?
বাটন চাপো, যদি আমার সাথে কথা বলতে চাও ?
হ্যালো ?
এখন যাও একটু ড্রিংক করো আর আমি হিরোইনের গন্ধ শুকে নিচে আসছি ।
বারগুলো পাশের রুমে আছে ।
ঠিক আছে ।
♪ যখন সে আমার সাথে মিষ্টি কথা বলা শুরু করলো ♪
♪ সে আমার কাছে আসলো আর বললো সবকিছু ঠিক আছে ♪
♪ সে আমাকে কিস করলো আর বললো সবকিছু ঠিক আছে ♪
♪ আজ রাতে আমি তোমার কাছ থেকে আবার মুক্তি পেতে পারি ♪
♪ একমাত্র ছেলে যে আমার কাছে এসেছে ♪
♪ সে ছিল প্রচারকের ছেলে ♪
♪ একমাত্র ছেলে যে আমাকে কাছে আসতে শিখিয়েছে ♪
♪ সে ছিল প্রচারকের ছেলে, হ্যাঁ ছিল ♪
♪ সে ছিল ♪
♪ ঈশ্বর জানে সে ছিল, সে ছিল ♪
♪ আমি কিভাবে মনে করবো ♪
♪ তার চোখের ভাষা ♪
♪ আমার কাছ থেকে কিস চুরি করলো কৌশলের সাথে ♪
♪ সময় নিচ্ছে সময় দেবার জন্য ♪
♪ আমাকে বললো তার হৃদয়ের সব কথা ♪
♪ একে-অপরকে জানলাম ♪
♪ দেখছিলাম আমরা কত বড় হয়েছি ♪
♪ আর সেই একমাত্র ছেলে যে আমার কাছে এসেছে ♪
♪ সে ছিল প্রচারকের ছেলে ♪
♪ একমাত্র ছেলে যে আমাকে কাছে আসতে শিখিয়েছে ♪
♪ সে ছিল প্রচারকের ছেলে, হ্যাঁ ছিল ♪
♪ ছিল, সে ছিল ♪
♪ ওহ হ্যাঁ, সে ছিল ♪
[ মিউজিক বন্ধ হবে ]
চলো যাই ।
কোথায় নিয়ে আসলে ?
এটা জ্যাকর্যাবিট নাইট ক্লাব ।
- নেশাখোরদের এটা পছন্দ করার কথা ?
- [ দীর্ঘশ্বাস ]
- মিয়া, চলো স্টেক খেতে যায় ।
- তুমি এখানেই স্টেক পাবে, ছেলে ।
থার্ড আম্পেয়ারের কাছে কল দিও না...
ও...এই কথা, বিড়াল ছানা ।
[ লোকজন কথা বলতে থাকবে ]
[ লোকজনের উল্লাস ]
শুভ সন্ধ্যা, সুধিবৃন্দ । আমি কিভাবে আপনাদের সাহায্য করতে পারি ?
- এখানে ওয়ালেসের নামে কিছু আছে ?
- ওয়ালেস ?
- ♪ [ “স্কুলে বসে অপেক্ষা” ] ♪ (মিউজিকের নাম)
- আমরা কার পারকিং করেছি ।
ওহ কারগাড়ি, তুমি উনাদের সিট দেখিয়ে দিচ্ছ না কেন, ওখানে চ্যারিসেলারে ।
♪ স্কুল শেষে মেয়েটি তোমাকে কিছু একটা বলবে ♪
♪ নিশ্চিত মিষ্টি মেয়ের জুতাগুলো সুন্দর হবে ♪
♪ এক, দুই জুতার ফিতা বাঁধবে, তিন, চার দৌড়ে বারান্দায় নেমে আসবে ♪
♪ পাঁচ, ছয় এসো এবং লিঙ্ককন-৪৬ এ বসে পরো, ইয়াহ ♪
♪ ঠিক আছে ♪
♪ আমি সারাদিন স্কুলে বসে অপেক্ষা করতাম ♪
♪ ছুটি হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতাম, যাতে করে আমি বাড়ি যেতে পারি ♪
♪ টেবিলের উপর বইগুলো রেখে টেলিফোন কানে নিতাম ♪
- ♪ কাম অন বেবি ♪
- [ ভিনসেন্ট ] কফি দেবে, প্লিজ ?
- [ মারলিন ] এক মিনিট ।
- ♪ ঔষধের দোকানের দিকে ছুটতাম সোডা পপের জন্য ♪
♪ সোডা পপ সেবন করতাম আর তারপর আমরা আনন্দে মেতে উঠতাম ♪
♪ স্কুল শেষে মেয়েটি তোমাকে কিছু একটা বলবে ♪
♪ নিশ্চিত মিষ্টি মেয়ের জুতাগুলো সুন্দর হবে ♪
♪ এক, দুই জুতার ফিতা বাঁধবে ♪
♪ তিন, চার দৌড়ে বারান্দায় নেমে আসবে ♪
♪ পাঁচ, ছয় এসো এবং লিঙ্ককন-৪৬ এ বসে পরো ♪
[ লোকজনের উল্লাস ]
♪ সারারাত আনন্দ করতাম আর... ♪
[ ম্যান ]
আজম খান ! আজম খান !
[ সুলিভান ]
চলুন, আজম খানের কণ্ঠে এটা শুনি !
- দারুন গেয়েছেন আজম খান । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
- ভিনসেন্ট ?
আমাকে বিশেষভাবে আপনাদের জানানো প্রয়োজন, আজম খান অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে আপনাদের মাঝে আবার গান উপস্থাপন করবেন ।
আশাকরি আপনারা জ্যাকর্যাবিট নাইট ক্লাবে আনন্দের সাথে ডিনার উপভোগ করবেন ।
ধন্যবাদ ।
আহ্বান জানানো হচ্ছে...
- আনন্দ করার জন্য ।
- তুমি কি ভাবছো ?
আমার কাছে অনেকটা হৃদয়ের স্পন্দন বাড়ানোর যাদুঘর মনে হচ্ছে ।
হাই, আমি-আমি কিভাবে আপনাদের সাহায্য করতে পারি ?
♪ [ “নির্জন শহরে” ] ♪ (মিউজিকের নাম)
স্টেক, স্টেক, স্টেক ওহ পেয়েছি । আমাকে ডগলাস স্টেক দেবে ।
- আমাকে এটা দেবে ।
- আপনি কেমন কোক চাচ্ছেন ?
- আগুনে পোড়ানো কুরকুরে নাকি ব্লাডি ?
- ব্লাডি আর...
ওহ ইয়া, সাথে একটা ভ্যানিলা কোক ।
ম্যাডাম আপনারটা ?
আমাকে...
ড্যাকওয়াট কারবি বার্গার, ব্লাডি...
আর পাঁচ ডলারের কোক ।
আপনি কোন কোম্পানির কোক চাচ্ছেন ? মারটিন & লুয়িস নাকি অ্যান্ডিসন অ্যান্ডি ?
- মারটিন & লুয়িস ।
- তুমি পাঁচ ডলারের কোকের অর্ডার করেছ ?
হুম
এটা কোক ? এটা মিল্ক আর আইসক্রিমের তৈরি ?
- তোমার মুখেই শুধু এ কথা শুনলাম ।
- এটার দাম পাঁচ ডলার । তোমাদের কাছে বার্গার অথবা অন্য কিছু নেই ?
- না ।
- ঠিক আছে, আমরা শুধু চেক করছিলাম ।
ঠিক আছে, আমি শুধু আপনাদের জন্য ড্রিংক নিয়ে আসছি ।
♪ নির্জন শহরে ♪
♪ একাকী কাঁদছি আমার গার্লফ্রেন্ড-এর জন্য ♪
বলছিলাম তুমি...তুমি কি আমার সাথে দুষ্ট ছেলের ভূমিকায় অভিনয় করবে ?
যদি তুমি মিষ্টি মেয়ের মতো এটা নাও ।
- থ্যাংকস ।
- [ সিগারেট ধরানোর জন্য আগুন ]
♪ হৃদয়ের রাস্তা দুঃখে ভরে গেছে ♪
অর্ডার নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করো না ।
♪ আমাকে নির্জন শহরে নিয়ে চলো ♪
- ♪ আমি ভুলতে চাই... ♪ (মনের সব যন্ত্রণা)
- সো...
মারসেলা বললো, তুমি মাত্র অ্যামস্টারডাম থেকে এসেছ ।
- হ্যাঁ, সত্যিই (তোমার জন্য চলে এলাম) ।
- তুমি সেখানে কত বছর ছিলে ?
[ শ্বাস নিয়ে ]
তিন বছরের বেশি ।
আমি সেখানে বছরে মাত্র একবার যায়, শীতকালে, এক মাসের জন্য ।
মজা করছো না-তো ? আমি এটা জানতাম না ।
তাহলে তুমি কি জান, দুষ্ট ছেলে ?
♪ [ “মিউজিকের শব্দ” ] ♪
আমি শুনেছি তুমি পাইলটে অভিনয় করো ।
- ওটা ছিল মাত্র পনের মিনিটের জন্য ।
- ওটা আসলে কি ছিল ?
এটা মেয়েদের এক ধরনের গোপন শো যেটাকে বলা হয় “ফক্স ফোরস ফাইভ”
- কি বললে ?
- ফক্স ফোরস ফাইভ ।
ফক্স, অর্থ হচ্ছে এক দল চতুর মেয়ে ।
ফোরস, আমাদেরকে ফোরস হিসাবে বিবেচনা করা হতো ।
আর ফাইভ, অর্থ হচ্ছে এক-দুই-তিন-চার-পাঁচ, আমরা পাঁচ জন ।
আর সেখানে একটা স্বর্ণকেশী বুড়ি আছে, তার নাম সামারসেট নিয়েল । সে ওখানকার নারী লিডার ।
জাপানি ফক্স বলতে কুম-ফু মাষ্টারকেই বোঝায় ।
কালো মেয়েরা মূলত আত্মসাৎ করতেই এক্সপার্ট ।
আর ফ্রেঞ্চ মেয়েদের কথা কি বলবো ওরাতো সেক্সে ভীষন এক্সপার্ট ।
- সবইতো বুঝলাম, তোমার পারদর্শীতা সম্পর্কে কিছু বলো ?
- ছুরি চালাতে পছন্দ করি ।
যে চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি সেটা হচ্ছে, রাভেন ম্যাকই ।
তার ব্যাকগ্রাউন্ডটা বলতে, সে মূলত সার্কাস পারফমেন্স থেকে নাম কুড়িয়েছে ।
আর শো-তে, সে বিশ্বের একজন অন্যতম প্রানঘাতী মহিলা ছুরি চালানোর ভূমিকায় ।
আর সে অসংখ্য পুরোনো দিনের জোক জানে ।
ওর দাদা, কি বলবো, জোক বলার ওস্তাদ ছিল ! ওর দাদা ওকে জোকগুলো শিখিয়েছে ।
আর আমরা যদি জোকগুলো শিখে রাখতাম, তাহলে তারা আরও প্রতারণাপূর্ণ কৌশল অবলম্বন করতে পারতো...
যেখানে আমি নিজে প্রত্যেক শো-তে ভিন্ন-ভিন্ন জোক বলতাম ।
তুমি এখন তাদের ঐ পুরনো জোকগুলো থেকে একটা জোক বলতে পারবে ?
আসলে আমি মূলত একবারই জোক বলার সুযোগ পেয়েছিলাম কারন আমরা শুধুমাত্র একটি শো-ই করেছি ।
- জোকটা বলো ?
- এটা অনেকটা পুরনো ।
এসব কথা না বলে জোকটা বলো ?
- না, তুমি আসলে এটা পছন্দ করবে না আর আমিও অনেকটা বিভ্রান্তবোধ করছি ।
- তুমি বিভ্রান্তবোধ করছো...
তুমি এটা পঞ্চাশ মিলিয়ন মানুষকে জোকটা বলেছ, আর আমার কাছে বলতে লজ্জা পাচ্ছ ?
- আমি কথা দিচ্ছি, আমি হাসবো না ।
- আর এজন্যই আমি লজ্জা পাচ্ছিলাম, ভিনসেন্ট ।
এটা কোন বিষয়ই না, যেটা আমি বলেছি । আর তুমি এটা জান ।
আমি সত্যিই তোমাকে এটা বলতে চাচ্ছি না কারন জোকটা অনেক পরিচিত ।
[ দীর্ঘশ্বাস ]
এ কেমন গার্লফ্রেন্ড ।
মারটিন & লুয়িস
ভ্যানিলা কোক ।
হুম...ইয়ামি ।
তুমি কি মনেকর, আমি এখানে এক চুমুক দিতে পারি ?
তুমি-না আমার গেস্ট ।
আমি মূলত পাঁচ ডলারের কোকের টেস্টটা নিতে চাচ্ছিলাম ।
- তুমি আমার নলটা ব্যবহার করতে পারো, কারুর মুখে দেওয়া জিনিস ব্যবহারের অভ্যাস আমার আছে ।
- হ্যাঁ সেটাই, সত্যিই ।
প্লিজ, আমি এটা হ্যান্ডেল করতে পারবো ।
ঠিক আছে ।
এটাতো ভালোই লাগছে...
- তোমাকে তো বলেই ছিলাম ।
- আমি আসলে জানি না, এটার দাম পাঁচ ডলার, কিন্তু খেতে খারাপ না ।
♪ [ মিউজিক চলতে থাকবে ] ♪
- তুমি এসব ঘৃণা করো না ?
- কিসের কথা বলছো ?
অস্বস্তিকর নীরবতা ।
আমরা কেন এসব ভাবার প্রয়োজনবোধ করি এসব গর্দফ মার্কা ওয়েটার আমাদের স্বস্তি দেবে ?
আমি বলতে পারবো না, কিন্তু এটা একটা ভাল প্রশ্ন ।
যখন তুমি তোমার সত্যিই স্পেশাল কাউকে খুঁজে পাবে...
তখন তুমি তার সাথে এক মিনিট খেলতেও পারবে আবার মনের নীরবতাও সহজে শেয়ার করতে পারবে ।
ঠিক আছে, সেটা পরে হবে । আমার মনে হয় আমরা এখনো সেই পর্যায়ে যায়নি, তাছাড়া আমরা তো খারাপ অনুভব করছি না আর আমরা মাত্র নিজেদের সাথে পরিচিত হয়েছি ।
আমি তোমাকে যা বলছি শোনো...
আমি এখন বাথরুমে যাচ্ছি, আমার নাকে কিছু পাউডার লাগাতে হবে ।
তুমি এখানে বসে থাকবে...আর আমাকে বলার জন্য কিছু একটা ভাবতে থাকবে ।
ঠিক আছে, আমি সেটাই করবো ।
ঠিক আছে ।
[ নেকড়ের হুইসেল ]
[ সবাই প্রশংসা করবে ]
[ ঘ্রাণ নেবে ]
আমি বলেছিলাম, বাজে হবে ।
বাজে ! ভীষণ বাজে !
[ মেয়ে কণ্ঠ ]
আমার চুলগুলো একটু স্প্রে করতে হবে ।
♪ [ “যেদিন তোমার সাথে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল” ] ♪
হুম...দারুন ।
তুমি এটা পছন্দ করো না, যখন তুমি বাথরুম থেকে ফিরে এসে দেখ, তোমার খাবারগুলো তোমার জন্য অপেক্ষা করছে ?
আমরা ভাগ্যবান কারন আমরা অর্ডারের প্রায় সবগুলো খাবারই পেয়েছি ।
আমি মনেকরি না যে, ওয়েটারটা খুব বেশি ওয়েটারগিরি করতে পারে ।
আমরা তো ওখানেও বসতে পারতাম, মারলিন মনোরসের সেকশনে ।
- তুমি কার কথা বলছ ? এখানে তো দু’জন মনোরস রয়েছে ।
- না, এখানে একই নামে দু’জন নেই ।
এটা হচ্ছে, মারলিন মনোরস ।
আর এটা হচ্ছে, মেমি ভ্যান ডরনের সেকশন ।
আমি এখানে জেমি ম্যানসফিল্ডকে দেখছি না, তার রাতের ডিউটির শিফট অবশ্যই বন্ধ হয়ে গেছে ।
- সুন্দর ধারনা ।
- হ্যাঁ, আমার ভাবা হয়ে গেছে ।
- আমাকে বলার জন্য কিছু একটা ভেবেছ ?
- হ্যাঁ, আমি ভেবেছি ।
সেটা যাই হোক, যেটা বলতে চাচ্ছিলাম...
তুমি সত্যিই দারুন একটা মেয়ে আর আমি...(আর পাম মারতে হবে না)...
- আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাই না ।
- ওহ...তাই নাকি ?
এটা অস্বাভাবিক, নির্বোধের মত অথবা বিরক্তিকর কোনটাই নয়, খোশ গল্প-তো ভালোই চলছিল ।
তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে, তুমি কিছু একটা বলতে চাচ্ছ ।
ভাল, ভাল...সত্যি সেটাই ।
- [ শ্বাস নিয়ে ] কিন্তু তুমি কথা দিয়েছ, এটা কোন খারাপ দিকে যাবে না ।
- না, না ।
তুমি এমনটা প্রমিস করতে পারো না, আমার কোন ধারনা নেই তুমি আমাকে কি জিজ্ঞেস করতে চাচ্ছ ?
তুমি আমাকে জিজ্ঞেস করতে পারো, যেটা তুমি আমাকে কি জিজ্ঞেস চাচ্ছ ? আর আমার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া খারাপ দিকেই যাবে ।
তারপর বলতে গেলে আমার নিজের কোন দোষ নেই, আমি তো আমার প্রমিস ফিরিয়েও নিতে পারতাম ।
- ঠিক আছে, এসব কথা বাদ দাও ।
- দেখ অসম্ভব বলে কিছু নেই ।
এসব মিষ্টি কথা বলা ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করো এটা শুধু নিরর্থকতা চর্চা করে ।
- এটা কোন কথা বললে ?
- আর তাছাড়া...
- এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর কোন প্রয়োজন নেই, যখন তোমার কাছে তথ্যই নেই ?
- ঠিক আছে, ঠিক আছে ।
ভাল, যেটা বলতে চাচ্ছিলাম...
এনটআন সম্পর্কে তুমি কি ভাবছিলে, তার কি হয়েছিল ?
- এনটআন কে ?
- টনি রকি হরর । তুমি তাকে চেন ।
- সে জানালা দিয়ে পরে গিয়েছিল ।
- হুম-হুম সেটাই ।
হ্যাঁ, এটা একটা দিক যেভাবে তুমি বলতে পারো, আবার আরও একটা দিক আছে সেটা হচ্ছে, তাকে ফেলে দেওয়া হয়েছে ।
অন্যভাবে বলতে গেলে তাকে মারসেলাস ফেলে দিয়েছে ।
আর একটু পরিষ্কার করে বলতে গেলে মারসেলাস তাকে জানালা দিয়ে ফেলে দিয়েছে, যেটা তোমার জন্য ।
- এটা কোন কথা বললে ?
- না...
না, এটা কোন বিষয় নয় । এটা আমি শুধু মুখে শুনেছি । আমি শুধু মুখেই শুনেছি ।
- কে, তোমাকে এসব কথা বলেছে ?
- তারা ।
“তারা” শুধু বেশি কথা বলে, তাই না ?
[ মৃদুহাসি ]
তারা সত্যিই বলেছে...সত্যিই বলেছে ।
- লজ্জা করো না, ভিনসেন্ট । “তারা” কি বলেছে ?
- আমি...আমি আসলে লজ্জা পাচ্ছি না ।
- ইউম...
- তাদের কথায় কোন “এফ” ওয়ার্ড ছিল ?
না...না...না...না...না । তারা যেটা বলেছে, এনটআন নাকি তোমাকে নিয়ে একটু খেলে ছিল এই আর কি ।
- আর... ?
- আর...কিছু না এসবই আর কি ।
এসব কথাই ।
তুমি শুনেছ মারসেলাস...
টনি রকি হররকে চার তালা বিল্ডিং-এর জানালা থেকে ফেলে দিয়েছিল আমাকে নিয়ে খেলার জন্য ?
- হুম ।
- তুমি এসব বিশ্বাস করেছ ?
[ মৃদুহাসি ] আমি যেটা বলতে চাচ্ছি, এই সময়ে আমি এটা যুক্তিসংগত কারনেই বললাম ।
মারসেলাস, টনিকে চার তালা বিল্ডিং-এর জানালা থেকে ফেলে দিয়েছিল...
আমাকে নিয়ে খেলার জন্য, তুমি এটাকে যুক্তিসংগত কারন হিসাবে দেখছ ?
না, তুমি আসলে একটু বেশি বুঝে ফেলেছ, কিন্তু সেটা দ্বারা এটা প্রমানিত হয় না যে, তুমি এটা করনি ।
আমি যতটুকো জেনেছি মারসেলাস তোমাকে বেশ দেখেশুনে রাখে ।
একজন স্বামী তার স্ত্রীকে দেখেশুনে রাখবে এটা একটা বিষয় ।
একজন স্বামী তার স্ত্রীকে নির্যাতন অথবা খেলার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য মানুষ খুন করতেও দ্বিধাবোধ করে না ।
কিন্তু, সে কি তোমার সাথে খেলে ছিল ?
একটা বিষয় খেয়াল করো, এনটআন যদি আমার সাথে খেলত তাহলে সে অবশ্যই আমার শর্ট খেত...একেবারে নিজে থেকে বলছি ।
সত্যি ?
কিন্তু সত্য কথাটা হলো এটা...কেউই জানে না কেন টনিকে মারসেলাস জানালা দিয়ে ফেলে দিয়েছিল...
শুধুমাত্র মারসেলাস আর টনি ছাড়া ।
যখন তুমি কারুর সাথে একটু মজা করতে যাও, তখন সেটাই তোমাদের সবার কাছে এতো...এতো খারাপ হয়ে যায় ।
সম্মানিত সুধীবৃন্দ । এটাই সেই মুহূর্ত যেটার জন্য আমরা এতক্ষণ অপেক্ষা করছিলাম ।
বিশ্ববিখ্যাত জ্যাকর্যাবিট নাইট ক্লাবে টুইস্ট কনটেস্টের জন্য ।
[ সবাই এটার প্রশংসা করবে ]
এখন আমরা ভাগ্যবান দম্পতিকে চাচ্ছি...
এই আকর্ষণীয় ট্রফিটি জেতার জন্য যেটা মারলিন আপনাদের সামনে তুলে ধরেছে ।
তাহলে এখন বলুন কে হতে যাচ্ছেন আমাদের প্রথম প্রতিযোগী দম্পতি ?
- এখানে আছি !
- [ পুরুষ কণ্ঠ ] ঠিক আছে !
- আমি ড্যান্স করতে চাচ্ছি ?
- না...না...না...আমি বলছিলাম যে...
না...না...না.......না বললে তো চলবে না । আমি মারসেলাসকে সত্যিই বিশ্বাস করি, আমার হ্যাজব্যান্ড, তোমার বস...
তোমাকে বলেছে, আমাকে নিয়ে বাইরে আসতে আর আমি যেটা চাই সেটা করতে ।
আর এখন আমি ড্যান্স করতে চাচ্ছি, আমি জিততে চাচ্ছি, আমি ট্রফিটি জিততে চাচ্ছি বুঝেছ ? (প্রেম করতে গেলে সব বিষয়েই এক্সপার্ট থাকতে হয়)
- তো চলো ড্যান্স করে আসি ।
- ঠিক আছে, তুমি যেটা চাও সেটাই হবে ।
- ড্যান্স খারাপ কিছু না ।
- ঠিক আছে, তুমি যেহেতু বললে ।
চলুন আমাদের প্রথম প্রতিযোগীর কণ্ঠে কিছু শুনি ।
[ আপসোস ] (জানিস, আজকে আমার বয়ফ্রেন্ড আসলে ওর সাথে ড্যান্স করতে পারতাম)
=বামের মেয়েটা=
আজ এই শুভ সন্ধ্যায়, এখন আপনাদের সাথে আমাদের প্রথম প্রতিযোগী দম্পতিকে পারিচয় করিয়ে দিচ্ছি...মিষ্টি মেয়ে তোমার নামটা বলবে ?
মিসেস. মিয়া ওয়ালেস ।
আর তোমার সাথে দুষ্ট ছেলের নামটা ?
ভিনসেন্ট ভেগা ।
ঠিক আছে, তাহলে চলুন আমাদের প্রথম প্রতিযোগী দম্পতির ড্যান্স উপভোগ করি...
- [ মহিলা কণ্ঠ ] গো ফর ইট ।
- [ পুরুষ কণ্ঠ ] কাম অন ।
(দেখি এরা কেমন ড্যান্স পারে)
♪ [ “তুমি কখনো বলতে পারবে না” ] ♪ (মিউজিকের নাম)
♪ এটা ছিল শৈশবের বিয়ে আর বৃদ্ধরা তাদের আশীর্বাদ করেছিল ♪
♪ তুমি দেখেছ পিয়ার আলী সত্যিই কুমারী মেয়েকে ভালবেসেছে ♪
♪ আর এখন দুষ্ট স্যার আর মিষ্টি ম্যাডাম চ্যাপেল লেকে ঘুরে বেড়ায় ♪
♪ সেলালি-সেলিও বলে বৃদ্ধরা এটা দেখাতে যাচ্ছে যেটা কাউকে বলবে না ♪
♪ তারা সুসজ্জিত করলো এপার্টমেন্টের দু’টো রুমকে হরিণের পুতুল দিয়ে ♪
♪ করিডোর পরিপূর্ণ ছিল টিভি দেখা, ডিনার আর মদ্যপানে ♪
♪ কিন্তু যখন পিয়ার আলী কাজ খুঁজে পেল আস্তে-আস্তে টাকা আসতে শুরু করলো ♪
♪ সেলালি-সেলিও বলে বৃদ্ধরা এটা দেখাতে যাচ্ছে যেটা কাউকে বলবে না ♪
♪ তাদের একটা হাই-ফাই ফোন ছিল আর ছেলেটা এটাকে জোরে বাজাতে শুরু করলো ♪
♪ সাতশো গানের সবই ছিল রক, তালের আর বাজে কথার ♪
♪ কিন্তু যখন সূর্য ডুবে যেত গানগুলো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতো ♪
♪ সেলালি-সেলিও বলে বৃদ্ধরা এটা দেখাতে যাচ্ছে যেটা কাউকে বলবে না ♪
♪ তাদের শৈশবে বিয়ে হয়েছিল আর বৃদ্ধরা তাদের আশীর্বাদ করেছিল ♪
♪ তুমি দেখেছ পিয়ার আলী সত্যিই কুমারী মেয়েকে ভালবেসেছে ♪
(ট্রফি জিতেই বাসায় ফিরেছে)
[ দীর্ঘশ্বাস ]
[ ক্ষীণভাবে অ্যালাম বাজবে ]
[ অ্যালাম বন্ধ করবে ]
[ উভয়ই হাসবে ]
আর এটাকেই তুমি অস্বস্তিকর নীরবতা বলছো ?
আমি জানি না তুমি কিসের কথা বলছো ।
- [ মৃদুহাসি ]
- ড্রিংকস ! মিউজিক !
আমাকে প্রসব করতে যেতে হবে ।
এটা সামান্য একটু বললাম যেটা আমার বলা প্রয়োজন ছিল, কিন্তু এখন আমরা মিউজিক শুরু করতে যাচ্ছি ।
♪ মেয়ে... ♪
♪ বুম...বুম...বুম ♪
♪ তুমি তাড়াতাড়ি বুড়ি হয়ে যাবে ♪
♪ আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি আমি তোমাকে বোঝাতে পারবো না ♪
♪ আমি তোমার জন্য জীবন দিতে পারি মেয়ে সবাই যেটা বলে ♪
[ মিউজিক টেপ বাজতে থাকবে ]
♪ কিন্তু সে তোমার মনের মতো নয় ♪
♪ তুমি আমার সাথে শুয়ে কখনো ক্লান্ত হবে না আর আমি কখনো জানি না আমি কাছে চলে এসেছি ♪
♪ আমি যেটা খুঁজতে যাচ্ছি ♪
♪ তাদের তোমার মন চুরি করতে বলো না ♪
♪ তুমি জান না মেয়ে ♪
♪ তুমি তাড়াতাড়ি বুড়ি হয়ে যাবে ♪
শুধু একবারই ড্রিংকস করবো আর এটাই শেষ কথা ।
খারাপ দিকে যাবো না । শুধু ড্রিংকই করবো কিন্তু সেটা দ্রুত ।
বলবো গুড নাইট...আমি বাসায় যাচ্ছি ।
♪ তুমি তাড়াতাড়ি বুড়ি হয়ে যাবে ♪
♪ তাড়াতাড়ি ♪
♪ তোমার একজন ছেলের দরকার হবে ♪
♪ আমি সারাজীবন ভুল করেছি ♪
♪ কিন্তু তারা কি বলছে মেয়েরা ছুরির মতো ভয়ঙ্কর ♪
♪ ছেলেরা ভাল নয় ♪
♪ অবশেষে আমি খুঁজে পেলাম যেটা আমি খুঁজছিলাম ♪
♪ কিন্তু তারা যদি সুযোগ পায় তারা নিশ্চিত এটা শেষ করে ফেলবে, তারা শেষ করে ফেলবে ♪
♪ বেবি, আমি সবকিছু করেছি, যেটা আমি পারতাম ♪
[ দীর্ঘশ্বাস ] তুমি দেখ, এটা তোমার কাছে একটা নৈতিকতার পরীক্ষা ।
যদিও তুমি তোমার বিশ্বস্ততা বজায় রেখে চলছো ।
কারন...বিশ্বস্ততা বজায় রেখে চলাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।
♪ তুমি আমার সাথে শুয়ে কখনো ক্লান্ত হবে না আর আমি কখনো জানি না আমি কাছে চলে এসেছি ♪
♪ আমি যেটা খুঁজতে যাচ্ছি ♪
♪ তাদের তোমার মন চুরি করতে বলো না ♪
♪ তুমি জান না মেয়ে ♪
♪ তুমি তাড়াতাড়ি বুড়ি হয়ে যাবে ♪
♪ প্লিজ... ♪
♪ এসো এবং আমার হাত ধরো ♪
♪ মেয়ে ♪
♪ তুমি তাড়াতাড়ি বুড়ি হয়ে যাবে ♪
00:53:14,957 --> 00:53:16,891
♪ প্লিজ ♪
♪ এসো এবং আমার হাত ধরো ♪
- ♪ হ্যালো ♪
- ♪ গার্ল ♪
তাহলে এখন তোমাকে বাইরে যেতে হবে আর তোমাকে বলতে হবে গুড নাইট ।
আমার একটি দারুন সন্ধ্যা কেটেছে ।
তারপর দরজা দিয়ে বের হবো, গাড়িতে উঠবো, বাসায় যাবো, একটু হ্যান্ডডেলিং আর এগুলোই তোমাকে করতে হবে ।
♪ মেয়ে এখন তোমার সময় ♪
♪ তুমি তাড়াতাড়ি বুড়ি হয়ে যাবে ♪
♪ প্লিজ ♪
[ ঘ্রান নেবে ]
♪ এসো এবং আমার হাত ধরো ♪
(বেশি নিয়ে ফেলছে)
♪ মেয়ে ♪
[ বিলাপ করবে ]
♪ তুমি তাড়াতাড়ি বুড়ি হয়ে যাবে ♪
[ অজ্ঞান হয়ে যাবে ]
♪ তাড়াতাড়ি ♪
♪ তোমার একজন ছেলের দরকার হবে ♪
[ বাথরুমের দরজা খোলার শব্দ ]
ঠিক আছে, মিয়া ।
আমার কথা শোন, আমাকে বাসায় যেতে হবে, ঠিক আছে ?
ওহ...ঈশ্বর !
এসব কি হচ্ছে !
***
উঠো মেয়ে, আমরা বাইরে যাচ্ছি, আমরা বাইরে হাঁটতে যাচ্ছি ।
[ গাড়ির টায়ার স্লিপ করবে ]
আমাকে বিপদে ফেলো না মিয়া !
***
[ ফোন করবে ]
ফোন ধরো ।
- [ টেলিফোন রিং বাজবে ]
- [ টেলিভিশনের বুড়ো ] তুমি আমাদের বিয়ের আংটি পেয়েছ ?
[ টেলিভিশনের বুড়ো ] এতো উত্তেজিত হচ্ছ কেন ? দ্রুত কাজ করো, তোমার দু’টো পাখির ছানা আছে ।
- [ রিং বাজতে থাকবে ]
- [ মেয়ে কণ্ঠ ] প্লিজ ! প্লিজ !
হ্যাঁ, হ্যাঁ । দ্রুত কাজ করো, তুমি পাখির ছানা দু’টোকে ভীষণ ভালোবাসো ।
- [ রিং বাজতে থাকবে ]
- [ টেলিভিশনের লোকগুলো চিৎকার করবে ]
[ রিং করতে থাকবে ]
*** ল্যান্স ! ফোন ধরো !!
- [ রিং বাজতে থাকবে ]
- [ টেলিভিশনের চিৎকার চলতে থাকবে ]
[ মেয়ে কণ্ঠ ] তুমি কি বললে ?
[ টেলিভিশনের বুড়ো ] আমি তোমাকে করতে চাই ! বলছিলাম, আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই !
- [ রিং বাজতে থাকবে ]
- [ যডি ] ল্যান্স ! ফোনে রিং হচ্ছে শুনছো না ?
হ্যাঁ, আমি শুনতে পাচ্ছি ।
[ যডি ] আমি তোমাকে বলছি, তুমি এই গর্দফটাকে বলবে আর কখনো যেন মধ্যরাতে ফোন না দেয় !
হ্যাঁ, আমি তাদের বলেছি ।
আর আমি সেটা আবারও বলতে যাচ্ছি, এই গর্দফটাকে, ঠিক এই মুহূর্তে ।
- [ টেলিভিশনের মেয়ে ] বুড়ো, তুমি আমার সাথে খেলার চেষ্টা করবে না ।
- [ চড় মারবে ]
- হ্যালো ।
ল্যান্স ! ভিনসেন্ট ।
আমি বিশাল বিপদে পড়েছি, ছেলে । আমি তোমার বাসায় আসছি ।
শোনো...আগে তোমার গাড়ি থামাও, ছেলে । কি সমস্যা হয়েছে ?
- আমি তোমার বাসার কাছে চলে এসেছি, সে আমাকে বিশাল বিপদে ফেলে দিয়েছে !
- তুমি মিয়াকে এখানে নিয়ে এসো না !
আমি তোমার সাথে মজা করছি না ! ওকে আমার বাসায় নিয়ে এসো না !
- কোন উপায় নেই ।
- কি, সে অজ্ঞান গেছে ?
- সে আমাকে বিপদে ফেলে দিয়েছে !
- [ টেলিভিশনের বুড়ো ] শুধু একটু খেলতেই চাচ্ছি ।
ঠিক আছে, এখন যেটা করতে হবে, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারো অথবা আইনজীবীকে খবর দাও ।
- ভুল বুদ্ধি !
- এটা আমার কোন সমস্যা নয়, ছেলে !
তুমি তার সাথে খেলেছ, তুমি এটার সাথে ফেঁসে গেছো !
ওহ বুঝেছি, তুমি আমার সাথে সেলিউল্যার ফোনে কথা বলছো ?
আমি তোমাকে চিনি না । তুমি কে ? এখানে এসো না !
আমি ফোন রেখে দিচ্ছি ! রং নাম্বার ! রং নাম্বার !
[ গাড়ির টায়ার স্লিপ করবে, ইঞ্জিনের গতি বৃদ্ধি পাবে ]
- [ গাড়ির শব্দ ]
- [ যডি ] বাইরে কি হচ্ছে ?
তুমি, তোমার বোধশক্তি হারিয়ে ফেলেছ ?
- তুমি পে-কল দিয়ে আমার সাথে কথা বলছিলে ?
- ল্যান্স, আমাকে সাহায্য করো ।
- তুমি, তোমার গাড়ি আমার বাড়ির মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছ !
- ওর পাগুলো ধরো ।
হেই, হেই তুমি কানে শুনতে পাচ্ছ না ? তুমি এই কুত্তাটাকে রুমের মধ্যে নিতে পারবে না !
এই কুত্তাটা মারসেলাস ওয়ালেসের স্ত্রী ।
- তুমি জান, মারসেলাস ওয়ালেস কে ?
- হ্যাঁ ।
মিয়া যদি আমার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে, আমার পিঠের চামড়া থাকবে না !
আমি মারসেলাসকে জোর দিয়ে বলবো, তুমি আমাকে সাহায্য করনি আর তুমি তোমার নিজের বাড়িতেই তাকে মরতে দিয়েছ ।
এখন এসো, আমাকে সাহায্য করো, সাহায্য করো । ওকে তুলতে হবে ।
- সিট !
- [ আহ ]
ল্যান্স !
সিট !
এখন রাত দেড়টা বাজে আর...
কি হচ্ছে এসব বাইরে ?
ও...কে ?
ফ্রিজ থেকে ঔষধের বোতলটা নিয়ে এসো, একে ইনজেকশন দিতে হবে ।
- ওর কি হয়েছে ?
- ও...অজ্ঞান হয়ে গেছে ।
- ওকে বাইরে নিয়ে যাও !
- [ একসাথে ] ঔষধের বোতলটা নিয়ে এসো !
- ***
- এ কেমন অসভ্য মেয়ে ।
শুধু ওর সাথে কথা বলার চেষ্টা করো, ঠিক আছে ?
ওকে ইনজেকশন দিতে হবে । আমি আমার কালো মেডিকেল বুকটা নিয়ে আসতে যাচ্ছি...
ইনজেকশন দিতে মেডিকেল বুকের কি দরকার ?
- আমাকে বলো কিভাবে ইনজেকশন দিতে হয়, আমি কখনো ইনজেকশন দিইনি !
- তোমার কাছে এটা ছয় বছর ছিল আর তুমি এটা কখনো ব্যবহার করনি ?
আমি কখনো এটা ব্যাবহার করেনি আর আমি আনন্দে লাফাচ্ছি না ! আমার সব বন্ধুরা এসব সমস্যা নিজেরাই হ্যান্ডেল করে !
- ইনজেকশন নিয়ে এসো !
- আমি যাচ্ছি, যদি তুমি আমাকে অনুমতি দাও !
- আমি তোমাকে থামতে বলছি না !
- আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করো আর ওর সাথে কথা বলা শুরু করো !
- ইনজেকশন নিয়ে এসো !
- ঠিক আছে ।
- [ ভিনসেন্ট ] তাড়াতাড়ি করো ল্যান্স, আমারা ওকে হারাতে চলেছি !
- আমি যত দ্রুত সম্ভব খোঁজার চেষ্টা করছি !
[ যডি ] সে কি খুঁজছে ?
- [ ভিনসেন্ট ] আমি জানি না, হয়তো কোন বই ।
- [ যডি ] তুমি কি খুঁজছো ?
- [ ল্যান্স ] আমার কালো রংয়ের মেডিকেল বুকটা ।
- [ যডি ] তুমি কি খুঁজছো বললে ?
[ ল্যান্স ] আমার কালো রংয়ের মেডিকেল বুকটা ! এটা টেক্সট বুকের মতো, যেটা নার্সরা আমাকে দিয়েছিল ।
- [ যডি ] আমি কখনো মেডিকেল বুকটা দেখেনি ।
- [ ল্যান্স ] আমার কথা বিশ্বাস করো । আমার কাছে এটা ছিল ।
- এখন এটা খোঁজা খুব গুরুত্বপূর্ণ ? তুমি ওকে ইনজেকশন দিচ্ছ না কেন ?
- আমি জানি না ! মুখে-মুখে তর্ক করা বন্ধ করো !
তুমি কতক্ষন ধরে এটা খুঁজবে, ওদিকে যে মেয়েটা কার্পেটে মারা যাচ্ছে । (সেদিকে খেয়াল আছে)
- তুমি এটা কখনোই খুঁজে পাবে না !
- ছয় মাস আগে আমি তোমাকে রুমটা পরিষ্কার করতে বলেছিলাম ।
- আমি তোমাকে খুন করবো যদি তুমি মুখে-মুখে তর্ক করা বন্ধ না করো !
- [ ভিনসেন্ট ] ল্যান্স ওটা এখানে আছে, এদিকে এসো !
- আস্ত একটা গাধা ।
- বেরিয়ে যাও আমার বাড়ি থেকে ।
- শান্ত হয়ে ওকে ইনজেকশন দেবার জন্য তৈরি হও ।
- যখন আমি এটা করবো...
তুমি ওর শার্ট খুলে ফেলবে আর হার্ট সনাক্ত করবে ।
- আমারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি ?
- আমরা শুধু ওকে ইনজেকশন দিতে যাচ্ছি আর এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত ।
আমি ঠিকভাবে বুঝতে পারছি না ওর হার্ট ঠিক কোথায় । আমার মনে হয় ঠিক এখানে ।
- হ্যাঁ, এটাই ।
- ঠিক আছে, আমার একটা বড় মার্কার লাগবে ।
- তোমার কাছে এটা আছে ?
- কি ?
একটা বড় মার্কার । আমি মার্কার কলমের কথা বলছিলাম !
একটা কালো রংয়ের মার্কার কলম !
- তাড়াতাড়ি করো !
- ঠিক আছে, ঠিক আছে । আমার মনে হয় ওটুকো হলেই চলবে ।
- তাড়াতাড়ি করো ! তাড়াতাড়ি করো !
- এটা ধরো, আমি তোমাকে বলছি কি করতে হবে ।
- তোমাকে ইনজেকশন দিতে হবে ।
- না, না তুমি ওকে ইনজেকশন দাও ।
- আমি ইনজেকশন দিতে চাচ্ছি না । আমি আগে কখনো এটা করিনি ।
- তো...আমি কি দিয়েছি !
আমি এটা দিচ্ছি না ! দেখ, তুমি ওকে বাসায় নিয়ে এসেছ, তুমি ওকে ইনজেকশন দাও ।
যদি আজ আমি তোমার বাসায় এই কুত্তাটাকে নিয়ে আসতাম তাহলে আমি নিজেই ওকে ইনজেকশন দিতাম । তো ইনজেকশনটা দাও ।
ওটা আমাকে দাও ।
ঠিক আছে, এখন আমাকে কি করতে হবে বলো ।
ঠিক আছে, কোন দেখাশোনা নেই তুমি এখন ডাইরেক অ্যাকশনে ওর হার্টের মধ্যে ইনজেকশনটা ঢুকিয়ে দেবে ।
- কিন্তু সে এখনো বেঁচে আছে । তুমি ঠিক এখানে মারবে ।
- [ অস্বাভাবিক জোরে ]
যখন তুমি ইনজেকশনটা মারবে ঠিক এইভাবে...এইভাবে বুকটা ঝাঁঝরা করে দেবে ।
- আমি...আমি বলছিলাম তিনবার মারতে হবে ?
- তিনবার মারবে কেন ? একবারই শুধু মারবে ! আমি শুধু বোঝানোর জন্য তোমাকে এটা বলছিলাম ।
ওর হার্টকে জাগিয়ে তোলার জন্য এটা একবার মারলেই যথেষ্ট, ঠিক আছে ?
তুমি যদি একবার মারো, একবারেই তো ঔষধটা ফুরিয়ে যাবে ।
- ঠিক আছে, তারপর কি হবে ?
- হবে অদ্ভুত কিছু একটা ।
এটা কোন মজা করছি না ! আমি কি ওকে খুন করতে যাচ্ছি ?
- সে ঠিক এইভাবে জেগে উঠবে...হুম...এইভাবে...
- ঠিক আছে, এক থেকে তিন পর্যন্ত গুনতে থাকো ।
- ঠিক আছে, তৈরি ?
- এক...
[ ভিনসেন্ট ঊর্ধ্বশ্বাস নেবে ]
দুই...
(কি যে হবে...কিছুই বলা যাচ্ছে না...)
তিন !
- [ আঘাতের শব্দ ]
- [ হাঁপিয়ে চিৎকার করবে ]
[ হাঁপাতে থাকবে ]
[ কাশবে সেই সাথে হাঁপাবে ]
তুমি যদি ঠিক থাকো, তাহলে কিছু একটা বলো ?
কিছু একটা...
[ মৃদুহাসি ] একেই বলে হাতুড়ি চিকিৎসা । (কি বুঝলেন ?)
[ মৃদুহাসি ]
- ওহ ।
- ওহ, ছেলে ।
[ গাড়ি এসে থামবে ]
[ গাড়ির দরজা খুলবে...সেই সাথে বন্ধ হবে ]
- [ গাড়ির ইঞ্জিন থেমে যাবে ]
- [ গাড়ির দরজা খুলবে...সেই সাথে বন্ধ হবে ]
মিয়া ভাই । মিয়া ভাই
কি...
তুমি কি ভাবছো...
কিভাবে এটা হ্যান্ডেল করলাম ?
তুমি কি ভাবছো ?
আমি যেটা ভাবছিলাম, মারসেলাসকে যেন তার জীবনের কোন সময়েই...
তাকে এই অ্যাকসিডেন্ট সম্পর্কে জানানোর প্রয়োজন নেই । (এটাই)
যদি মারসেলাস এই ঘটনা সম্পর্কে জানতো তাহলে
আমিও বিপদে পরতাম যেমনটা তুমি পড়েছিলে ।
আমার সত্যিই এই বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে ।
আমি এটা গোপন রাখতে পারি, যদি তুমি পারো ।
তাহলে হ্যান্ডশেখ করো ?
নিস্তব্ধ শব্দ ?
দারুন
এখন যদি তুমি আমাকে ক্ষমা করো, তাহলে আমি বাসায় যেতে পারি । কারন তোমার মতো আমারও হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা আছে ।
ভিনসেন্ট ?
তুমি আমার “ফক্স ফোরস ফাইভ” জোকগুলো শুনবে ?
কেন নয় ?
সম্ভবত আমি জোকগুলোর জন্য সামান্য হাসি রেখে দিয়েছি ।
না, তুমি হাসতে পারবে না কারন এটা কোন মজা নয় ।
কিন্তু তুমি যদি সত্যিই জোকগুলো শুনতে চাও, তাহলে আমি তোমাকে বলবো ।
- আমি অপেক্ষা করতে পারছি না ।
- ঠিক আছে ।
(জোকটা শুনুন) তিনটা টমেটো রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল...
পাপা টমেটো, মামা টমেটো আর বেবি টমেটো
বেবি টমেটো অত্যন্ত ধীর গতিতে পেছন থেকে হাঁটা শুরু করলো আর পাপা টমেটো ওর উপর ভীষণভাবে ক্ষেপে গেল আর...
পেছনে ফিরে এসে বেবি টমেটোকে কষে একটা চড় মারলো আর বললো
কেচাপ (সস)
[ মৃদুহাসি ]
কেচাপ ।
তোমার সাথে পরে দেখা হবে ।
(এইভাবে কিস দিয়ে আর লাভ কি...)
[ কুকুর ডাকবে ]
ওহ, এটা প্যাডেল ফুট । সে ভীষণ মজার, বোকা কুকুর ।
সে ভাবছে টোট্যাম পোল এখনো বেঁচে আছে !
সে উত্তর মেরুতে আছে !
[ হাসি ] টোট্যাম পোল এখানে এসেছে সারাজীবনের জন্য !
- [ মহিলা কণ্ঠ ] বাচস ?
- [ কুকুর ডাকবে ]
- [ টেলিভিশনের লোকটি ]
- আরও একটি বিষয়, আমরা অভিযান শুরু করবো...
- বাচস, এক মিনিটের জন্য টেলিভিশন বন্ধ করো । (বাচসের মা)
- ইয়াহ ।
- তোমার একজন স্পেশাল ভিজিটর এসেছেন ।
- [ টেলিভিশনে ] উঠে দাঁড়াও । উঠে দাঁড়াও ।
তোমার মনে আছে, যখন আমি তোমাকে বলেছিলাম তোমার ড্যাডি পি.ও.ডাবেলউ. ক্যাম্পে মারা গেছেন ?
ক্যাপ্টেন কোন্স এখানে এসেছেন ।
তিনি পি.ও.ডাবেলউ. ক্যাম্পে তোমার ড্যাডির সাথে ছিলেন ।
কেমন আছো বাবা ?
আমি তোমার কথা, তোমার বাবার মুখে অনেক শুনেছি ।
দেখ, আমি তোমার বাবার একজন খুব ভাল বন্ধু ছিলাম ।
আমরা হ্যানইপিটে একসাথে ছিলাম...
পাঁচ বছরের বেশি ।
আশাকরি...
তোমার এমন অভিজ্ঞতা কখনো হবে না ।
যখন দু-জন মানুষ একটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে, এক্ষেত্রে আমি আর তোমার বাবা...
যতটা সম্ভব একসাথে ছিলাম ।
তুমি একে অপরের প্রতি দায়িত্ববোধ দেখাবে এটাই স্বাভাবিক ।
যদি এটা আমার ক্ষেত্রে হতো, যিনি...
আসলে এটা হয়নি ।
মেজর. কুলজ এই মুহুর্তে আমার ছেলে জিমের সাথে কথা বলছেন ।
কিন্তু এক্ষেত্রে আমি তোমার সাথে কথা বলছি ।
বাচস...
আমি তোমার জন্য কিছু একটা নিয়ে এসেছি ।
এই ঘড়িটা আমি সেখানে পেয়েছি...
এটা প্রথমে কিনেছিলেন তোমার দাদা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ।
এটা প্রথম কেনা হয়েছিল টেনসিন শহরের কন্সভেলির একটা সাধারন দোকান থেকে ।
এটা তৈরি করেছিল প্রথম কোম্পানি হিসাবে যারা এখন হাতঘড়ি তৈরি করছে ।
তারপর থেকে মানুষ পকেট ঘড়ির ব্যবহার শুরু করে ।
এটা কিনেছিলেন ইরায়েন কুলেজ...
ঐ দিন তিনি সমুদ্রপথে প্যারিস যাত্রা করেন ।
এটা ছিল তোমার দাদার যুদ্ধের ঘড়ি ।
তিনি এটা প্রতিদিন পরতেন যুদ্ধের সময় আর...
যখন তিনি তার কাজ শেষ করলেন, তখন তিনি বাড়ি এসেছিলেন তোমার দাদির সাথে দেখা করতে
ঘড়িটি খুললেন, ঘড়িটাকে কফি ক্যানের মধ্যে রাখলেন আর এটা ততক্ষণ ছিল...
যতক্ষণ তোমার দাদা, ড্যান কুলেজকে ডাকা হলো দেশের জন্য...
সুমদ্রে গিয়ে জার্মানদের সাথে পুনরায় যুদ্ধ করার জন্য ।
ঐ সময় তারা এটার নাম দিয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ।
তোমার দাদা এটা দিয়েছিল তোমার বাবাকে গুড-লাকের প্রত্যাশায় ।
দুর্ভাগ্যক্রমে, ড্যানের ভাগ্য তার বাবার মতো ছিল না ।
ড্যান মেরিনে ছিল আর তিনি এরপর মারা যান...
অন্য মেরিন সেনাদের সাথে আইল্যান্ড যুদ্ধে ।
তোমার বাবাও মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলেন ।
তিনি এটা জানতেন ।
ঐ সৈন্যগুলোর তখনো মায়া ছিল তারা এই আইল্যান্ড বাঁচিয়ে রাখবে
তিন দিন আগেই জাপানীরা আইল্যান্ড দখল করে নিলো ।
বিমান বন্দরে তোমার দাদার সাথে উনাকি নামে একজনের সাথে দেখা হয়েছিল...
উনার সাথে তোমার বাবার আগে কখনো দেখা হয়নি...
তার শিশুপুত্রকে প্রদান করার জন্য...
যিনি আগে কখনো এই সোনার ঘড়ি দেখেননি ।
তিন দিন পর তোমার বাবা মারা যান কিন্তু উনাকি তার কথা রেখেছিলেন ।
যখন যুদ্ধ শেষ হলো, তিমি তোমার দাদির সাথে দেখা করতে আসলেন
তোমার শিশু-বাবার, বাবার এই সোনার ঘড়িটি প্রদান করার জন্য ।
এই ঘড়িটি...
এই ঘড়িটি তোমার বাবার হাতে ছিল যখন তিনি হানোয়েতে যুদ্ধ করতে গিয়ে মারা যান ।
তিনি এটা গ্রহন করে ভিয়েতনামের পিজন ক্যাম্পে রেখেছিলেন ।
তিনি জানতেন যদি কোন অশ্বেতাঙ্গ বিদেশী এই ঘড়িটা দেখে...
তারা এটা বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যাবে ।
তোমার বাবা এটাকে যে চোখে দেখতেন সেটা হচ্ছে ঘড়িটা পাওয়া তোমার জন্মগত অধিকার ।
তিনি মনে কষ্ট পেতেন যখন কেউ নোংরা হাত দিয়ে তার ছেলের জন্মগত অধিকারের জিনিসটা স্পর্শ করতো
তাই তিনি এটাকে একটা গোপন জায়গায় লুকিয়ে রাখতেন, তিনি জানতেন তিনি কিছু একটা লুকিয়ে রাখতে পারেন...
দীর্ঘ পাঁচ বছর তিনি তার হাতে এই ঘড়িটি পরেছেন ।
তারপর তিনি আমাশয় রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান, মারা যাবার পূর্বে তিনি এই ঘড়িটি আমাকে দিয়েছিলেন ।
আমি এটাকে একটা টিনের কৌটার মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিলাম দু’বছর ।
তারপর...
সাত বছর পর আমি বাড়িতে এসে আমার পরিবারের সাথে দেখা করি আর...
এখন...
বাবা, আমি এই ঘড়িটা তোমাকে দিচ্ছি ।
- [ বেল বাজবে ]
- [ হাঁপিয়ে উঠবে ]
- [ দর্শকের উল্লাস ]
- (এতক্ষণ ঘড়ির স্বপ্নই দেখছিল)
[ শ্বাস নেবে ]
[ দর্শকরা উল্লাস করতে থাকবে ]
সময় হয়ে গেছে, বাচস । (বাচসের বক্সিং ট্রেইনার)
[ আহ শব্দ ]
[ ঘোষণাকারী ]
দ্যা হেবিওয়েট চাম্পিয়ানশিপ ।
- ডান দিক থেকে নীল পোশাক পরে
- [ ঘোঁৎ ঘোঁৎ শব্দ করবে ]
যার ওজন দু’শো দশ পাউন্ড ।
ফ্লড রয় উইলসন !
- [ দর্শকরা উল্লাস করতে থাকবে ]
- [ বেল বাজবে ] (খেলা শেষ)
[ ঘোষণাকারী ]
এটা অফিসিয়াল ঘোষণা । এটা অফিসিয়াল ঘোষণা ।
- উইলসন মারা গেছেন !
- [ ঘোষণাকারী - ২ ] ড্যান, তিনি রক্তাক্ত হয়েছেন...
হাত ভেঙ্গে গেছে, এটা এখনো পর্যন্ত আমার চোখে দেখা সবচেয়ে নির্মম বক্সিং ম্যাচ ছিল ।
কুলেজ এখনো পর্যন্ত আমার দেখা সবচেয়ে ক্ষিপ্ত ছিল বিজয়ী বক্সার রিং ছেড়ে দিলো ।
- তুমি কি মনেকর, সে জানত উইলসন মারা যাবে ?
- আমার যতদূর ধারনা সে এটা জানত ।
আমি তার ক্ষিপ্ততা তার চোখে দেখেছি আর এটাই বাস্তবে পরিনত হয়েছে সে যেটা করতে চেয়েছিল ।
- আমি মনেকরি যেকোনো বক্সারই এই ক্ষিপ্ততার বিপক্ষে রিং ছেড়ে দিতো ।
- তুমি কি মনে করছো, এটা একটা ট্র্যাজেডি...
এটা বক্সিং বিশ্বে কোন প্রভাব ফেলবে ?
এ ধরনের ট্র্যাজেডি বক্সিং বিশ্বে প্রভাব ফেলবে না কিন্তু হৃদয়ে নাড়া দেবে কিন্তু
খুব বেশি হলে এটার গুরুত্ব ডাবেলউ. বি. এ. এর কাছে একটা দু:খজনক সপ্তাহ হিসাবে থাকবে ।
- [ দর্শকরা উল্লাস করতে থাকবে ]
- (মারসেলাস ওয়ালেসের হাতে ধরা পরার ভয়ে বাচস টাকার ব্যাগ নিয়ে জানালা দিয়ে পালাচ্ছে)
- [ ইঞ্জিন স্টার্ট হবে ]
- [ টায়ার স্লিপ করবে ]
- [ গাড়ির হর্ন বাজবে ]
- (সাদাটা নয়, হলুদ গাড়িটা)
[ পুরুষ কণ্ঠ ]
তুমি জান, আমি এটা করেনি ।
- মারসেলাস ।
- না, আমি এটা করেনি ।
আমি এটা করেনি ।
- কেমন আছো, ডার্লিং ?
- দারুন ।
আমি তোমাকে ডিনারের জন্য ধন্যবাদ দিইনি ।
- তুমি কি শুনেছ ?
- বাচস পালিয়েছে ।
- তার বক্সিং ট্রেইনার ?
- সে বলেছে, সে কিছু জানে না । আমি তাকে বিশ্বাস করি ।
- আমি মনে হয় বাচস বিস্মিত হয়েছে...
- না, আমি “মনে হয়” শব্দটি শুনতে চাই না ।
আমরা জানতে চাই । বাচসের বক্সিং ট্রেইনারকে কান ধরে ক্যানেলে নিয়ে এসো আর...
আমাদের খুঁজে বের করতে হবে সে কি জানে আর কি জানে না ।
বাচসকে খোঁজা হচ্ছে...আপনি কিভাবে এটা করতে চাচ্ছেন ?
আমি এই ধরনের কুত্তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেবার জন্য তৈরি ।
বাচস যদি ইন্দো-চায়না চলে যায়, আমি তার জন্য খাবার প্লেটের মধ্যে শয়তান লুকাতে চাচ্ছি ।
তাকে প্যাকরাও করার জন্য ।
আমি বিষয়টা দেখছি ।
মিস্টার ?
- হেই, মিস্টার ?
- কি ?
তুমি ফাইট করছিলে, তুমি রেডিওতে ফাইট করছিলে ।
- তুমি ফাইটার ?
- তুমি এটা কোথা থেকে শুনলে ?
ওহ...বলো না...
তুমিই কি সে ?
না বললেও আমি জানি তুমিই সে ।
বলো...না...তুমিই সে ।
হ্যাঁ আমিই সে ।
তুমি তো অন্য বক্সারকে মেরে ফেলেছ ।
সে মারা গেছে ?
রেডিওতে বলেছে সে মারা গেছে ।
ক্ষমা করে দিও, ফ্লয়েড ।
তোমার কাছে এটা কেমন লাগছে ?
কি, কেমন লাগছে ?
মানুষ মারলে, এটা ।
একজনকে ঘুসি মারতে মারতে মেরেই ফেললে ।
তুমি কে, র্যাবের সদস্য ?
কি যে বলো...
শুধু কথার কথা, আমি এই বিষয়ে একটু জানতে চাচ্ছিলাম ।
এখন পর্যন্ত তুমিই আমার দেখা প্রথম পুরুষ যে কাউকে খুন করেছে আর আমি তার সাথে কথা বলছি ।
তাহলে বলো...
- একজন মানুষকে খুন করার অনুভূতি কেমন ?
- [ নাক টানবে ]
আমি তোমাকে কি বলবো ?
তোমার কাছে যদি আকিজ বিড়ি থাকে, তাহলে সেখান থেকে একটা দাও আর আমি তোমাকে এই বিষয়ে বলছি ।
[ ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখে ] তাহলে ইসমারেলডা...
ভিলা লবস, এটা মেক্সিকান নাম ?
এটা স্প্যানিশ নাম কিন্তু আমি কলম্বিয়ান জিনিস ।
- খুব সুন্দর নাম, সোনা ।
- ধন্যবাদ ।
এন্ড হোয়াট ইজ ইয়োর নেম ?
বাচস ।
বাচস ।
- তোমার নামের অর্থ কি ?
- আমি আমেরিকান সোনা, আমাদের নামের কোন অর্থ নেই ।
সামনে যেতে থাকো
ইসমারেলডা
তুমি কি জানতে চাও ?
- আমি জানতে চাই, মানুষকে খুন করার অনুভূতি কেমন ?
- আমি তোমাকে বলেনি, তাই না ?
তুমি এখনো নিশ্চিতভাবে জান না সে মারা গেছে, কিন্তু তুমি আমাকে বললে সে মারা গেছে ।
এখন আমি জানি সে মারা গেছে, তুমি জানতে চাচ্ছ এখন আমার অনুভূতি কেমন ?
আমি সামান্য খারাপ ছাড়া বেশি কিছু অনুভব করছি না ।
(বাচসের বন্ধু স্কটি বক্সিং ম্যাচটা নিয়ে বাজি ধরেছিল...এখন স্কটি কিভাবে বাজির টাকাগুলো সংগ্রহ করে
বাচসকে তার অংশ পরিশোধ করবে সেটা জানার জন্য বাচস স্কটিকে ফোন দিয়েছে)
আমি কি এমন বাজে কথা বললাম, হুউ ?
যেটা হয়েছে, সেটা হচ্ছে মানুষ (বাচস) আর টাকা ছাদ দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে ।
আমি জানি, আমি জানি এটা অবিশ্বাস্য ।
*** স্কটি, সে যদি প্রকৃত বক্সার হতো সে এতক্ষণ বেঁচে থাকতো ।
সে যদি কখনো তার হাতের গোলসফ ঠিকভাবে না পরে...
যেটা সে এই জায়গাতে আগে কখনো করেনি, সে এখনো বেঁচে থাকতো ।
[ থুথু ফেলবে ]
হ্যাঁ, কে ওকে খুন করেছে ? বিক্সিং ম্যাচ শেষ, এসব কথা বাদ দাও ।
মি. ফ্লডের মতো একজন দুর্ভাগ্যবানকে নিয়ে যথেষ্ট কথা বলা হয়েছে ।
এখন ধনী আর ভাগ্যবান মি. বাচসকে নিয়ে কথা বলো ।
তুমি ক’জনের সাথে বাজি ধরেছিলে ?
আটজনের সাথেই ? টাকাগুলো সংগ্রহ করতে কত সময় লাগবে ?
টাকাগুলো তুমি কাল রাতের মধ্যে সংগ্রহ করতে পারবে ? না, আমি বুঝেছি ।
এদিকে একটু সমস্যা আছে । ওহ স্কটি এটা খবর ছেলে ।
এটা দারুন খবর, ছেলে ।
হ্যাঁ...হুম । না, আমি আর ফাবিয়ানো (বাচসের গার্লফ্রেন্ড) কাল সকালেই চলে যাচ্ছি ।
ঢাকা পৌঁছাতে আমাদের কয়েক দিন লেগে যাবে ।
ঠিক আছে, আমার ভাই ।
[ হাসবে ]
তুমি ঠিক বলেছ ।
তুমি ঠিকই বলেছ ।
ঠিক আছে স্কটি, তোমার সাথে পরে কথা হবে, সম্ভবত ঢাকাতে গিয়ে ।
দারুন হবে, ভাই ।
পঞ্চাশ টাকা ।
আর...
আর তোমাকে অতিরিক্ত একশো টাকা দিচ্ছি এটার জন্য...
এখন কেউ যদি তোমাকে জিজ্ঞেস করে, তোমার গাড়িতে আজ রাতে কে উঠেছিল, তাহলে তুমি কি উত্তর দেবে ?
সত্য বলবো ।
তিনজন, ভাল পোশাকের, সামান্য মদ্যপান করা মেক্সিকান ।
নমস্কার, ইসমারেলডা ভিলা লবস ।
Buenas noches, Butch. (স্প্যানিশ) ভালকরে ঘুমিয়ো, বাচস
ইউহ ।
লাইট বন্ধ রাখো ।
- এবার ভালো হয়েছে ?
- হ্যাঁ ।
- [ পুলিশের গাড়ির হর্ন বাজবে ]
- [ কুকুর ডাকবে ]
[ ফাবিয়ানো ] অফিসে কাজের চাপ ছিল ?
সামান্য চাপ ।
ফাইট করেছি ।
দুষ্ট ছেলে ।
স্পুন্স তৈরি করতে পারবে ?
তুমি কি জান ? আমি গোসলের কথা ভাবছিলাম ।
- আমি এখানে নোংরা কুকুরের মতো দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছি ।
- আমি তোমার দুর্গন্ধ পছন্দ করি । (কাছে এসো সোনা)
ঠিক আছে, আগে জ্যাকেটটা খুলতে দাও তারপর তোমাকে দেখছি ।
- আমি আয়নাতে আমার নিজের চেহারা দেখছিলাম ।
- ও...তাই...
মনে হচ্ছিল আমার পেট হয়েছে ।
তুমি নিজের চেহারা আয়নায় দেখছিলে আর ভাবছিলে তোমার পেট হয়েছে, তাই ?
পেট । জান, আমার পেট হয়েছে ।
পেট হওয়াটা অনেক সেক্সির ।
তাহলে তো তোমার খুশি হওয়ার কথা
কারন তোমার পেট হয়েছে ।
চুপ করো, মোটা । আমার কোন পেট হয়নি ।
আমার সামান্য পেট বেড়েছে, অনেকটা ম্যাডনার মতো যখন সে পপ তারকা হয়েছিল ।
এটা আসলে এক জিনিস নয় ।
আমি জানি না এই দু’টোর মধ্যে পার্থক্য কি, পেট হওয়াটা আর পেট বাড়াটা ।
এই দু’টোর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে ।
[ কিস করবে ]
তুমি আমাকে পছন্দ করতে যদি আমার পেট হতো ?
না, কি যে বলো...তুমি না ছেলে মানুষ ।
পেট হলে বাচ্চা হয়, তুমি গোরিলাদের দেখ ।
কিন্তু মেয়েদের পেট হওয়াটা অনেক সেক্সির ।
তোমার বুড়ো অবস্থার কথা চিন্তা করো...স্বাভাবিক মুখ, স্বাভাবিক পা...তেমন এটা আর ওটার কথা চিন্তা করো...
কিন্তু তোমার যদি ইয়া বড় পেট থাকে তাহলে...
যদি আমার এতো...বড় পেট থাকতো তাহলে আমি ছোট্ট টি-শার্ট পরে...
রাস্তায় ঘুরে বেড়াতাম ।
তুমি কি মনেকর, ছেলেরা তোমার পেটের দিকে তাকাত ?
আমি তাদের আমার দিকে তাকানোর সুযোগই দিতাম না ।
দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা যেটা খুঁজছি আনন্দদায়ক কিছু একটা স্পর্শ করে অথবা চোখ দিয়ে দেখে...
এটা প্রায়ই একই রকম হয়ে থাকে ।
[ দীর্ঘশ্বাস নেবে ]
তোমার যদি পেট হতো তাহলে আমি তোমাকে গুতা মারতাম ।
- তুমি আমার পেটে গুতা মারতে ?
- ঠিক পেটের মাঝে ।
ও...তাই ! এবার তোমাকে মজা দেখাচ্ছি !
আমি আমার পেট তোমার মুখের উপর রাখতাম তুমি নিঃশ্বাস নিতে পারতে না ! [ দু’জনই হাসবে ]
- তুমি এটা করতে ?
- নিশ্চয়ই ।
- প্রমিস ?
- ইয়া ।
[ উভয়ই কিসে ব্যস্ত থাকবে ]
- ওহ...
- ওহ...
[ কিস করবে ও হাসবে ]
ওহ !
[ শ্বাস নেবে ]
[ আহ ]
তুমি সবকিছু ঠিকঠাক করেছ ?
- হ্যাঁ, আমি করেছি ।
- গুড জব, সুগার পপ ।
তোমার প্লানমত আজকে সবকিছু হয়েছে ?
- তুমি আজকে শোননি...আউ ! (আস্তে)
- [ মুখ চেপে হাসবে ]
তুমি আজকে রেডিও শোননি ?
আমি তোমার ফাইটের কথা শুনেনি । তুমি আজকে জিতেছ ?
আমি আজকে জিতেছি । (এমন স্ত্রী থাকলে সব কাজেই সাফল্য আসে)
- তাহলে তুমি বক্সিং খেলা ছেড়ে দিচ্ছ ?
- নিশ্চয়ই ।
তাহলে এখন থেকে শুধু আমার সাথে খেলবে ।
কেবল হাফটাইম...খেলা এখনো বাকী আছে, বেবি ।
[ কিস করবে ]
আমরা এখন অনেক বিপদের মধ্যে আছি, তাই না ?
মারসেলাস ওয়ালেসের লোকজন যদি আমাদের খুঁজে পায়, তারা আমাদের মেরে ফেলবে, তাই না ?
কিন্তু তারা আমাদের কখনো খুঁজে পাবে না...
তুমি আমার সাথে থাকতে চাও ?
আমি তোমার বোঝা হতে চাই না, কখনো না...
[ আহ... ]
বলো...
- [ আহ... ]
- ফাবিয়ানো...
আমি চাই, তুমি আমার সাথে থাকবে ।
- সারাজীবন ?
- না, শুধু কিয়ামত পর্যন্ত ।
তুমি আমাকে লাভ করো ?
অনেক বেশি...লবনের মতো ।
[ কিস করবে ]
- বাচস ?
- বলো ।
তুমি আমাকে মজা দেবে ?
তুমি আমাকে কিস করবে ?
হ্যাঁ, কিন্তু তুমি প্রথমে ।
- ওকে ।
- ওকে ।
[ আহ... ]
[ ওহ... ]
[ বাচস ]
Mon amour. L'aventure commence. (ফ্রেঞ্চ) আমার ভালোবাসা, বাচস । প্রেমালিঙ্গন শুরু করো ।
[ ওহ... ]
[ পানি পরতে থাকবে ]
আমার মনে হয়, আমার পাঁজর ভেঙে গেছে ।
- তুমি আমাকে মজা দেবে না ?
- না রিটাড, বক্সিং খেলতে গিয়ে লেগেছে ।
- আমাকে রিটাড বলে ডেকো না ।
- [ ঠাট্টা করে ] আমার নাম ফাবি ।
- আমার নাম ফাবি ।
- চুপ করো ।
- চুপ করো !
- আমার নাম ফাবি...
চুপ করো ! তোমার মোঙ্গল কণ্ঠ আমি ঘৃণা করি ।
ওকে, ওকে, সরি, সরি, সরি ।
- [ পানি পরা বন্ধ হবে ]
- ঠিক আছে, আমি ঠাট্টা ফিরিয়ে নিচ্ছি ।
আমার হাতে তোয়ালেটা দেবে মিস. বিউটিফুল টিউলিপ ?
- ওহ, টিউলিপ নামটা আমার পছন্দ হয়েছে ।
- [ কাশবে ]
টিউলিপ নামটা মোঙ্গল নামের চেয়ে সুন্দর ।
আমি তোমাকে মোঙ্গল নামে ডাকেনি । আমি তোমাকে রিটাড বলেছি ।
আর আমি এটা ফিরিয়ে নিচ্ছি ।
- [ আহ ]
- বাচস ?
বলো, পাতি লেবু ।
- আমরা এখন কোথায় যাচ্ছি ?
- আমি এখনো নিশ্চিত নই ।
তুমি যেখানে চাও ।
আমরা এখান থেকে অনেক টাকা পেতে যাচ্ছি...
কিন্তু এই টাকা দিয়ে...
আমরা সারাজীবন সুখে-শান্তিতে কাটিয়ে দিতে পারবো না ।
আমি ভাবছিলাম আমাদের সাউথ প্যাসেফিকের কোথাও যেতে হবে ।
এই টাকা নিলে আমাদের অনেক পথ এটা বহন করে নিয়ে যেতে হবে ।
- তুমি যদি চাও তাহলে আমরা বোরা-বোরাতে গিয়ে থাকতে পারি ।
- তুমি খুশি হবে ?
কিছুদিন পর তুমি এটা পছন্দ করবে না, আমাদের অন্য কোথাও যেতে হবে ।
মনেকর, হাইতি, মেক্সিকোতে ।
কিন্তু আমি স্প্যানিশ ভাষা জানি না ।
ঠিক আছে, তুমি তো বোরা-বোরার ভাষাও জান না ।
তাছাড়া, এদিক থেকে মেক্সিকোর ভাষাই সহজ ।
- দনদে ইস্তা জাপাতোরিয়া ?
- এটার অর্থ কি ?
জুতার দোকানটা কোথায় ?
- দনদে ইস্তা...
- আগে থুথু ফেলে নাও ।
[ থুথু ফেলে ]
- দনদে ইস্তা জাপাতোরিয়া ।
- দারুন উচ্চারণ করে বলেছ ।
[ কিস করবে ]
তুমিই হবে আমার তোতা পাখি ।
- [ হাই তুলে ] কিউ অরা য়াস ?
- কিউ অরা য়াস ?
- এখন কিসের সময় ?
- এখন কিসের সময় ?
এখন ঘুমানোর সময় ।
সুইট ড্রিম জেলিবিন ।
[ থুথু ফেলবে ]
বাচস ?
মাইন্ড করো না ।
[ ব্রাশ করবে ]
[ টেলিভিশনে মোটরবাইকের ইঞ্জিন স্টার্ট হবে ]
আহ !
[ ঊর্ধ্বশ্বাস ]
তুমি আমাকে দেখে চমকেছ ? তুমি খারাপ স্বপ্ন দেখেছ ?
[ হাই তুলবে ]
[ মোটরবাইক চলতে থাকবে ]
[ ঊর্ধ্বশ্বাস নেবে ]
- তুমি কি দেখছো ?
- মোটরসাইকেল মুভি ।
আমি মুভিটির নাম সঠিক জানি না ।
- তুমি এটা দেখছো ?
- দেখছি ।
সকালের শুরুতেই এমন বিস্ফোরণ...না জানি সারাদিন কি হয়...
- ওটা কি ছিল ?
- আমি কিভাবে জানবো, তুমিই তো এটা দেখছিলে ।
- না বোকা, আমি তোমার স্বপ্নের কথা বলছিলাম ।
- আমি জানি না ।
আমি মনে করতে পাচ্ছি না ।
এমন স্বপ্ন খুব কমই আছে, যেটা আমি মনে করতে পারি ।
তাহলে সকালবেলা মনভোলা মানুষটির চেহারাটা একটু দেখি ।
[ উভয়ই কিস করবে ]
তুমি ঘুম থেকে উঠছো না কেন আমাদের ব্রেকফাস্ট করতে হবে ।
আর একটা কিস দাও, তাহলে আমি উঠবো ।
[ কিস ]
- খুশি হয়েছ ?
- হ্যাঁ ।
- ওঠো দুষ্টু ছেলে ।
- ওহ ।
ওহ, গড ।
- এখন ক’টা বাজে ?
- প্রায় ন’টা ।
- আমাদের ট্রেন কখন আসবে ?
- এগারো টায় ।
- তুমি জান, আমি তোমার জন্য কি ব্রেকফাস্ট করেছি ?
- কি, পাতি লেবু ?
আমি তোমার জন্য একটা বড় দেখে ব্লুবেরি প্যানকেকের অর্ডার করেছি...
সাথে সুপ...
ডিম আর পাঁচটা সসেজ ।
সাথে ড্রিংকের ব্যবস্থা আছে ?
তোমাকে দারুন দেখাচ্ছে ।
এক গ্লাস অরেঞ্চ জুস খাবে...
আর এক কাপ কালো কফি খাবে ।
- তারপর আমি পাই নিয়ে আসবো ।
- ব্রেকফাস্টে পাই ?
[ হাসবে ] দিনের যেকোনো সময়েই পাই খাওয়া যায় ।
প্যানকেকের সাথে ব্লুবেরি পাই...
আর তারপর চীজ হবে ।
আমার ঘড়িটা কোথায় ?
ওখানেই আছে ।
- না, এখানে নেই ?
- তুমি ভালো করে দেখছো ?
হ্যাঁ, আমি দেখেছি । তুমি কি ভাবছো, আমি দেখছি না ?
তুমি নিশ্চিত, তুমি এটা দেখেছ ?
হ্যাঁ, টেবিলের পাশেই ।
- ক্যাঙ্গারুর উপর ?
- হ্যাঁ, ক্যাঙ্গারুর উপরই ছিল ।
ভাল, কিন্তু এখন এটা এখানে নেই ।
- [ খুঁজতে থাকবে ]
- মনে হয় ওখানেই ছিল ।
হ্যাঁ, এখানেই ছিল কিন্তু এখন এটা এখানে নেই ! তাহলে এটা কোথায় গেল ?
ফাবি, আমার বাবার ঘড়িটা কোথায় ?
তোমার কোন ধারনা আছে, তিনি কিভাবে এটা আমাকে দিয়েছিলেন ?
আমার ঘড়ির বিষয় নিয়ে তোমাকে ব্যাখ্যা করে বলার সময় নেই কিন্তু আমার বাবা অনেক কষ্টে এটা আমাকে দিয়েছিলেন ।
তুমি সবকিছুই ঠিকভাবে সাজিয়ে রেখেছ, কিন্তু আমি বিশেষভাবে বলেছিলাম, ঘড়িটার কথা ভুলে যেও না ।
এখন ভেবে বলো ।
- তুমি এটা নিয়ে এসেছিলে ?
- আই বিলিভ সো ।
ইউ বিলিভ সো ? তুমি এটা নিয়ে এসেছিলে নাকি নিয়ে আসোনি ?
আমি নিয়ে এসেছিলাম ।
তুমি নিশ্চিত ?
না ।
***
***
- [ চিৎকার ]
- [ ভাঙচুরের শব্দ ]
তুমি জান তুমি কত বোকা ?
না !
এটা তোমার দোষ নয় ।
তুমি এপার্টমেন্টে ঘড়িটা রেখে এসেছ ।
তুমি যদি এপার্টমেন্টে ঘড়িটা রেখে আসো, এটা তোমার দোষ নয় ।
আমি তোমাকে অনেক জিনিসপত্র নিয়ে, এখানে নিয়ে এসেছিলাম ।
[ দীর্ঘশ্বাস ]
আমি তোমাকে এটা বলেছিলাম ।
কিন্তু আমি তোমাকে ব্যাখ্যা করে বোঝায়নি, ঘড়িটা আমার কাছে কত গুরুত্বপূর্ণ ।
আমার যদি ঘড়ির দিকে খেয়াল থাকতো, আমি তোমাকে এটা বলতাম ।
তুমি তো মনের ভাষা বুঝতে পারো না ।
তুমি, মনের ভাষা বুঝতে পারো ?
[ কাঁদবে ]
আ’ম...আ’ম সরি ।
সরি বলো না । শুধু বলছি, আমি তোমার সাথে ব্রেকফাস্ট করতে পারছি না ।
তুমি এটা বলছো কেন ?
কারন আমাকে ঘড়িটা খুঁজতে এপার্টমেন্টে ফিরে যেতে হবে ।
ওখানে গ্যাংস্টারা তোমাকে খুঁজবে না ?
আর এজন্যই আমি ওখানে খুঁজতে যাচ্ছি ।
তারা যদি সেখানে থাকে, আমি ভাবছি না যে আমি তাদের হ্যান্ডেল করতে পারবো ।
তারপর আমি কেটে পরবো ।
আমি তোমার ঘড়িটা দেখেছিলাম । আমার মনে হয় আমি এটা নিয়ে এসেছি । আমি ভীষণ দুঃখিত ।
এখানে কিছু টাকা আছে, বাইরে গিয়ে প্যানকেক কিনে খেয় ।
সুন্দর ব্রেকফাস্ট হবে ।
আমি তোমার হুণ্ডা নিচ্ছি । তোমার ব্লুবেরি পাই খাওয়ার আগেই আমি ফিরে আসবো ।
ব্লুবেরি পাই ।
তবে এতো তাড়াতাড়ি না ।
- কিন্তু তাড়াতাড়ি, ঠিক আছে ?
- ঠিক আছে ।
- বাই ।
- বাই ।
সিট ! সবকিছুর কথাই সে ভুলে গেছে ।
সে আমার বাবার ঘড়ির কথা ভুলে গেছে !
আমি তাকে ভালোভাবে মনে করিয়ে দিয়েছিলাম...
টেবিলের পাশে, ক্যাঙ্গারুর উপর ।
আমি এই কথাটা বলেছিলাম, “আমার বাবার ঘড়ির কথা ভুলে যেও না”
[ গাড়ির টায়ার স্লিপ করবে ]
[ ইঞ্জিন থেমে যাবে ]
[ রেডিওতে ঘোষণাকারী ]
জ্যাকর্যাবিট নাইট ক্লাবে আসুন আপনার কাছাকাছি...
[ গাড়ির হর্ন বাজবে, লা ককুকারাসা ]
[ রেডিওতে ঘোষণাকারী ]
আই বি ব্যারো !
[ আইসক্রিম বহনকারী গাড়ির বেল বাজবে ]
[ শিশুর কান্নার শব্দ ]
[ মহিলা ও শিশু কথা বলবে ]
- [ মেয়ে কথা বলবে ]
- [ কুকুর ডাকবে ]
[ মহিলা কথা বলতে থাকবে ]
ভালই দেখাচ্ছে, বাচস ।
[ টয়লেটে পানির শব্দ ]
[ গুলি ও গ্লাস ভাঙ্গার শব্দ ]
[ অ্যালার্ম বাজবে ]
(বক্সিং ম্যাচে ওয়াদা ভঙ্গের কারনে বাচসকে খুন করার জন্য মারসেলাস ওয়ালেস ভিনসেন্টকে বাচসের পুরনো বাসায় পাঠিয়েছে)
[ অ্যালার্ম বাজতে থাকবে ]
[ অস্পষ্টভাবে অ্যালার্ম বাজতে থাকবে ]
[ বাচ্চা কথা বলবে ]
- [ গাড়ির ইঞ্জিন স্টার্ট হবে ]
- ♪ [ রেডিওতেঃ “দেয়ালের ফুলগুলো” ] ♪ (মিউজিকের নাম)
♪ যদি আমি তোমার জুতা পরে হাঁটি... ♪
♪ দেয়ালের ফুলগুলো গুনছি... ♪
♪ সলিটেয়ার খেলছি ডেকের নিচে ♪
তুমি কিভাবে তাদের পেটাবে, বাচস ?
- ♪ সিগারেট খাচ্ছি আর ক্যাপ্টেন ক্যাঙ্গারু কার্টুন দেখছি ♪
- তারা দ্বিধার মধ্যে আছে, হ্যাঁ ।
♪ এখন আমাকে বলবে না ♪
[ একাকী গান গাইবে ]
♪ দেয়ালের ফুলগুলো গুনছি ♪
♪ যেটা আমাকে বিরক্ত করবে না ♪
♪ সলিটেয়ার খেলছি ডেকের নিচে ♪
♪ সিগারেট খাচ্ছি আর ক্যাপ্টেন ক্যাঙ্গারু কার্টুন দেখছি ♪
♪ এখন আমাকে বলবে না ♪
♪ আমার করার কিছুই নেই ♪
♪ তোমাকে দেখে ভালো লাগলো, আমাকে অবশ্যই যেতে হবে ♪
♪ আমি জানি আমার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে ♪
- ♪ সবসময় আমার চোখগুলো ♪
- কুত্তা !
- ♪ অভ্যস্ত নয় ♪
- উহ !
[ গাড়ির টায়ার স্লিপ করবে ]
- [ মহিলা কণ্ঠ ] তুমি কি ভাবছো, সে মারা গেছে ?
- সে মারা গেছে ।
- ওহ মাই গড ।
- সে মারা গেছে ।
যদি কোর্টে যেতে আপনার কারুর প্রয়োজন হয়, তাহলে আমি আপনাকে সাহায্য করতে পারি । ভদ্র লোকটি মাতাল হয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন ।
তিনি আপানাকে আঘাত করেছেন, তারপর উনার কার ক্র্যাশ করেছে ।
- কে ?
- উনি ?
আমি পাগল হয়ে যাবো...
[ মহিলারা চিৎকার করবে ]
[ ঊর্ধ্বশ্বাস নেবে ]
- [ গুলি করবে ]
- আহ !
[ মহিলা চিৎকার করবে ]
আহ ! আমাকে গুলি করা হয়েছে !
[ চিৎকার করতে থাকবে ]
[ কাঁদতে থাকবে ]
[ গুলি করবে ]
[ চিৎকার করবে ]
[ ঊর্ধ্বশ্বাস ]
- [ গুলি করবে ]
- আহ !
[ রেডিওতে শিস দেবে ]
[ মারসেলাস চাপা স্বরে ]
কুত্তা !
- [ দরজার বেলের ঝনঝন শব্দ ]
- [ ঊর্ধ্বশ্বাস ]
- আমি তোমাকে কোনভাবে সাহায্য করতে পারি ?
- চুপ করো !
তুমি এক মিনিট দাঁড়াবে ?
তোমার কি হয়েছে ?
এদিকে কুত্তা !
তুমি ঘুসির মজা পাচ্ছ, বিগ বয় ?
নিজেকে নিয়ে গর্ব করো, তাই না ?
তুমি আমার সাথে ফাইট করবে, হু ?
- তুমি আমাকে খুন করবে...
- হ্যাঁ, কেউ একজন তো খুন হবেই ।
কারুর মাথার খুলি উড়ে যাবে...
- [ শর্ট গান তুলে ]
- এখানে এসব বন্ধ করো ।
- এটা তোমার কাজ নয়, মিস্টার ।
- এখন এটাই আমার কাজ ।
- অস্ত্র ফেলে দাও ।
- তুমি আমার কথা বুঝছো না ।
অস্ত্র ফেলে দাও ।
[ ঊর্ধ্বশ্বাস ]
[ রেডিওতে মেয়ে কণ্ঠ ]
♪ সময় হয়েছে... ♪
- ♪ ভালোবাসা খোঁজার ♪
- তোমার পা উঠাও ।
- ♪ [ মিউজিক চলতে থাকবে ] ♪
- তোমার হাত মাথার পেছনে রাখো ।
দরজা থেকে সরে এসো ।
এই কুত্তাটা আমাকে...
হত্যার চেষ্টা করছে ।
চুপ করো, এদিকে এসো ।
♪ যদি ভালোবাসো... ♪
♪ এটা আশ্রয় দেবে ♪
♪ [ রেডিওতে শিস দেবে ] ♪
জেড, মেনার্ড বলছিলাম
হ্যাঁ, দু’টা কুত্তাকে ধরেছি ।
♪ ওহ, আমার রাজকুমার ♪
[ ফোন রেখে দেবে ]
♪ তোমার নিচে ♪
♪ তোমার নিচে ♪
[ যন্ত্রণায় দু’জনই আর্তনাদ করবে ]
[ কাশবে ]
[ কণ্ঠরোধ থাকবে ]
আমার এই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে কেউ কাউকে খুন করতে পারবে না...
- শুধুমাত্র আমি আর জেড ছাড়া ।
- [ দরজায় বেল বাজবে ]
জেড আসছে...
[ দরজায় বেল বাজবে ]
- [ জেড ] আমার মনে হয় তুমি আমাকে বলেছিলে, তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করবে ।
- [ মেনার্ড ] আমি অপেক্ষা করেছি ।
[ সিঁড়িতে পায়ের শব্দ হবে ]
[ জেড ] তারা কেমন মারামারি করেছে ?
তারা একে-অপরের সাথে মারামারি করছিল ।
এটা, ওটাকে গুলি করতে যাচ্ছিল ।
সে ঠিক বলছে ? তুমি ওকে গুলি করতে যাচ্ছিলে ?
হু ?
আজকে কি বার ?
- হ্যাঁ, আজকে মঙ্গলবার না, তাই না ?
- না, আজকে বৃহস্পতিবার ?
- সে ভাল আছে ।
- হুম ।
[ দীর্ঘশ্বাস ]
ঠিক আছে, গ্রিমকে ডেকে নিয়ে এসো ।
আমার মনে হয় গ্রিম ঘুমাচ্ছে ।
তুমি গিয়ে ওকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে আসবে, ঠিক আছে ?
উঠো ।
নিচু হও ।
[ আঙ্গুল দিয়ে শব্দ করবে ]
তুমি ওদের কোনটাকে প্রথমে বেছে নেবে ?
- [ আঙ্গুল দিয়ে শব্দ করবে ]
- [ জেড] আমি এখনো নিশ্চিত নই ।
উপো-দশ-বিশ করে...
একজনকে ধরতে হবে...
তার আঙ্গুল দিয়ে ।
সে যদি তীব্রস্বরে চিৎকার করে, তাকে ছেড়ে দেব ।
উপো-দশ-বিশ...
আমার মা বলেছে...
পারফেকট জনকে বাছাই করবে
আর...তুমিই...
এটাকে
- [ জেড ] তুমি মোটাটাকে বেছে নিয়েছ ?
- [ চাপা স্বরে ] ***
- [ চাপা স্বরে ]
- স...
- তুমি “এটা” এখানে করতে চাচ্ছ ?
- না, আমি ওকে ভেতরের রুমে নিয়ে যেতে চাচ্ছি ।
আইডিয়াটা মন্দ না ।
[ চাপা স্বরে চিৎকার করবে ]
[ আহ ]
তুমি ওর দিকে চোখ রাখবে ।
[ রেডিওতে মিউজিক হবে ]
[ জেড, মেনার্ড ভেতরে কথা বলবে ]
[ ঘোঁৎ ঘোঁৎ শব্দ হবে ]
[ *** ]
- [ মুখ চেপে হাসবে ]
- [ ঘোঁৎ ঘোঁৎ শব্দ হতে থাকবে ]
- ইয়াহ...
[ ঘোঁৎ ঘোঁৎ শব্দ হবে, নির্যাতন চলবে ]
[ জেড চিৎকার করে ]
এটা নাও ! কুত্তা !
- এখন...
- আহ...
- [ নির্যাতন চলতে থাকবে ]
- [ চপেটাঘাত ]
- [ জেড চিৎকার করে ] ইয়াহ !
- [ মিউজিক চলতে থাকবে ]
- [ চিৎকার হবে ]
- [ নির্যাতন চলতে থাকবে ]
- [ জেড ] ইয়াহ !
[ নির্যাতন চলতে থাকবে ]
- ওহ !
- ইয়াহ !
- [ মিউজিক চলতে থাকবে ]
- [ জেড ] ইয়াহ ! ইয়াহ !
- ই...
- ই...আহ
[ মিউজিক চলতে থাকবে ]
[ দরজার বেল বাজবে ]
[ জোরে চিৎকার করবে ]
[ জোরে চিৎকার করতে থাকবে ]
[ জেড ] ইয়াহ !
[ চিৎকার করতে থাকবে ]
[ জোরে চিৎকার করতে থাকবে ]
নিচু হও !
আহ ! *** ইয়াহ !
[ মিউজিক জোরে চলতে থাকবে ]
[ জেড চিৎকার করে ]
ইয়াহ ! ইয়াহ !
[ মিউজিক চলতে থাকবে ]
[ মারসেলাস চিৎকার করবে ]
- [ মেনার্ড ] চুপ করো !
- [ চিৎকার করতে থাকবে ]
- [ মেনার্ড ]
- ***
(চোখ বন্ধ করুন)
[ জেড ] আরও জোরে !
- [ মারসেলাস চিৎকার করবে ]
- *** ইয়াহ !
[ চিৎকার করতে থাকবে ]
আহ...
[ কাঁদবে ]
- আহ...
- [ মিউজিক থেমে যাবে ]
[ আহ ]
[ মাটিতে পড়ে যাবে ]
তুমি বন্দুকটা নেবে না, জেড ?
হু ?
যাও বন্দুকটা হাতে নাও ।
যাও বন্দুকটা হাতে নাও ।
[ জোরে শ্বাস নেবে ]
হাতে নাও, ছেলে !
তুমি এটা তুলতে চাও ?
[ শর্ট গান তুলে ]
- [ ধীরে-ধীরে নিঃশ্বাস নেবে ]
- “আমাকে সাইড দাও” !!! বাচস !!
[ জেড মাটিতে পড়ে যাবে ]
***
তুমি “ওকে” আছো ?
না, ছেলে ।
আমি “ওকে” থেকে অনেক দুরে আছি ।
[ জেড চিৎকার করবে ]
[ জোরে চিৎকার করবে ]
এখন কি হবে ?
এখন কি হবে ?
আমাকে বলতে দাও, এখন কি হবে ।
আমি দুঃখ নিয়ে এই কুত্তাটাকে...
ওর নিজের বাড়িতে এখানে খুন করবো...
পাইন-কাঠি বন্ধুক দিয়ে ।
তুমি আমার কথা শুনতে পাচ্ছ, লম্পট ছেলে ?
আমি এখনো তোমার উপর চড়াও হয়নি...
আমি এখন তোমার ***
আমি বলেছিলাম, এখন তোমার আর আমার মাঝে কি হবে ।
এখন কি হবে ।
আমি বলছি, এখন তোমার আর আমার মাঝে কি হবে ।
এখানে আমি আর তুমি বলে কিছু নেই ।
বেশি কিছু না ।
[ কাঁদতে থাকবে ]
তাহলে, আমরা এখন শান্ত হতে পারি ?
হ্যাঁ, আমরা এখন শান্ত ।
- [ জোরে কাঁদবে ]
- দু’টো বিষয়ে ।
তুমি এই ঘটনা কাউকে বলে আমার প্রেসটিস প্যান্সার করবে না
যে ঝামেলা আমার, তোমার আর মিস্টারের মধ্যে...
যার বাকী জীবন এখন মর্মান্তিক কষ্টে চলে যাবে...
রেপের কারনে ।
রেপ করা কারুর কাজ নয় ।
দুই -
তুমি আজ রাতেই শহর ছেড়ে চলে যাবে, ঠিক এখন ।
আর যখন তুমি যাবে...
তুমি যেতেই থাকবে...
- অথবা তুমি থামবে না ।
- [ জোরে কাঁদবে ]
তুমি তোমার ডিলের কথা ভুলে গেছ ?
ডিল
এখান থেকে বেরিয়ে যাও ।
[ জেড কাঁদতে থাকবে ]
[ আহ ]
[ আহ... ]
(বাই)
সিট
[ দরজার বেল বাজবে ]
[ ইঞ্জিন স্টার্ট হবে ]
[ ইঞ্জিন বন্ধ হবে ]
ফাবিও !
[ আর্তনাদের সাথে ]
ফাবিও !
ফাবিও ! এসো বেবি !
- এসো, আমাদের এখনই যেতে হবে ।
- আমি ভীষণ অসুস্থ ।
- আমাদের ব্যাগ নিবো না ?
- রাখো তোমার ব্যাগ । দ্রুত না গেলে আমরা ট্রেন মিস করবো ।
- আমি নিচে যাচ্ছি
- সবকিছু ঠিক আছে ?
- কথা বলার সময় নেই, নিচে নেমে এসো !
- আমরা বিপদে পড়েছি ?
[ কাঁদতে থাকবে ]
এসো সোনা ।
তুমি এই মোটরসাইকেল কোথায় পেলে ?
- এটা মোটরসাইকেল না বেবি, এটা চোপার । নিচে নেমে এসো ।
- আমার হুণ্ডার কি হয়েছে ?
সরি, বেবি আমি তোমার হুণ্ডা নিয়ে অ্যাকসিডেন্ট করেছি । তুমি এখন নিচে আসবে, প্লিজ ?
এসো, আমাদের যেতে হবে ।
- তোমার কোথাও লেগেছে ?
- না, না । আমার নাকে সামান্য লেগেছে । তবে গুরুতর কিছু নয় ।
উঠো প্লিজ বেবি !
আমাদের এখনই যেতে হবে !
- ওহ বেবি, আ’ম সরি, কাছে এসো ।
- [ কাঁদবে ]
আ’ম সরি ।
- আ’ম সো সরি ।
- তুমি অনেকক্ষণ হলো গিয়েছ, আমি ভীষণ একাকী অনুভব করছিলাম ।
আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনি, সোনা । সবকিছু ঠিক আছে ।
- তুমি ব্রেকফাস্ট করেছ ?
- হ্যাঁ, ব্রেকফাস্ট করেছি ।
তুমি ব্লুবেরি প্যানকেক পেয়েছ ?
তাদের কাছে ব্লুবেরি কেক ছিল না, আমি ব্যাটারমিল্ক খেয়েছি, তুমি সত্যিই ঠিক আছো ?
যখন থেকে আমি তোমাকে রেখে চলে গিয়েছিলাম...
তখন থেকে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটেছে । আমি তোমাকে সব বলবো ।
তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠো ।
বাচস, এটা কার মোটরসাইকেল ?
- এটা চোপার বেবি ।
- এটা কার চোপার ?
- জেডের ।
- জেড কে ?
জেড মারা গেছে, বেবি । জেড মারা গেছে ।
[ ইঞ্জিন স্টার্ট হবে ]
হ্যাঁ, তুমি করেছ, ব্রেট !
তুমি তাকে অপমান করার চেষ্টা করেছ, আর মারসেলাস ওয়ালেস এটা পছন্দ করেন না...
...শুধু তার স্ত্রী মিসেস. ওয়ালেস ছাড়া ।
- ওহ গড, প্লিজ । আমি মরতে চাই না ।
- তুমি বাইবেল পড়ো, ব্রেট ?
- [ রেগে ] হ্যাঁ !
- সেখানকার একটি প্যাসেজ আমার মুখস্ত আছে ।
যেটা এই পরিস্থিতির জন্য উপযোগী ।
ইজিকেল ২৫;১৭
“নিষ্ঠাবান মানুষের পথ...
সবদিক থেকেই অবরুদ্ধ থাকে স্বার্থপরতার বেড়াজাল স্বরূপ...
অসৎ স্বৈরশাসকদের হাতে ।
শান্তি বর্ষিত হোক তার উপর, যে দানশীল আর মঙ্গল কামনাকারী
দুর্বলদের সাহায্য করে অন্ধকারের বিপদ থেকে
সে সত্যিই তার ভাইয়ের সাহায্যকারী...
আর খোঁজকারী যে তার শিশুদের হারিয়েছে ।
আর আমি এখন এর সমুচিত প্রতিশোধ গ্রহন করবো...
অগ্নিমূর্তি রুপে...
যারা বিষপান করানোর চেষ্টা করেছে এবং আমার ভাইয়ের ক্ষতি করেছে !
আর এখন তুমি জানবে আমার নাম লর্ড...
যখন আমি আমার প্রতিশোধ গ্রহনের জন্য অগ্নিমূর্তি ধারন করি”
[ জোরে গুলির শব্দ হবে ]
[ চিৎকার করবে ]
***
- [ ভিনসেন্ট ] সে তোমার বন্ধু ?
- ওহ...
ওহ, ভিনসেন্ট, মারভিন । মারভিন, ভিনসেন্ট ।
- ওকে ভাল কিছু বলো । ও আমাকে পীড়া দিচ্ছে ।
- ***
মারভিন, মারভিন ! আমি তোমাকে ডাকছি, শুনছো না ?
(খেয়াল করুন, গুলি করার আগেই দেয়ালে গুলির চিহ্ন কোথা থেকে আসলো...পরিচালক আগেই গুলি করে দিয়েছে)
- [ দরজা খুলে ]
- এবার মরো কুত্তা...
(আপনাকে আরও ভাল করে প্র্যাকটিস করতে হবে)
তুমি আমাদের বলনি কেন, একজন বাথরুমে আছে ?
মন গার্লফ্রেন্ডর কাছে ছিল ? তুমি ভুলে গিয়েছিলে কেউ একজন বাথরুমে ছিল...
...বন্দুক হাতে ?
তুমি দেখছ, যে বন্দুকটা দিয়ে ও আমাদের গুলি করলো, ওটার সাইজ কত বড় ছিল, ওটার সাইজ তার চেয়েও বড় ছিল ।
আমরা তো প্রায় মরেই গিয়েছিলাম ।
আমি জানি, আমরা ভাগ্যবান ছিলাম ।
না...না...না...এটা ভাগ্যের বিষয় ছিল না ।
- হ্যাঁ, হতে পারে ।
- এটা ছিল ঐশ্বরিক মধ্যস্থতা ।
তুমি জান ঐশ্বরিক মধ্যস্থতা কি ?
সম্ভবত জানি...
এর অর্থ হচ্ছে, ঈশ্বর স্বর্গ থেকে নেমে আসলো আর গুলিগুলোকে থামিয়ে দিল ।
ঠিক, তুমি ঠিকই বলেছ ।
ঈশ্বর স্বর্গ থেকে নেমে আসলো আর গুলিগুলোকে থামিয়ে দিল ।
আমার মনে হয় আমাদের যাবার সময় হয়েছে, জুলস ।
এটা বলো না । এমন দুঃখের কথা বলো না !
- এখানে কি ঘটলো, একটা মির্যাকেল !
- শান্ত হও । এটা তো ঘটে গেছে ।
ভুল ! ভুল ! এটা শুধু ঘটে যায়নি ।
তুমি কি এখন আধ্যাত্মিক আলোচনা করতে চাচ্ছ...
অনেকটা, জেলখানাতে বসে পুলিশের সাথে ?
আমরা তো মরেই যেতাম, আমার বন্ধু !
এখানে কি ঘটলো, একটা মির্যাকেল আর আমি চাচ্ছিলাম তুমি এটা স্বীকার করে নাও !
ঠিক আছে, বুঝলাম এটা মির্যাকেল ছিল । আমরা এখন যেতে পারি ?
এসো, আমাদের সাথে চলো ।
[ ভিনসেন্ট ]
তুমি পুলিশের এমন কাণ্ড কখনো দেখেছ ?
আমি শুধু একবারই এটা দেখেছি, আর সেখানে এই কাণ্ডটাই ঘটেছে
সে বন্ধুক যুদ্ধের কথা বলছিল, সে হলে ঐ লোকটার সাথে ছিল, ঠিক আছে ?
সে পিস্তলটি লোড করতে ভুলে গিয়েছিল, তারপর কিছুই হলো না । সে কাউকেই গুলি করতে পারেনি ।
ঠিক আছে ? এটা ছিল, সে আর ঐ লোকটি ।
আমি বলতে চাচ্ছি, তুমি জান এটা একটা খেয়ালী কিন্তু এটা ঘটে গেছে ।
যদি তোমার ক্ষেত্রে এটা অন্ধ মানুষের সাথে হতো, তাহলে এটা বিষয় ছিল না, কিন্তু আমার ক্ষেত্রে আমার চোখগুলো খোলা ছিল ।
- তুমি যে কি বোঝাতে চাচ্ছ ?
- আমি বোঝাতে চাচ্ছি, আমার নিজের জন্য এসব ছেড়ে দিতে হবে ।
তুমি এখান থেকেই মনে করতে পারো, আমি এসব ছেড়ে দিচ্ছি ।
- ঈশ্বর কি সব বলে ।
- কিছু মনে করো না ।
- আমি বলেছি তো কিছু মনে করো না ।
- হেই, তুমি আমাদেরকে ভাগ্যের বাইরে রাখছো কেন ?
দেখ, আজকে আমি মারসেলাসকে বলেছি...আমি এসব ছেড়ে দিচ্ছি ।
- তাহলে তুমি তাকে একই সময়ে বলনি কেন ?
- চিন্তা করোনা, আমি বলবো ।
- আর আমি দশ হাজার ডলার বাজি ধরে বলতে পারি, তুমি যদি তাকে একথা বলো, সে আক্কেল দাঁত বের করে হাসবে ।
- আমি তাকে এমনভাবে বলবো না যে, সে এটা করে ।
[ দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ]
মারভিন তুমি এই বিষয় নিয়ে কি ভাবছো ?
আমি এই বিষয়ে মতামত দিতে চাচ্ছি না ।
তোমার কোন মতামত নেই, তাহলে তুমি কি মনেকর, ঈশ্বর স্বর্গ থেকে নেমে আসলো আর...
- [ গুলির শব্দ ]
- তুমি এটা কি করলে ?
- ওহ সিট !
- সিট !
- ওহ আমি মারভিনের মুখে গুলি করে ফেলেছি ।
- তুমি এটা করলে কেন ?
আমি ওকে গুলি করতে চাইনি, এটা একটা অ্যাকসিডেন্ট ।
- আমার কাজের সময়ে কিসব পাগলামি করছো ।
- শান্ত হও ।
এটা একটা অ্যাকসিডেন্ট ছিল । আমরা সম্ভবত বিপদ পার হয়ে এসেছি ।
গাড়ির মধ্যে গুলি করার জায়গা হলো ।
আমি কুত্তাটাকে গুলি করতে চাইনি, অটোম্যাটিক গুলি হয়ে গেছে, আমি জানি না কেন ।
এদিকে তাকাও, আমরা এখন দিনের বেলাতে রাস্তার মাঝে !
- আমি এটা বিশ্বাস করতে পারছি না !
- এটা বিশ্বাস করো, কুত্তা !
আমরা যদি রাস্তার মাঝে গাড়ি থামায় পুলিশ গাড়িসহ আমাদের জেলে পাঠাবে ।
- গাড়িটাকে একটু নিরাপদ জায়গায় নিলেই তো হলো !
- এটা পর্বতময় এলাকা, ভিনসেন্ট ।
মারসেলাসের এই পর্বতময় এলাকাতে পরিচিত জায়গা নেই ।
- জুলস, এটা আমার বাবার ঢাকা শহর না !
- সিট !
- তুমি কি করছো ?
- আমি টুলুকা লেকে আমার পার্টনারের কাছে ফোন দিচ্ছি ।
- টুলুকা লেক কোথায় ?
- পাহাড়ের উপরে, বারব্যাংক স্টুডিওতে ।
যদি জিমি বাড়িতে না থাকে, আমি জানি না আমরা তখন কি করবো
কারন ৮০১ রাস্তায় আমার অন্য কোন পার্টনার নেই ।
জিমি, কি খবর তোমার ? জুলস বলছিলাম, আমার কথা শোন
আমি আর আমার বন্ধু রাস্তার মধ্যে বিপদে পড়েছি, আমাদের দ্রুত রাস্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে
আমি তোমার বাড়িতে কিছু সময় থাকতে চাচ্ছি ।
এই পরিস্থিতির মধ্যে আমরা সত্যিই জিমিকে বিপদে ফেলে দেব
সে এসব দেখলেই আমাদের তার বাড়ি থেকে বের করে দেবে ।
- সে যদি আমাদের তার বাড়ি থেকে বের করে দেয়, তখন কি করবো ?
- আমরা চলে যাবো না, যতক্ষণ না আমরা কারুর কাছে ফোন করি ।
কিন্তু আমি পিচের কাছে যেতে চাই না...জিমির ফ্রেন্ড ।
তুমি অবশ্য তোমার ফ্রেন্ড-এর বাড়িতে এসে এসব কথা বলবে না যেটা আমাদের ক্ষেত্রে হয়েছে ।
তাকে শুধু ভালভাবে বুঝিয়ে বলবে, মাথা গরম করবে না ।
সে মারভিনকে দেখলে একটু উত্তেজিত হয়ে উঠতে পারে ।
নিজেকে তাড়াতাড়ি পরিষ্কার করে নাও, এখন সকাল আট’টা বাজে, সে এই মাত্র ঘুম থেকে উঠেছে ।
সে অবশ্যই এ ধরনের ঝামেলা প্রত্যাশা করেনি ।
আমাদের এখানে মনে রাখতে হবে কে, কার অনুকূলে কাজ করছে ।
অনুকুলে বলতে যদি এটা বোঝানো হয় আমি এসব ঝামেলায় জড়ায়, সে সরাসরি নিজে থেকে ব্যবস্থা নেবে ।
- তুমি তার তোয়ালে নিয়ে এ কি করলে ?
- আমি শুধু আমার হাত মুছছিলাম !
- তুমি এটা ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছ ?
- তুমি দেখেছ আমি এটা দিয়ে পরিষ্কার করছিলাম ।
- আমি দেখছিলাম তুমি এটা পানিতে ভেজাচ্ছিলে ।
- আমি হাতের আঙ্গুলগুলো পরিষ্কার করছিলাম, আঙ্গুলগুলো পরিষ্কার করতে কষ্ট হচ্ছিল ।
তার যদি লাভা থাকত তাহলে আমি নিজেকে ভালভাবে পরিষ্কার করতাম ।
তুমি তো একই সাবান ব্যবহার করেছ, যেটা আমি করেছি
দেখ, যখন আমি হাত মোছা শেষ করলাম, তখন তোয়ালেটা নোংরা দেখায়নি !
সে যদি এখানে এসে তোয়ালেটা দেখে তখন কি হবে, ভিনসেন্ট ?
যেটা হবে সেটা হচ্ছে, তুমি এই পরিস্থিথিকে আরও বেশি ঝামেলার দিকে নিয়ে যাচ্ছ, ছেলে !
দেখ, আমি তোমাকে ভয় দেখাচ্ছি না, ঠিক আছে ?
তুমি জান, আমি তোমাকে দাম দেই, কিন্তু আমাকে বিপদে ফেল না, ঠিক আছে ?
ঠিক আছে । ভালো, ভালো ।
আমাকে এই ধরনের প্রশ্ন করো, কোন সমস্যা নেই ।
এখন তোমার বন্ধুকে হ্যান্ডল করো । আমি এসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না ।
হুম, দারুন হয়েছে জিমি !
কফিটা দারুন হয়েছে ।
(আমাদের হয়তো অনেকের জানা নেই এই অসাধারন মুভিটির পরিচালক ইনি, কুয়েন্টিন টারান্টিনো । যিনি মুভিটিতে জিমি চরিত্রে অভিনয় করেছেন)
আমি আর ভিনসেন্ট খুশি হয়েছি ফ্রিজের টেস্টটি জিনিসটি পছন্দের জন্য ।
ঠিক বললাম ?
[ মৃদুহাসি ]
সে আমাদের জন্য এটা রেখেছিল ।
- এটার স্বাদ কেমন ?
- বাজে কথা থামাও, জুলস ।
- কি ?
- তোমার, আমাকে বলার প্রয়োজন নেই আমার কফির স্বাদ কেমন হয়েছে ।
আমিই একমাত্র এটা কিনে থাকি । আমি জানি এটার স্বাদ কেমন ।
বানি যখন দোকানে যায়, সে বাজে জিনিস কিনে ।
আমি এই কফি চড়া দামে কিনি, কারন আমি যখন এটা পান করি আমি জানি এটার স্বাদ কেমন ।
কিন্তু তুমি জান, আমি এখন কি ভাবছি ? আমার কিচেনে কফি আসেনি...
...আমার বাড়িতে একটা “লাশ” এসেছে ।
- ওহ জিমি, কিছু মনে করো না...
- আমাকে কিছু বলতে হবে না । আমি তোমাকে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে চাই ।
তুমি যখন এখানে আসলে...
সেখানে কি লেখা ছিল আমার বাড়ির সামনে “লাশ সংরক্ষণাগার” ।
- তুমি জান, আমি এটা দেখেনি...
- তুমি এটা দেখনি, আমার বাড়ির সামনে কি লেখা ছিল...
লেখা ছিল “লাশ সংরক্ষণাগার” ?
না । আমি খেয়াল করেনি ।
- তুমি জান, তুমি এটা কেন খেয়াল করনি ?
- কেন ?
এটা সেই জায়গা নয়, কারন আমার বাড়িতে আমি “লাশ সংরক্ষনের” ব্যবসা করি না !
- জিমি বোঝার চেষ্টা করো, আমরা ঐ কুত্তাটাকে...
- এসব বাজে উপলব্ধি করতে বলো না...
বানি যদি তার বাড়িতে এসে লাশ দেখতে পায়, সে আমাকে ডিভোস দিয়ে দেবে ।
বিয়েকে সে গুনবেই না...বিচ্ছেদ ওর কাছে কিছুই না...আমি ডিভোস খেতে যাচ্ছি ।
বুঝছো ? আমি ডিভোস খেতে যাচ্ছি !
তুমি জান, আমি তোমাদের সাহায্য করতে চাই, কিন্তু তার জন্য আমি আমার স্ত্রীকে হারাতে পারবো না, ঠিক আছে ?
জিমি, জিমি সে তোমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে না ।
আমাকে জিমি বলে ডাকবে না জুলস ! ঠিক আছে ? আমাকে জিমি বলে ডাকবে না ।
তোমার এখানে বলার কিছুই নেই, তুমি বলতে চাচ্ছ, আমি আমার ভালোবাসাকে হারায়, সেটা ?
দেখ তুমি জান, সে কাজ শেষ করে দেড় ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসে ।
হাসপাতালের গ্রেভইয়ার্ড শিফট থেকে ।
তুমি কারুর কাছে ফোন করবে ? তুমি অন্য কারুর কাছে ফোন করবে ?
যদি ফোন করো, তার বাড়ি আসার আগেই ফোন ফোন করো ।
ঠিক আছে, আমরা তোমাকে বিপদে ফেলতে চাচ্ছি না ।
আমি আমার বসকে ফোন করছি, সে আমাদের এখান থেকে নিয়ে যাবে ।
তুমি তো আমাকে এই মুহুর্তেই বিপদে ফেলে দিয়েছ !
বানির বাড়ি ফেরার আগেই তুমি আমাকে বিপদে ফেলে দিয়েছ ।
তুমি যদি এটা আমার জন্য করো, ঠিক আছে ? আমার বেডরুমে ফোন আছে, আমি তোমাকে ফোন করার অনুমতি দিচ্ছি ।
ঠিক আছে, তাকে বাড়ি আসতে বলো ।
তুমি কি মনেকর, সে বাড়ি আসবে ?
সে অস্বাভাবিক কিছু করবে না ।
এটা কোন উত্তর না ।
তুমি জান, আমি এসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামায় না । কত বেশি ঝামেলা হবে ? অনেক বেশি নাকি সামান্য ?
তোমাকে আসলে বিষয়টা বুঝতে হবে...
...বানি বাড়িতে আসলে কি ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে ।
সারাদিন কোঠার প্ররিশ্রমের পর সে যখন বাড়িতে এসে কিচেনে একদল মাস্তান দেখবে...
তারা বাজে কাজ করছে
তাকেই কিছুই বলতে হবে না, সে কি করবে ।
[ সবাই হাঁপাবে ]
হ্যাঁ, আমি বুঝতে পেরেছি, জুলস ।
ঠিক আছে, আমি বিষয়টা দেখছি
আমি “দেখছি” বলা শুনতে চাচ্ছি না !
আমি তোমার কাছ থেকে শুনতে চাচ্ছি, “তুমি কোন সমস্যায় পড়নি জুলস । আমি, তোমার চেয়েও বড় কুত্তা ।
যাও তোমার বন্ধুদের শান্ত করো, আর একজনকে জন্য অপেক্ষা করো, যেটা আসছে সরাসরি” ।
তুমি কোন সমস্যায় পড়নি জুলস ।
আমি, তোমার চেয়েও বড় কুত্তা ।
যাও তোমার বন্ধুদের শান্ত করো, আর ওয়লফের জন্য অপেক্ষা করো, যেটা আসছে সরাসরি ।
তুমি ওয়লফে পাঠাচ্ছ ?
খুশি, হওনি কুত্তা ?
সিট, ইয়াহ, নিগ্রো !
তোমার কাছ থেকে এটাই শুনতে চাচ্ছিলাম !
- [ পিয়ানো বাজবে ]
- [ পুরুষ কণ্ঠে ] তাকে ঐতিহাসিক কিছু দেখাচ্ছে ?
- যখন সে নীল রঙের পোশাক পরিধান করে ।
- [ অথিতিরা কথা বলতে থাকবে ]
হুম ।
প্রিন্সিপালের নামটা আমাকে আবার বলো ।
[ পুরুষ কণ্ঠে অথিতিদের মধ্য থেকে ]
বাজি ধরুন ।
- জুলস, হুম ।
- কার্ড রাখুন । [ পুরুষ কণ্ঠে অথিতিদের মধ্য থেকে ]
ভিনসেন্ট
জিমি
বানি, হুম ।
ত্রিশ মিনিট বাকী আছে । আমি সেখানে দশ মিনিটে পৌঁছাবো ।
[ গাড়ির টায়ার স্লিপ করবে ]
[ কলিং বেল বাজবে ]
তুমি...জিমি, ঠিক বললাম ? এটা তোমার বাড়ি ।
- নিশ্চয়ই ।
- আমি উইনসটন ওয়লফ । আমি সমস্যার সমাধান করবো ।
- ভালো, আপনি এসেছেন ।
- আমি শুনেছি, আমি ভেতরে আসতে পারি ?
হ্যাঁ, নিশ্চয়ই ।
তুমি অবশ্যই জুলস । তুমি...ভিনসেন্ট ।
ব্রাশ নিয়ে নিচে এসো, জেন্টালম্যান ।
আমি যদি ভুল না বলি, ঘড়ি চলছে । ঠিক আছে, জিমি ?
হুম, ওয়ান হ্যান্ডডেট পারসেন্ট ।
- তোমার স্ত্রী বানি বাড়িতে আসে সকাল ন’টায়, ঠিক ?
- হ্যাঁ-হ্যাঁ ।
আমার উপর বিশ্বাস রাখো, তোমার স্ত্রী যদি বাড়িতে এসে আমাদের দেখতেও পায় সে খুব বেশি প্রশংসা করবে না ।
- সে এই বিষয়ে প্রশংসা করবে না ।
- কাজ শেষ করার জন্য আমাদের হাতে চল্লিশ মিনিট সময় আছে ।
তোমরা যদি এটা করো, আমি যেটা বলছি, কখন আমি এটা বলছি, এটাই যথেষ্ট হবে ।
এখন যেটা করতে হবে, তোমরা গাড়িতে করে মৃতদেহ নিয়ে এসেছো, অর্ধেক মাথা যেটা গ্যারেজে রেখেছো । আমাকে সেখানে নিয়ে চলো ।
[ দীর্ঘশ্বাস ]
- জিমি ।
- হ্যাঁ, বলুন ।
আমার একটা উপকার করবে ? আমার মনে হচ্ছে, তোমার কিচেন থেকে আমি কফির গন্ধ পাচ্ছি ।
- তুমি আমার জন্য এক কাপ কফি করতে পারবে ?
- হ্যাঁ, নিশ্চয়ই ।
ওহ...আপনি কফিটা কেমনভাবে চাচ্ছেন ?
বেশি করে ক্রিম আর সুগার দেবে ।
গাড়িটি সম্পর্কে আমার কিছু জানা প্রয়োজন ? এটা কারমাজি হয়েছে ?
ধোঁয়া উড়েছিল ? কোন গোলমাল হয়েছিল ? গ্যাসে কোন সমস্যা হয়েছিল ?
- এপাশ থেকে গাড়ি দেখতে ভালই দেখাচ্ছে ।
- ইতিবাচক ?
আমাকে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় যেতে বলো না, আমি খুঁজে বের করবো গাড়ির ব্রেক কাজ করে না ।
- আমি যতদুর জানি গুলি করা হয়েছে ।
- হয়েছে ।
কিচেনে ফিরে এসো ।
[ শ্বাসত্যাগ করবে ]
- আপনার কফি নিন, মি. ওয়লফ ।
- তোমাকে ধন্যবাদ, জিমি ।
দারুন ।
ঠিক আছে, প্রথমে যেটা করতে হবে, তোমাদের দু’জনকে ।
মৃতদেহটাকে নিয়ে ট্রাঙ্কে ফেলতে হবে ।
জিমি, এতে তোমার বাড়ি বেশ ভালই দেখাবে ।
- আমার উপর বিশ্বাস রাখো, তোমার কাছে ক্লিনার অথবা অন্য কিছু আছে ?
- হ্যাঁ, ওগুলো আমার কাছে আছে ।
দারুন । ঠিক আছে, যে জন্য তোমাদের দু’জনকে আমার লাগবে, তোমরা ক্লিনারগুলো নিয়ে...
গাড়ির ভেতরটা পরিষ্কার করবে...কিছু মনে করো না আমি একটু দ্রুত কথা বলি ।
গাড়ির সিটে ফিরে যাও, মাথা আর মাথার খুলির টুকরোগুলোকে একসাথে করবে ।
তারপর ওগুলো সরিয়ে ফেলে পুরো গাড়িটা পরিষ্কার করে ফেলবে ।
আমি তোমাদের গাড়িটাকে ঝকঝকে পরিষ্কার করতে বলছি না । কারন তোমারা এটা খাবে না ।
এটাকে একবারের চেষ্টায় পরিষ্কার করে ফেলবে আর নোংরা অংশগুলোর দিকে খেয়াল রাখবে ।
জমে থাকা রক্তগুলোকে একসাথে করবে তারপর ওগুলো মুছে ফেলবে ।
জিমি আমাদের, তোমার কিছু জিনিস লাগবে ।
আমার কিছু কম্বল, কিছু মোটা কাপড়, লেপ আর শয্যাচ্ছাদনী লাগবে ।
মোটা কাপড় হলে ভাল হবে, কালো কাপড়ও চলবে কিন্তু সাদা কাপড় এক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না ।
আমাদের সামনের সিটগুলো, পেছনের সিটগুলো আর সেই সাথে গাড়ির মেঝের অংশগুলোকে ঢেকে রাখতে হবে...
...মোটা কাপড় আর কম্বলের সাহায্যে ।
যদি পুলিশ গাড়িতে সার্চ করে তাহলে ঝামেলা এড়ানোর কৌশল স্থায়ী হবে না
কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে গাড়িটিকে দেখতে সাধারন মানের গাড়ি মনে হবে ।
জিমি এই বিষয়টা দেখবে । ছেলেরা কাজে লেগে পরো ।
“প্লিজ” শব্দটা সম্ভবত এখানে ভাল শোনাবে ।
- কিছু বললে ?
- আমি বললাম, “প্লিজ” শব্দটা সম্ভবত এখানে ভাল শোনাবে ।
সরাসরি বলো, কুত্তা । আমি এখানে “প্লিজ” শুনতে আসেনি । আমি এখানে বলতে এসেছি, তোমাদের কি করতে হবে ।
আর এটা যদি তোমাদের আত্মসম্মানে বেঁধে থাকে
তোমরা এটা দ্রুত সেরে ফেলতে ।
আমি এখানে তোমাদের সাহায্য করতে এসেছি । আমার সাহায্য যদি তোমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য না হয়, তবে তোমাদের ভাগ্যে খারাপ কিছু আছে জেন্টালম্যান ।
না, না, না মি. ওয়লফ বিষয়টা সেটা নয়, আপনার সাহায্য অবশ্যই গ্রহণযোগ্য ।
মি. ওয়লফ আমার কথা শুনুন, আমি আপনাকে অসম্মান করছি না, ঠিক আছে ? আমি আপনাকে সম্মান করছি ।
আমি আসলে এটা পছন্দ করি না, যে কেউ আমাকে এভাবে নোংরা কাজের অর্ডার করবে...এটাই আর কি ।
যদি আমি তোমাদের রেখে চলেও যায়, সময়ের একটা ব্যাপার রয়েছে ।
আমি মনেকরি আমি সব কাজে ফাস্ট, কথা বলি ফাস্ট আর আমি চাচ্ছি, তোমরা যেন দ্রুত কাজটা সেরে ফেল যদি তোমরা এই ঝামেলা থেকে বেরুতে চাও ।
যেটা বলছিলাম, অলসতা ঝেরে গাড়ি পরিষ্কারে লেগে পরো ।
আমার দিকে এভাবে তাকিয়োনা, ঠিক আছে ? আমি তো তোমার মনের অবস্থা বুঝতে পারছি ।
(শুধু-শুধু বেচারাকে ঝামেলায় জড়ালো)
এটা ১৯৭৪ সালের গাড়ি ।
[ চুমুকের শব্দ ]
সবুজ ।
মেসের ভেতরে কিছুই প্রত্যাশা করা যাচ্ছে না ।
বিশ মিনিট লাগবে ।
কারুর কোন সমস্যা হবে না ।
তুমি ভাল ছেলে জো, তোমাকে ধন্যবাদ ।
- আমরা কেমনভাবে এগুচ্ছি, জিমি ?
- হ্যাঁ, ভালভাবেই ।
- আমি এখানে সবকিছুই নিয়ে এসেছি, কিন্তু...
- [ দীর্ঘশ্বাস ]
- মি. ওয়লফ আপনি তো এটা বোঝেন ।
- উইনসটন, জিমি প্লিজ আমাকে উইনসটন বলে ডাকো ।
ঠিক আছে । আপনি তো এটা বোঝেন, উইনসটন ।
আহ...আহ, না, আপনাকে ধন্যবাদ ।
আহ...এখানে আমার সব থেকে ভাল কিছু কাপড় রয়েছে
আর এটা মূলত বৈবাহিক সুত্রে...
...আমার আঙ্কেল কন্রাড আর আমার অ্যান্ট জিনি ।
- তারা মূলত আমাদের সাথে থাকেন না । আমি জানি তারা আসলে...
- আমি তোমাকে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করি ?
- যদি তুমি কিছু মনে না করো ।
- না, না ঠিক আছে, জিজ্ঞেস করুন ।
তোমার আঙ্কেল কন্রাড আর অ্যান্ট জিনি, তারা কোটিপতি ছিলেন ?
না ।
ঠিক আছে, কিন্তু তোমার আঙ্কেল মারসেলাস তো কোটিপতি ।
আর আমি নিশ্চিত যদি তোমার আঙ্কেল কন্রাড আর অ্যান্ট...
- জিনি ।
- জিনি, এখানে থাকতেন
তারা তোমার পুরো বেডরুমটা সুন্দর করে সাজিয়ে দিতেন ।
তোমার আঙ্কেল মারসেলাসও এর চেয়ে কম যেতেন না ।
আমি নিজে থেকেই ওক পছন্দ করি । আর এজন্য আমার বেডরুমও ওক দিয়ে সাজিয়েছি ।
তোমার কত লাগবে, জিমি ?
তুমি ওক পছন্দ করো, এমন ব্যক্তি ?
ওক সুন্দর ।
ওহ ছেলে, আমি তোমার এই বোকামির কথা কখনো ভুলবো না ।
এসব কাজ আমাদের জন্য অরুচিকর ।
জুলস, তুমি কখনো দর্শনশাস্রে একটা কথা শুনেছ, একজন মানুষ স্বীকার করছে সে ভুল করেছে...
...তাহলে সে তাৎক্ষণিকভাবেই সকল ভ্রষ্টাচরণের ক্ষমা পেয়ে যাবে ?
তার চেয়ে তুমি আমার মুখে ***
বড় বড় কুত্তারা বলে থাকে, চাকরদের কাজও কখনো এভাবে করতে হয় না মাথার ঘেলু...
- আর তোমার ***
- আমি ঝামেলায় পড়েছি, জুলস । আমি একটা ঝামেলায় পড়েছি, অপব্যাবহারের জন্য যেটা আমাকে গ্রহন করতে হাবে ।
ঠিক এই মুহূর্তে এখানে, আমি একটা বাজে গাড়ি আর তুমি এই গাড়িটাকে পেয়েছে রক্তমাখা অবস্থায় ।
আমি বলছি, আমি শুধুই বলছি, আমরা একটা বাজে ঝামেলায় পড়েছি, একটি গাড়ি রক্তমাখা অবস্থায় ।
এটাই সবকিছু । আমি কষ্ট নিতে পারবো ।
- ওহ, তুমি কষ্ট নেয়ার জন্য তৈরি ?
- হ্যাঁ, আমি কষ্ট নেবার জন্য তৈরি ।
আমি পেছনের সিটে নিচু হয়ে কাজ করছি কুত্তা...
প্রত্যেকটা মুহূর্তেই আমার হাতের আঙ্গুলগুলো ওর মাথার ঘেলু স্পর্শ করছে ।
আমার ঘৃণায় বমি আসছে...
আসলে, আমি ফিরে এসে এসব কি নোংরা কাজ করছি !
তুমি একটা গর্দভ, তুমি কুত্তাটার মাথার ঘেলু পরিষ্কার করবে, আমরা কি নোংরা কাজ করছি ।
আমি গাড়ির জানালা পরিষ্কার করছি আর তুমি কুত্তাটার মাথার ঘেলু পরিষ্কার করবে ।
ফাইন জব জেন্টালম্যান ।
জিমি তুমি আশা করতে পারো, তুমি ঝামেলা থেকে মুক্ত ।
আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছি না এটা একই গাড়ি ।
=== পরিচালকগন এমন নোংরা ডায়ালগ ইউজ করেছে কেন ===
প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে...গাড়ি পরিষ্কার করা...যে কারনে ওরা আমাদের সাথে আসবে আর দ্বিতীয় ধাপ...
তোমাদের দু’জনকে পরিষ্কার হতে হবে ।
খুলে ফেল !
- সবকিছু ?
- [ ওয়লফ ] তোমার ওটা পর্যন্ত ।
তাড়াতাড়ি করো, জেন্টালম্যান । আমাদের হাতে আর পনের মিনিট সময় আছে ।
জিমির দিনের ভাল অংশটুকো শুরু হওয়ার আগেই ।
অসহ্য, আজকের সকালটা এতো ঠাণ্ডা কেন ।
আপনি নিশ্চিত, আমাদের গোসলটা এখন খুব জরুলি ?
- তোমরা জান, তোমাদের কত পচা দেখাচ্ছে ?
- [ ভিনসেন্ট ] কি ?
দু’জন ছেলে, যারা কারুর মাথা থেতলিয়ে দিয়েছে ।
রক্তমাখা শার্টগুলো খুলে ফেলা জরুলি ।
জিমির আবর্জনা রাখার ব্যাগে শার্টগুলো রাখো ।
বোকার মতো কিছু করবেন না, যেমন আমাদের এই অবস্থায় রেখে চলে যাবেন না ।
চিন্তা করো না, আমরা এটা আমাদের সাথে নিচ্ছি । জিমি ওদের ডেটল সাবান দাও ।
- ভিনসেন্ট ।
- [ ওয়লফ ] ওকে, জেন্টালম্যান ।
তোমরা একই প্রদেশ থেকে আসোনি আমি এই বিশয়ে নিশ্চিত কিন্তু এখন এটা আসবে ।
- বাজে, কি নিষ্ঠুর ঠাণ্ডা পানি !
- ওহ ! ওহ ! ওহ !
- তোমাদের জন্য এটা ভালই হবে, জেন্টালম্যান ।
- [ মৃদুহাসি ]
- লজ্জা করো না, সব জায়গায় ডেটল সাবান নাও ।
- [ চিৎকার করতে থাকবে ]
- ভিনসেন্টের চুলে একটু পানি দিন ।
- হেই, আমার মাথার চুল উঠে যাবে !
- গোসল করো, গোসল করো ।
- আ...আ...
তোয়ালে দাও ।
[ ওয়লফ ] যথেষ্ট মোছা হয়েছে । ওদের পোশাকগুলো দাও ।
[ ওয়লফ হাসবে ] দারুন ।
দারুন । আমাদের প্লান না থাকার সর্তেও এটা দারুন হয়েছে ।
তোমাদের দেখতে...
ওদের কেমন দেখাচ্ছে, জিমি ?
- পাতিহাঁস । ওদের একজোড়া পাতিহাঁসের মতো দেখাচ্ছে ।
- [ হাসবে ]
- [ উভয়ই হাসবে ]
- হা-হা-হা । এগুলো তোমাদের পোশাক তাই, কুত্তা ।
মাইন্ড করো না জেন্টালম্যান, আমরা নিজে থেকেই হাসছি ।
আমাকে বিনয় প্রকাশ করতে বলো না ।
ওকে জেন্টালম্যান, রাস্তার নিয়মগুলো শুনে রাখো ।
আমরা যে জায়গাতে যাচ্ছি সেখানকার নাম মনস্টার জোস ট্র্যাক এন্ড টো ।
মনস্টার জো আর তার মেয়ে রাকুয়েল আমাদের উভয়সঙ্কটেই সহানুভূতিশীল ।
জায়গাটা নর্থ হলিউডে ।
রাস্তার একপাশে কিছু মোড় থাকবে কিন্তু আমাদের হলিউডের দিকে যেতে হবে ।
এখন, আমি এই কলঙ্কিত গাড়িটি চালাবো, জুলস তুমি আমার সাথে গাড়িতে যাবে ।
ভিনসেন্ট, তুমি আমার গাড়ির দিকে খেয়াল রাখবে ।
এখন, আমরা যদি যাত্রা শুরু করি...
- কেউই খারাপ ধরনা করতে পারবে না যতক্ষণ না আমি কিছু করি ।
- ঠিক আছে ।
- আমি কি বললাম ?
- কোন ঝামেলা করবে না যদি না...
- যদি না কি ?
- যদি না আপনি প্রথমে এটা করেন ।
তোমার কথা প্রতিভাবানদের মতো মনে হচ্ছে ।
তোমার কি অবস্থা রাগচটা ছেলে, তুমি তোমার উদ্দীপনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে ?
মি. ওয়লফ পিস্তল থেকে অটোম্যাটিক গুলি বের হয়ে গিয়েছিল । আমি জানি না কেন । আমি এখন শান্ত । আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি ।
ঠিক আছে, সেটাই । আমি সত্যিই দ্রুত গাড়ি চালায় সুতরাং এটা তোমার কাছে রাখো ।
যদি আমার গাড়ি পেছনে ফিরে আসে অথবা অন্য কিছু হয় এজন্য আমি তোমাকে এটা দিলাম
মনস্টার জো-তে যেন দু’টো মৃতদেহ যায় ।
- [ লোহার দরজা খোলার শব্দ ]
- [ ইঞ্জিন চলতে থাকবে ]
আমার রাস্তা থেকে সরে যাও, কুত্তা ।
- আমরা শান্ত ?
- এমনটা কখনো হয়নি ।
- [ ভিনসেন্ট ] ঠিক আছে ।
- ছেলেরা এ হচ্ছে রাকুয়েল ।
একদিন সবকিছু আমার মামনির হবে ।
হাই...সেজেগুজে কোথায় যাওয়া হচ্ছে ?
- তো...তোমরা ভলিবল খেলতে যাচ্ছ নাকি ডেটিং করতে যাচ্ছ ?
- [ ওয়লফ হাসবে ]
আমি আমার মামনিকে নিয়ে ব্রেকফাস্ট করতে যাচ্ছি ।
সম্ভবত, তোমাদের দু’জনের সাথে আমার আর দেখা হবে না । তোমরা কোথায় থাকো ?
- রিনাডো ।
- ইঙ্গুল ।
এটা...এটা তোমাদের ভবিষ্যৎ । আমি...
আমি দেখতে পাচ্ছি একটা...উজ্জল ভবিষ্যৎ ।
তাড়াতাড়ি বাড়ি যাও, ছেলেরা । এদের গুড নাইট বলো, রাকুয়েল ।
- গুড নাইট, রাকুয়েল ।
- তোমাদের সাথে আমার পরে দেখা হবে ।
নিজেকে কোন ঝামেলায় জড়াবে না । হ্যাঁ, তুমি বাচ্চা ছেলে ।
মি. ওয়লফ, আমি শুধু আপনাকে বলতে চাচ্ছি, আপনার কাজ দেখে অনেক খুশি হলাম ।
হ্যাঁ, সত্যিই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, মি. ওয়লফ ।
আমাকে উইনসটন বলে ডাকবে ।
- তুমি এটা দেখেছ, ইয়উং লেডি ? সম্মাম ।
- [ অ্যালার্ম নিষ্ক্রিয় হবে ]
- গুরুজনদের সবসময় সম্মান দেখাতে হয় ।
- আমারও কারেক্টর আছে ।
- তুমি কারেক্টর কিন্তু এটা না তোমার কারেক্টর আছে ।
- [ মৃদুহাসি ]
- [ টায়ার স্লিপ করবে ]
- ঘোড়ার গাড়িতে শেয়ার করে রেস্টুরেন্টে যাবে ?
- আমার একটু ব্রেকফাস্ট করার দরকার ছিল, তুমি আমার সাথে ব্রেকফাস্ট করবে ?
- [ ডায়াল করবে ]
দারুন ।
আমি জানি না, আমার কেন যেন মনে হচ্ছে তিনি সম্ভবত ইউরোপিয়ান ।
- হ্যাঁ, সে যদি ইউরোপিয়ান হতো তাহলে ইংলিশে অনর্গল কথা বললো কিভাবে ?
- হ্যাঁ, আমি সেটা বুঝেছি ।
- কিন্তু সে শান্ত প্রকৃতির নাকি অন্য ধরনের ?
- ধন্যবাদ ।
পুরোপুরি নিজের কন্ট্রোলে ঠাণ্ডা মাথার মানুষ ।
তুমি যখন তার সাথে ছিলে তুমি ভয়ে প্রসব করেনি তো, আমি সত্যিই বিস্মিত হয়েছি ।
- [ মৃদুহাসি ]
- তুমি শূকরের মাংস নেবে ?
না ছেলে, আমি শূকরের মাংস খাই না ।
- তুমি কি ইহুদী ?
- আমি ইহুদী নয়, আমি আসলে অপ্রীতিকর কিছু খেতে চাচ্ছি না ।
- তাহলে খেতে চাচ্ছ না কেন ?
- শুঁকোর অপবিত্র প্রাণী ।
আমি অপবিত্র প্রাণীর মাংস খাই না ।
সেটা ঠিক আছে, কিন্তু শুকোরের মাংস দারুন সুস্বাদু ।
ড্রেনের ইঁদুরের টেস্ট সম্ভবত কুমড়ার মতো, কিন্তু আমি কখনো জানি না...
...কারন আমি এমন নোংরা খাবার আগে কখনো খাইনি ।
শুকোরের মাংস আর রুট বাজে । এগুলো অপ্রবিত্র প্রাণী ।
আমি কিছুই খাচ্ছি না, এগুলো খাবার জন্য যথেষ্ট সেন্স আমার নেই ।
কুকুর সম্পর্কে কি বলবে ? কুকুর নিজের মাংস নিজে খায় । আমি কুকুরের মাংসও খাইনা ।
হ্যাঁ, কিন্তু তুমি কি মনেকর কুকুরও অপ্রবিত্র প্রাণী ?
আমি এই বিষয় নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে চাচ্ছি না, যেহেতু আমি বলেছি কুকুরও অপ্রবিত্র প্রাণী
কিন্তু তারা সত্যিই নোংরা ।
- কিন্তু কুকুরের পারসোনালিটি বলে একটা বিষয় আছে । পারসোনালিটি তাদের অনেক দুর নিয়ে যেতে পারে ।
- ওহ, সেটাই , তাহলে একটা যুক্তিসঙ্গত কথা শোন...
যদি শুকোরের স্মার্ট পারসোনালিটি থাকতো, তাহলে সে অপ্রবিত্র প্রাণী হতো না ।
- ঠিক বললাম ?
- আমাদের বাজে চরিত্রের শুকোরগুলো নিয়ে কথা বলতে হবে ।
আমি বলতে চাচ্ছি, তাকে অন্তত দশ বার সবুজ ঘাসের উপর ***
[ উভয়ই হাসবে ]
ওহ, ছেলে, ভালোই বলেছ ।
এটা দারুন ছেলে । তুমি হালকাভাবে নিতে শুরু করেছ ।
তুমি এখানে ভাল-মন্দ দু’টো চিন্তা নিয়েই বসে আছো ।
- আমি আসলে এখানে বসে ভাবছিলাম ।
- কি বিষয় নিয়ে ভাবছিলে ?
- ঐ মির্যাকেল ঘটনাটা নিয়ে ভাবছিলাম, যেটার সাক্ষী আমরা দু’জন ।
- মির্যাকেল যেটার সাক্ষী তুমি ।
- আমি একটা খেয়ালি ঘটনার সাক্ষী ছিলাম ।
- মির্যাকেল বিষয়টা কি, ভিনসেন্ট ?
- বলতে পারো, ঈশ্বরের হাতের খেলা ।
- তাহলে, ঈশ্বরের হাতের খেলা কি ?
যখন ঈশ্বর অসম্ভবকে সম্ভব করে ।
কিন্তু আজ সকালে যেটা ঘটেছে...
- আমি মনেকরি না যে, এটা ঘটার যোগ্যতা আছে ।
- হেই, ভিনসেন্ট ।
দেখ, যেটা ঘটে গেছে, সেটা কোন বিষয়ই না । তুমি তো বিচারই করে ফেলেছ, এই ঘটনাটা একটা ভ্রান্ত ।
হতে পারে এটা, ঈশ্বর গুলিগুলোকে থামিয়ে দিয়েছে...পেপসির মুখটা খুললো আর আমার দামি গাড়িটার চাবিটা পেয়ে গেল ।
তুমি যদি এই ধরনের ঘটনাকে যোগ্যতা দিয়ে বিচার না করো...
এখন, যদি আমরা অভিজ্ঞ কিনা...
সেটা মির্যাকেলের উপর নির্ভর করে এটা অর্থহীন ।
কিন্তু তাহলে অর্থপূর্ণ বিষয়টা কি ? আমি ঈশ্বরের স্পর্শ অনুভব করেছি ।
ঐশ্বরিকটা আমার মধ্যে বিদ্যমান ।
কিন্তু কেন ?
ভাল, এটা যেটা, সেটা আমার সাথে পড়ে না । আর আমি জানি না কেন ।
- কিন্তু আমি আবার এসব কাজে ফিরে যেতে পারবো না ।
- তুমি সিরিয়াস ?
তুমি সত্যিই চিন্তা করছো এসব ছেড়ে দেবে ?
- জীবনের জন্য ? অবশ্যই ।
- হ্যাঁ ।
***
তারপর তুমি কি করবে ?
1980
02:16:00,581 --> 02:16:04,813
যে জন্য আমি এখানে বসে আছি, চিন্তা করছি
প্রথমত, আমি এই ব্রিফক্রেসটা মারসেলাসকে প্রদান করবো ।
তারপর, মূলত আমি পৃথিবীর বুকে হাঁটা শুরু করবো ।
- পৃথিবীর বুকে হাঁটবে বলতে তুমি কি বোঝাতে চাচ্ছ ?
- তুমি চেইনের কম্ফুদের কথা জান
এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় হেঁটে বেড়ায়, মানুষের সাথে পরিচিত হয়, দুঃসাহসিক সব কাজ করে ।
তুমি কত দিন যাবত পৃথিবীর বুকে হাঁটার মনঃস্থির করেছে ?
- ঈশ্বর আমাকে সেখানে রাখবেন যেখানে তিনি আমাকে দেখতে চান ।
- যদি ঈশ্বর এটা না করেন ?
- যদি আমি হাঁটাটাকে সারাজীবনের জন্য বেছে নিই, তাহলে আমি সারাজীবন হাঁটতে থাকবো ।
- তুমি ভিখারি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছ ।
আমি শুধুই জুলস হতে চাই, ভিনসেন্ট । এর বেশিও নয় এর কমও নয় ।
না জুলস, তুমি ভিখারি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছ ।
এটা অনেকটা জীবনের ঐ সকল দুঃখ যেটার পরিবর্তনের জন্য মানুষ ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে
যারা পরিত্যাক্ত নোংরা জায়গায় ঘুমায়, আমরা যেটা ফেলে দিই তারা সেটা খাবার হিসাবে গ্রহন করে ।
এজন্য তাদের আলাদা একটা নাম আছে, জুলস । যেটাকে বলা হয় ভিখারি ।
কোন চাকরি ছাড়া, বাড়ি ছাড়া অথবা কারুর স্নেহ ছাড়া যেটা তুমি করতে যাচ্ছ ছেলে...
তুমি আদ্ভুত ভিখারি জীবনযাপন করতে যাচ্ছ ।
দেখ, আমার বন্ধু, শুধু এখানেই তোমার আর আমার মধ্যে দ্বিমত রয়েছে ।
গারসন ! কফি !
(একই রেস্টুরেন্টে দু’দল মাস্তান...ঝামেলা হওয়ার সম্ভবনা আছে)
জুলস দেখ, আজকে সকালে কি ঘটেছে ছেলে, ঠিক আছে আমি তোমার সাথে একমত হচ্ছি, এটা ছিল একটা অদ্ভুত ঘটনা ।
- কিন্তু পানি আর মদ একসাথে মেশে না । আমি...
- কিন্তু গঠন আর ওজন তো একই, ভিনসেন্ট ।
- বাজে বিষয় নিয়ে আমার সাথে কথা বলবে না, ছেলে ।
- আমার উত্তর যদি তোমাকে আতঙ্কিত করে ভিনসেন্ট...
তারপর তুমি আমাকে ভীতিকর প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে থামিয়ে দেবে ।
আগে আমি পাতলা হয়ে আসি ।
তোমাকে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করি ?
কখন তুমি এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলে, যখন তুমি এখানে বসে পিঠা খাচ্ছিলে তখন ?
হ্যাঁ, আমি এখানে বসেছিলাম, আমার পিঠা খাচ্ছিলাম, আমার কফি খাচ্ছিলাম
যেটা আমার মাথায় ঢুকেছে সেটার পুনরাবৃত্তি করছিলাম
যখন আমি এসব বিষয়ের স্বচ্ছতা নিয়ে চিন্তা করছিলাম ।
*** খাওয়া শেষ করবে না ।
- আমি তোমাকে ভালোবাসি, পাম্পকিন (কুমড়ো)
- আমি তোমাকে ভালোবাসি, হানিবানি (খরগোশ)
সবাই শান্ত থাকবে ! এটা ডাকাতি !
কেউ এক ইঞ্চিও নড়বে না আর আমি তোমাদের প্রত্যেককে সতর্ক করছি !
- তোমরা এটা শুনেছ ? তোমরা প্রত্যেককে এখানে শান্ত থাকবে !
- মেঝেতে মাথা রাখো !
মাথা নিচু করো ! মাথা নিচু করো !
তোমরা যারা এখানে অন্ধকারে লুকিয়ে আছো, দশ গোনার আগেই ওখানে চলে যাও !
- মেক্সিকানরা যারা কিচেনের ভেতরে আছো, তাড়াতাড়ি এখানে এসো !
- ১-২-৩-৪-৫-৬-৭-৮...
তুমি কি করছো ! নিচু হও !
- নিচু হও !
- ব্যাগগুলো আমাকে দিয়ে দাও !
- সরে যাও ! সরে যাও !
- [ সুর বাজবে ]
- [ রাঁধুনিরা স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলবে ]
- পেছনে যাও ! পেছনে যাও !
নিচু হও !
দাদুমনি ! নিচু হও !
আমি এখানকার ম্যানেজার, এখানে কোন সমস্যা নেই । এখানে কোন...সমস্যা নেই ।
- তুমি আমাদের কোন সমস্যা করবে ?
- না, স্যার । আমি কোন সমস্যা করবো না ।
তুমি বললে, তুমি আমাদের সমস্যা করবে !
- আমার মনে হয় আমরা হিরোকে পেয়েছি, সোনা ।
- ঠিক আছে, ওকে দিয়ে কাজটা করিয়ে নাও !
- [ ঊর্ধ্বশ্বাস ]
- আমি সিনেমার হিরো নই ।
- আমি শুধু কফির দোকানের ম্যানেজার ।
- নিচু হও !
এই রেস্টুরেন্ট এখন আমাদের !
- তোমরা যা চাও সবকিছু নিয়ে যাও !
- [ ঊর্ধ্বশ্বাস ]
- তুমি কাস্টমারের সাথে কথা বলবে ।
- হ্যাঁ ।
তুমি তাদের শান্ত থাকতে বলবে আর বলবে সবকিছু তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে ।
- তুমি আমার কথা বুঝেছ ?
- হ্যাঁ !
সবাই শোন
শান্ত থাকবে, সহযোগিতা করবে
আর এই সবকিছুই এক মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে !
নিচু হও ! সুন্দর হয়েছে ।
[ মমতাজের গান বাজবে, বুকটা ফাইটা যায়... ]
ঠিক আছে, তোমরা সবাই তোমাদের মানিব্যাগ এটার মধ্যে রাখবে !
তোমরা বেশি কথা বলবে না । শুধু তোমাদের মানিব্যাগ এই ব্যাগের মধ্যে রাখবে ! কথা বুঝেছ ?
আমি আবার বলছি, কথা বুঝেছ ?
ভাল ! এখন মানিব্যাগগুলো বের করো !
এখানে, নিচু হও ! ব্যাগে রাখো !
- ব্যাগে রাখো !
- [ কাস্টমার ] আমার কাছে কিছু নেই ।
ব্যাগে রাখো ।
আমি কি জন্য দাঁড়িয়ে আছি ? ব্যাগে রাখো ।
তুমি, তুমি ব্যাগে রাখো ।
- এটা দামি ফোন ?
- হ্যাঁ ।
ব্যাগে রাখো ।
ভাল করে রাখো, ভাল করে রাখো । মেঝেতে মাথা রাখো ।
ব্যাগে রাখো । ব্যাগে রাখো ।
(বড় মাস্তান রেস্টুরেন্টে বসে আছে আর তোমরা...)
ব্যাগে রাখো ।
(এতো কষ্টে সকালে গাড়ি পরিষ্কার করে ব্রেকফাস্ট করতে এসে মানিব্যাগ নিয়ে কেউ যদি মাথায় পিস্তল করে তখন মেজাজটা...)
- ব্রিফক্রেসে কি আছে ?
- আমার বসের নোংরা লন্ড্রি ।
- তোমার বস তোমাকে দিয়ে লন্ড্রির কাজ করায় ?
- যখন সে চাই এটা পরিষ্কার করি ।
- কথা শুনে মনে হচ্ছে ভাল চাকরি পেয়েছে ।
- ফানি, আমিও একই জিনিস ভাবছিলাম ।
- এটা খোল ।
- আমি এটা খুলতে পারবো না ।
- আমি তোমার কথা শুনেনি ।
- হ্যাঁ, তুমি শুনেছ ।
ওদিকে কি হচ্ছে ?
- দেখে মনে হচ্ছে, আমাদের মাঝে একজন র্যাবের সদস্য পেয়েছি ।
- ওর মাথায় গুলি করছো না কেন ?
আমি তোমার ব্যক্তিত্বকে ঘৃণা করি কিন্তু এটা প্রথমবার নয় যে কেউ আমার মাথায় পিস্তল ধরলো ।
- তুমি যদি ব্রিফক্রেস থেকে তোমার হাত না সরাও এটাই হবে তোমার শেষ সুযোগ
- সমস্যা বাড়িয়ো না !
তুমি আমাদের সবাইকে মেরে ফেলবে, তোমার কাছে যা কিছু আছে সব ওকে দিয়ে দাও আর আমাদের এই বিপদ থেকে উদ্ধার করো !
চুপ করো, মোটা কোথাকার ! এসব বলা তোমার কাজ নয় !
শান্ত থাকো, সোনা । শান্ত থাকো ।
কোন সমস্যা নেই । এটা আমার কন্ট্রোলে আছে ।
এখন আমি এক থেকে তিন গুনবো ।
তুমি যদি ব্রিফক্রেসটা না খোল, আমি তোমার মাথায় গুলি করবো ।
কথা বুঝেছ ?
এক...
দুই...
- তিন
- ঠিক আছে, রিংগো ।
তুমিই জিতেছ ।
এটা তোমার ।
- এটা খোল ।
- [ ব্রিফক্রেস খোলার শব্দ ]
(মুভির মূল কাহিনী আবর্তিত হয়েছে ব্রিফক্রেসটিকে কেন্দ্র করে । পরিচালক কুয়েন্টিন টারান্টিনো মুভির কোন অংশেই ক্লিয়ার করেননি,
আসলে ব্রিফক্রেসের মধ্যে কি আছে, একটা ধুম্রজাল রেখেই মুভিটির সমাপ্তি টেনেছেন...)
- [ সোনা ]
- ব্রিফক্রেসে কি আছে ?
ওটার ভেতরে কি আছে ?
এখানে “যেটা” আছে, সেটাই আমি ভাবছিলাম ।
হুম, সেটাই ।
অসাধারন ।
[ মৃদুহাসি ]
ওয়াও...ওটা কি ?
তুমি ওকে ছেড়ে দাও !
তুমি ওকে ছেড়ে দাও !
- তুমি ওকে ছেড়ে দাও ! না হলে আমি তোমাকে খুন করবো !
- ঐ কুত্তাটাকে শান্ত থাকতে বলো !
- বলো, কুত্তা শান্ত থাকো ! বলো, কুত্তা শান্ত থাকো !
- শান্ত থাকো ! শান্ত থাকো !
- ঐ কুত্তাটাকে শান্ত হতে বলো !
- তুমি খুব বাজেভাবে মরবে !
- ঐ কুত্তাটাকে শান্ত হতে বলো !
- শান্ত হও সোনা !
- ওকে ছেড়ে দাও !
- শান্ত হও সোনা !
- এখন ওকে কথা দাও সব ঠিক হয়ে যাবে !
- আমি কথা দিচ্ছি !
- ওকে শান্ত হতে বলো !
- শান্ত হও সোনা !
- ওর নাম বলো ?
- উল্যাণ্ডা ।
এখন সবকিছু ঠিক আছে উল্যাণ্ডা, আমরা কোন বোকামি করতে যাচ্ছি না, ঠিক আছে ?
- ডোন্ট ইউ হার্ট হিম !
- এখানে কেউ কারুর ক্ষতি করবে না !
আমরা তিনজন এখানে Fonzie মতো কোন Fonzie পছন্দ করো ?
- বলো উল্যাণ্ডা, কোন Fonzie পছন্দ করো ?
- সে ভাল ছেলে ।
- কি ?
- কুল ।
একদম ঠিক বলেছ । আর যেটা আমরা করবো
আমরা শান্ত থাকবো ।
রিংগো, এখন আমি এক থেকে তিন পর্যন্ত গুনবো ।
আর যখন আমি তিন বলবো
আমি চাইবো তুমি তোমার পিস্তল ছেড়ে দেবে
তোমার হাত টেবিলের উপর রাখবে আর চেয়ারে গিয়ে বসবে ।
আর যখন তুমি এটা করবে
তুমি এটা শান্তভাবে করবে, কোন রকম চালাকির চেষ্টা করবে না ।
তুমি তৈরি ?
এক...
দুই...
তিন ।
- [ ঊর্ধ্বশ্বাস নিয়ে ] ঠিক আছে, এখন তুমি ওকে যেতে যাও !
- উল্যাণ্ডা !
আমি মনেকরি তুমি শান্ত থাকবে । যখন তুমি আমার সাথে চিৎকার করে কথা বলছিলে এটা আমাকে নার্ভাস করেছে ।
আর আমি যখন নার্ভাস হয় আমি তখন চিৎকার করি
আর যখন পাগলা কুত্তা চিৎকার করে তখন ঐ পাগলা কুত্তা অ্যাটোমেটিকলি গুলি করে ।
জাস্ট নো, ইউ হার্ট হিম, ইউ ডাই ।
হ্যাঁ, পরিস্থিতি সে দিকেই রয়েছে ।
কিন্তু আমি এটা চাই না ।
আর তুমিও (উল্যাণ্ডা) এটা চাও না ।
আর রিংগো এটা কখনোই চাইবে না ।
তাহলে দেখ, আমরা কি করি
এখন...এখানে যে পরিস্থিতি রয়েছে
স্বাভাবিকভাবে বলতে গেলে এই রেস্টুরেন্টে তোমাদের দুজনেরই মাথার খুলি উড়ে যাবে
কিন্তু তুমি এটা করেছ যখন আমি পরিবর্তনশীল সময়ের মধ্যে রয়েছি
আর আমি তোমাকে খুন করতে চাই না, আমি তোমাকে সাহায্য করতে চাই ।
কিন্তু আমি তোমাকে এই ব্রিফক্রেসটি দিতে পারবো না কারন এটা আমার অধীনের অন্তর্ভুক্ত নয় ।
তাছাড়া, আমি এটা অনেক ঝামেলার মধ্যদিয়ে আজ সকালে পেয়েছি...
...শুধু তোমার হাতে তুলে দেবার জন্য নয় ।
- ভিনসেন্ট !
- [ চিৎকার করবে ]
- শান্ত থাকবে ! উল্যাণ্ডা শান্ত হও, বেবি ।
- পেছনে যাও !
শান্ত থাকতে বলছি ! আমরা এখনো কথা বলছি ।
- এদিকে তাকাও, পিস্তল আমার দিকে ধরো ! পিস্তল আমার দিকে ধরো ! যেটা বলছিলাম
- [ উল্যাণ্ডা হাঁপাবে ]
ভিনসেন্ট, এখন তুমি শুধু পেছনে থাকবে...
কোন খারাপ কিছু করবে না ।
ওকে বলো পরিস্থিতি এখনো শান্ত আছে ।
- পরিস্থিতি এখনো শান্ত আছে ।
- তুমি ঠিক আছো, বেবি ?
আমাকে...আমাকে প্রসব করতে যেতে হবে ।
আমি বাসায় যেতে চাই ।
এখানে বসে থাকো, আমি তোমাকে নিয়ে গর্ভবতী । আর রিংগো তোমাকে নিয়ে গর্ভবতী ।
ঝামেলা প্রায় শেষ হয়ে গেছে । তোমার গার্লফ্রেন্ডকে বলো তুমি তাকে নিয়ে গর্ভবতী ।
- আমি তোমাকে নিয়ে গর্ভবতী, সোনা ।
- আই লাভ ইউ ।
- আমিও তোমাকে ভালোবাসি, সোনা ।
- এখন...
আমি তোমাকে বলছি, ব্যাগের ভেতর থেকে আমার মানিব্যাগটা খুঁজে বের করো ।
- কোনটা তোমার মানিব্যাগ ?
- ওটার উপরে লেখা আছে “Bad Motherfucker”
হ্যাঁ, এটা । এটা আমার “Bad Motherfucker” মানিব্যাগ ।
মানিব্যাগ খুলো, টাকাগুলো বের করো ।
[ জুলস ]
টাকাগুলো গুনো ।
এখানে কত টাকা আছে ?
পনেরশো টাকা ।
টাকাগুলো তোমার পকেটে ঢোকাও । টাকাগুলো এখন তোমার ।
এখন বাকী মানিব্যাগ আর রেজিস্টারগুলো
যেটা সামান্য হলেও চলার পথে তোমাকে সাহায্য করবে ।
জুলস তুমি ওকে পনেরশো টাকা দিলে আর আমি জেনারেল প্রিন্সিপ্যালকে (উল্যাণ্ডা) গুলি করবো ।
না, উল্যাণ্ডা ! উল্যাণ্ডা ! সে তোমাকে গুলি করবে না !
ভিনস...তুমি কি থামবে !
- চুপ করো !
- উল্যাণ্ডা তুমি আমার সাথে থাকো, বেবি ।
এখন, টাকাগুলো আমি ভিনসেন্টকে দিচ্ছি না ।
আমি আমার টাকাগুলো দিয়ে কিছু কিনবো ।
- তুমি বলতে পারবে, আমি টাকাগুলো দিয়ে কি কিনবো, রিংগো ?
- কি ?
তোমার জীবন । আমি তোমাকে টাকাগুলো দিচ্ছি সুতরাং আমি তোমাকে খুন করছি না ।
তুমি কি বাইবেল পড়ো, রিংগো ?
নিয়মিতভাবে না ।
ওখানে একটা প্যাসেজ রয়েছে যেটা আমার মুখস্ত আছে ।
ইজিকেল ২৫;১৭
“নিষ্ঠাবান মানুষের পথ সবদিক থেকে অবরুদ্ধ থাকে...
স্বার্থপরতার বেড়াজাল স্বরূপ...
অসৎ মানুষের স্বৈরশাসন থেকে ।
শান্তি বর্ষিত হোক তার উপর, যে দানশীল আর মঙ্গল কামনাকারী
দুর্বলদের সাহায্য করে অন্ধকারের বিপদ থেকে
সে সত্যিই তার ভাইয়ের সাহায্যকারী...আর খোঁজকারী যে তার শিশুদের হারিয়েছে ।
আর আমি এখন এর সমুচিত প্রতিশোধ গ্রহন করবো...অগ্নিমূর্তি রুপে...
যারা বিষপান করানোর চেষ্টা করেছে এবং আমার ভাইয়ের ক্ষতি করেছে !
আর তুমি জানবে আমি লর্ড...
যখন আমি আমার প্রতিশোধ গ্রহনের জন্য তোমার উপর অগ্নিমূর্তি ধারন করি”
আমি এটা বছর ধরে বলছি
আর যদি তুমি এটা শুনে থাকো, এটার অর্থ হচ্ছে তোমার ভাগ্য ।
আমি কখনো এটা নিয়ে বেশি চিন্তা করি না, এটার অর্থ কি
আমি মনেকরি এটা ছিল ঠাণ্ডা মাথার চিন্তা-ভাবনা, একজন কুত্তাকে বলা...
আমার, তাকে গুলি করার আগেই ।
কিন্তু আজ সকালে আমি কিছু একটা দেখেছি, যেটা আমার চিন্তার জগতকে দু’ভাগে ভাগ করেছে ।
আমি যেটা এখন ভাবছি সম্ভবত এটার অর্থ হতে পারে...
তুমি অসৎ মানুষ আর আমি নিষ্ঠাবান মানুষ
আর মি. নাইন মিলিমিটার এখানে উপস্থিত আছেন, তিনি শেপার্ড...
ন্যায়পরায়ণটাকে রক্ষা করছে অন্ধকারের রাস্তা থেকে ।
অথবা এটার অর্থ হতে পারে...
তুমি নিষ্ঠাবান মানুষ আর আমি শেপার্ড
আর পৃথিবীটা হচ্ছে “নিষ্ঠুর” আর “স্বার্থপর”
(কথা কিন্তু সত্য)
এখন আমি এটা পছন্দ করি ।
কিন্তু এটা সত্য নয় ।
সত্যটা হচ্ছে...
তুমি দুর্বল...
আর আমি অত্যাচারী অসৎ মানুষ ।
কিন্তু আমি রিংগো হওয়ার চেষ্টা করছি
আমি কোঠার চেষ্টা করছি...
শেপার্ড হওয়ার জন্য ।
(মনে থাকলে আর কখনো মাস্তানি করবো না...)
যাও ।
আমার মনে হয়, আমাদের এখান থেকে যেতে হবে ।
- [ গিটার বাজবে ]
- হ্যাঁ, সম্ভবত এটাই ভাল আইডিয়া ।
[ মিউজিক চলতে থাকবে ]
[ মুভির শুরুতে আমরা যেটা দেখি, পাম্পকিন এবং হানিবানি নামে দু’জন মাস্তান ব্রেকফাস্ট করতে একটি রেস্টুরেন্টে আসে,
সেখানে তারা অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে কিভাবে ব্যাংক ডাকাতি হয়ে থাকে
সে বিষয়ে পরস্পরের সাথে আলোচনা করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তারা এই রেস্টুরেন্ট ডাকাতির সিদ্ধান্ত গ্রহন করে ]
[ এনটআন, মারসেলাস ওয়ালেসের স্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ট হওয়ার অভিযোগে তাকে মুভিতে কথিত
চার তালা বিল্ডিং বাড়ির জানালা থেকে ফেলে দেওয়া হয় । মুভিতে গ্যাং চরিত্রে মারসেলাস ওয়ালেস
কর্তৃক প্রেরিত দু’জন মূলত ব্রিফক্রেসটি গ্রহনের জন্য তাদের বসের বিজনেস পার্টনার ব্রেটের কাছে যায়,
যাকে কিনা বিজনেসে মারসেলাস ওয়ালেসের নিয়ম ভঙ্গ করার পরিনাম হিসাবে জীবন দিতে হয় ]
[ পরবর্তী দৃশ্যে বক্সিং ম্যাচটি ইচ্ছাকৃতভাবে হেরে যাবার জন্য মারসেলাস ওয়ালেস কর্তৃক বাচস ঘুষ গ্রহন করে
উল্টো বিপক্ষ বক্সারকে মেরে ফেলে টাকা নিয়ে জানালা দিয়ে পালিয়ে যায় ।
মারসেলাস ওয়ালেসের অনুরোধে তার স্ত্রী মিয়া ওলালেসকে নিয়ে ভিনসেন্ট এক সন্ধ্যায় জ্যাকর্যাবিট নাইট ক্লাবে যায়,
সেখানে তারা নিজেদের সাথে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি টুইস্ট কনটেস্টে অংশগ্রহন করে ট্রফি জিতে বাসায় ফিরে
মাত্রাতিরিক্ত হিরোইন সেবনের কারনে মিয়া ওয়ালেস অজ্ঞান হয়ে গেলে ভিনসেন্ট অন্য কোন উপায় না পেয়ে
তার বন্ধু ল্যান্সের বাসায় তাকে নিয়ে আসে সেখানে বেশ ঝামেলায় অদ্ভুত চিকিৎসার মাধ্যমে তারা জ্ঞান ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয় ]
[ প্রজম্ন পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় তার দাদার ঘড়ি কিভাবে তার কাছে পৌঁছায় বক্সিং ম্যাচ
শুরুর আগে সেটাই স্বপ্নে দেখে বাচস । বক্সিং ম্যাচ জিতে বাচস তার বন্ধু স্কটিকে বাজির
টাকার জন্য ফোন দিয়ে বাসায় ফিরে, পরের দিন সকালে সেখানে তার মূল্যবান ঘড়ি দেখতে না পেয়ে
বাচস তার পুরনো বাসায় যায়, এদিকে মারসেলাস ওয়ালেসের সাথে ওয়াদা ভঙ্গের কারনে
বাচসেকে খুন করার জন্য মারসেলাস ওয়ালেস, ভিনসেন্টকে বাচসের বাসায় পাঠায় কিন্তু উল্টো ভিনসেন্ট বাচসের হাতে খুন হয় ।
ঘটনাচক্রে ঐদিন মারসেলাস ওয়ালেসের সাথে বাচসের রাস্তায় দেখা হয় মারামারির এক পর্যায়ে
তাদের দু’জনকেই স্থানীয় অস্ত্র ব্যবসায়ী মেনাডের হাতে আটক হয় সেখানে মেনাডের বন্ধু জেডের কাছে মারসেলাস ওয়ালেসকে নির্যাতনের শিকার হতে হয় ।
পরে মারসেলাস ওয়ালেসের নির্দেশে বাচস তার গার্লফ্রেন্ড ফাবিয়ানোকে নিয়ে শহর ছেড়ে চলে যায় ]
[ পরবর্তীতে বানি সিচুউয়েশনে আমরা যেটা দেখতে পাই, ভিনসেন্ট এবং জুলস গাড়িতে করে ব্রিফক্রেস নিয়ে আসার এক পর্যায়ে আকস্মিকভাবে
ভিনসেন্টের পিস্তলের গুলির আঘাতে মারভিনের মৃত্যু হয়, পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে গিয়ে
জুলস তার বন্ধু জিমির বাসায় আশ্রয় নেয় কিন্তু জিমি লাশের ঘটনা জেনে যায়
এবং অনেকটা ক্ষিপ্ত কণ্ঠে তাদের দু’জনকে বোঝায় তার স্ত্রী বানি বাসায় এসে এসব দেখলে তাকে ডিভোস দিবে ।
পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনায় জিমির চাপে জুলস তার বস মারসেলাস ওয়ালেসের কাছে ফোন করে ওয়লফে সমস্যার সমাধানে জিমির বাসায় নিয়ে আসে ।
মিঃ ওয়লফ তার আসাধারন দক্ষতায় বানির বাসায় ফেরার আগেই
ভিনসেন্ট আর জুলসকে দিয়ে গাড়ি পরিষ্কার করিয়ে চমৎকারভাবে পরিস্থিতির সমাধান করেন ]
[ মুভির শেষ দৃশ্যে আমরা যেটা দেখতে পাই, ভিনসেন্ট এবং জুলস ব্রেকফাস্টের জন্য একটা রেস্টুরেন্টে যায়,
ব্রেকফাস্টের ফাঁকে তারা সকালের মির্যাকেল ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতে থাকে
এবং জুলস ভিনসেন্টকে জানায় সে এসব অসৎ পথ ছেড়ে সৎ পথে ফিরে আসতে চায় ।
পরিচালক কুয়েন্টিন টারান্টিনোর কারিশ্মা দেখুন, তখনই দুই পিচ্ছি মাস্তান পাম্পকিন এবং হানিবানি
রেস্টুরেন্ট ডাকাতি করে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, ডাকাতির এক পর্যায়ে তারা জুলসের কাছে এসে ব্রিফক্রেসের ভেতরে কি আছে সেটা জানতে চাই
কিন্তু জুলস ব্রিফক্রেস খুলতে অস্বীকৃতি জানালে পাম্পকিন তার মাথায় পিস্তল ধরে, জুলস ব্রিফক্রেস খুললেও মূলত ব্রিফক্রেসের মধ্যে কি ছিল পরিচলক মুভিতে সেটা ক্লিয়ার করেননি,
এক পর্যায়ে মাস্তানির পূর্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে জুলস পুরো পরিস্থিতিকে নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেয় সেই সাথে ভিনসেন্টও এসে যোগ দেয় ।
বাইবেলের কিছু অংশ এবং পরিচালক নিজে থেকে কিছু অংশ অ্যাড করে একটা একটা প্যাসেজ তৈরি করেছে যেটা মুভিতে তিনবার এসেছে,
সেটা শুনিয়ে কিছু জ্ঞান দান করা কথা বলে বাকী মানিব্যাগগুলো দিয়ে জুলস তাদের ছেড়ে দেয় ]
=== ধৈর্য নিয়ে মুভিটি দেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ===
*****